ETV Bharat / state

Smriti Irani: কেন্দ্রের টাকা কেন পাচ্ছে না মানুষ ? কাঁথিতে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন স্মৃতির - কাঁথির খবর

পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে (Contai) এলেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani) ৷ কী বললেন তিনি ?

Smriti Irani visits villages in Contai
কাঁথিতে স্মৃতি ইরানি ৷
author img

By

Published : Dec 18, 2022, 3:42 PM IST

মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন গ্রামবাসী ৷

কাঁথি, 18 ডিসেম্বর: এই তো সেদিনের কথা ৷ পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে (Contai) সভা করতে এসেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ৷ সভাস্থলে পৌঁছনোর আগে কