ETV Bharat / state

"আগে দিল্লি সামলা, পরে ভাববি বাংলা" BJP-কে কটাক্ষ শুভেন্দুর - loksabha election

"এক দেশপ্রেম, মানুষের আবেগ আর দুই হিন্দুত্ব, মানুষের আস্থা। তাই এই দুই বিষয়কে হাতিয়ার করেই আসন্ন নির্বাচনে মাঠে নামতে চাইছে BJP। " আজ পাঁশকুড়ার নারায়ণদিঘিতে দলীয় কর্মিসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে BJP-কে এভাবেই কটাক্ষ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দু অধিকারী
author img

By

Published : Mar 3, 2019, 11:48 PM IST

পাঁশকুড়া (পূর্ব মেদিনীপুর), ৩ মার্চ : "বিগত সাড়ে চার বছরে BJP কোনও কাজ করতে পারেনি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তাই BJP-র হার নিশ্চিত। তার সিগন্যাল দিয়েছে পাঁচ রাজ্য (রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, তেলাঙ্গানা, মিজোরাম এবং ছত্তিশগড়)-এর বিধানসভা নির্বাচন। এমনকি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের গোরক্ষপুর আসনে উপ নির্বাচনেও জিতেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী। মানুষের কাছে এদের কোনও অস্তিত্ব নেই। গত ১৫ বছর ধরে ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশে BJP ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু এবার আর ধরে রাখতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে এখন দলের সামনে দুটোই রাস্তা। এক দেশপ্রেম, মানুষের আবেগ আর দুই হিন্দুত্ব, মানুষের আস্থা। তাই এই দুই বিষয়কে হাতিয়ার করেই আসন্ন নির্বাচনে মাঠে নামতে চাইছে BJP। " আজ পাঁশকুড়ার নারায়ণদিঘিতে দলীয় কর্মিসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে BJP-কে এভাবেই কটাক্ষ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি আরও বলেন, "উত্তরপ্রদেশে গতবার মাত্র ৩১ শতাংশ ভোট পেয়েছিল BJP। SP ২৫ শতাংশ, BSP ২০ শতাংশ, কংগ্রেস ১২ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। অর্থাৎ এবার যদি মায়াবতী ও অখিলেশ একজোট হয় তাহলেই তো BJP শেষ। উত্তরপ্রদেশে ৮০ তে শূন্য। তাই আগে দিল্লি সামলা, পরে ভাববি বাংলা। সকালে নাথুরাম গডসের মূর্তিতে মাল্যদান করে আর বিকেলে রাজঘাটে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এটাই BJP-র দেশপ্রেমের নমুনা। আর ভোট এলেই তোলে রামমন্দিরের কথা।"

undefined

তৃণমূল থেকে BJP-তে যাঁরা যোগ দিয়েছেন তাঁদের উদ্দেশ্যে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, "BJP আমাদের দুই একটি আবর্জনা কুড়িয়েছে। এঁদের আমরা ব্লিচিং, ফিনাইল দিয়ে বাড়ি পরিষ্কার করে বাড়ির বাইরে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছিলাম। মানুষের কাছে এঁদের কোনও বিশ্বাসযোগ্যতাও নেই, গ্রহণযোগ্যতাও নেই। তাই BJP-র বিরুদ্ধে আমাদের কিছুই করতে হবে না। এঁদের সামলাতেই BJP-র ঘাম ছুটে যাবে"

সভায় শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও ছিলেন সৌমেন মহাপাত্র, ফিরোজা বিবি, নন্দকুমার মিশ্র, সইদুল ইসলাম খান, জইদুল ইসলাম খান, সুমনা মহাপাত্র এবং শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি শ্যামল প্যারিয়াল।

পাঁশকুড়া (পূর্ব মেদিনীপুর), ৩ মার্চ : "বিগত সাড়ে চার বছরে BJP কোনও কাজ করতে পারেনি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তাই BJP-র হার নিশ্চিত। তার সিগন্যাল দিয়েছে পাঁচ রাজ্য (রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, তেলাঙ্গানা, মিজোরাম এবং ছত্তিশগড়)-এর বিধানসভা নির্বাচন। এমনকি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের গোরক্ষপুর আসনে উপ নির্বাচনেও জিতেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী। মানুষের কাছে এদের কোনও অস্তিত্ব নেই। গত ১৫ বছর ধরে ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশে BJP ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু এবার আর ধরে রাখতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে এখন দলের সামনে দুটোই রাস্তা। এক দেশপ্রেম, মানুষের আবেগ আর দুই হিন্দুত্ব, মানুষের আস্থা। তাই এই দুই বিষয়কে হাতিয়ার করেই আসন্ন নির্বাচনে মাঠে নামতে চাইছে BJP। " আজ পাঁশকুড়ার নারায়ণদিঘিতে দলীয় কর্মিসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে BJP-কে এভাবেই কটাক্ষ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি আরও বলেন, "উত্তরপ্রদেশে গতবার মাত্র ৩১ শতাংশ ভোট পেয়েছিল BJP। SP ২৫ শতাংশ, BSP ২০ শতাংশ, কংগ্রেস ১২ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। অর্থাৎ এবার যদি মায়াবতী ও অখিলেশ একজোট হয় তাহলেই তো BJP শেষ। উত্তরপ্রদেশে ৮০ তে শূন্য। তাই আগে দিল্লি সামলা, পরে ভাববি বাংলা। সকালে নাথুরাম গডসের মূর্তিতে মাল্যদান করে আর বিকেলে রাজঘাটে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এটাই BJP-র দেশপ্রেমের নমুনা। আর ভোট এলেই তোলে রামমন্দিরের কথা।"

undefined

তৃণমূল থেকে BJP-তে যাঁরা যোগ দিয়েছেন তাঁদের উদ্দেশ্যে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, "BJP আমাদের দুই একটি আবর্জনা কুড়িয়েছে। এঁদের আমরা ব্লিচিং, ফিনাইল দিয়ে বাড়ি পরিষ্কার করে বাড়ির বাইরে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছিলাম। মানুষের কাছে এঁদের কোনও বিশ্বাসযোগ্যতাও নেই, গ্রহণযোগ্যতাও নেই। তাই BJP-র বিরুদ্ধে আমাদের কিছুই করতে হবে না। এঁদের সামলাতেই BJP-র ঘাম ছুটে যাবে"

সভায় শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও ছিলেন সৌমেন মহাপাত্র, ফিরোজা বিবি, নন্দকুমার মিশ্র, সইদুল ইসলাম খান, জইদুল ইসলাম খান, সুমনা মহাপাত্র এবং শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি শ্যামল প্যারিয়াল।

Intro:তমলুক ,২৮ ফেব্রুয়ারি : অকাল বর্ষণের সাথে শিলা বৃষ্টির ফলে কার্যত ভরা মাঠেই নষ্ট হতে বসেছে ফসল। টানা চার দিনের বৃষ্টিতে চাষের মাঠ জলে ডুবে গিয়েছে। সেই সাথে ডুবে গিয়েছে আলু, বাদাম, বিরি কলাই, সরষে, মুরসুমি ফুল সহ অন্যান্য সবজি । ফলে সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করে বিপাকে চাষীরা। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর ঋণ কিভাবে শোধ করবেন সেই চিন্তাতেই দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। ঋণ মুকুবের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। যেকোন উপায়ে ঋণ মুকুব করুক সরকার না হলে আত্মহত্যা ছাড়া কোন গতি নেই জানিয়েছেন চাষীরা।


Body:জেলায় শুরু হয়েছে রবিবার থেকে টানা বৃষ্টি। যার ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । প্রশাসনের তরফে থেকে ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় 30 হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্টের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে গতকাল। আজ পুনরায় সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, তমলুক, এগ্রা ,পটাশপুর সহ বিভিন্ন ব্লকের সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে ফুল ও আনাজ চাষের। প্রতিটি ব্লকের চাষিরাই স্থানীয় সমবায় সমিতি গুলি থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন। কোন চাষী 1 লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন তো আবার কেউ 30 থেকে 25 হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। ফসল ভালো হলেও অকাল বর্ষণে সবই এগিয়েছে জলের তলায়। ফলে ফসল বিক্রি করে ঋণ শোধ করার আর কোনো সম্ভাবনাই নেই। যার কারণেই দুঃশ্চিন্তা বাড়ছে চাষীদের মধ্যে। কোলাঘাট ব্লকের মহাদেব ভূঁইয়া নামের এক চাষী স্থানীয় দেহাটি সমবায় সমিতি থেকে প্রায় 1 লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে পাঁচ বিঘা জমি চাষ করেছিলেন। কিন্তু তার সাড়ে চার বিঘা জমির ফসল জলের তলায় চলে যাওয়ায় ঋণশোধ কিভাবে করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি। তিনি জানান, মুগ কলাই, খেসারির ডাল, ও ধান চাষ করেছিলাম পাঁচ বিঘা জমিতে। এই চাষ করার জন্য প্রায় এক লক্ষ টাকা লোন নিয়েছি সমিতি থেকে। সব ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিছুই তুলতে পারিনি, সব জলের তলায় চলে গেছে। সব চাষী লোন শোধ করা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে ।সরকার তো ছাড়বে না ।ঋণ মুকুব না করলে ঋণের জ্বালায় আত্মহত্যা ছাড়া কোনো পথ নেই। অপরদিকে পাঁশকুড়া ব্লকের কেশাপাট অঞ্চলের চাষী সুশান্ত মাজি বলেন, টানা বৃষ্টির ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার পরিমাণ এখনো পর্যন্ত আমরা হিসেব করেই উঠতে পারছি না। বিঘের পর বিঘে জমির আলু ধান সবজি সব নষ্ট হয়ে গেছে। সমবায় সমিতি থেকে আলু চাষ করার জন্য ঋণ নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম ভালো চাষ হলে ঋণ শোধ করে দেব। এখন কি করবো বুঝতে পারছি না। সরকার এই মুহূর্তে যদি পাশে এসে না দাড়ায় চাষীদের তাহলে আত্মহত্যা করতে হবে। আমি 25 হাজার টাকা লোন নিয়েছি, সব চাষী লোন নিয়ে বিঘের পর বিঘে চাষ করেছে। আলু খোলার মুখেই এই বৃষ্টিতে সব শেষ হয়ে গেল। আমরা সব চাষিরা একজোট হয়ে ঋণ মুকুবের দাবি গ্রাম পঞ্চায়েতে জানাবো।


Conclusion:যদিও চাষীদের চিন্তা মুক্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন জেলা কৃষি দপ্তর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সহ কৃষি অধিকর্তার মৃণাল কান্তি বেরা জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে জেলায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাওয়া হয়েছে আমাদের কাছে। আমরা গতকালই 30000 হেক্টর জমির ফসল ও ফুলের ক্ষতির রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমা দিয়েছি। আজও পুনরায় সব ব্লক থেকে আসা রিপোর্ট গুলি জমা দেওয়া দেব। কৃষকদের চিন্তার কোন কারণ নেই। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা পড়ার পরেই কৃষকদের সমস্যার কথাকে গুরুত্ব দিয়েই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.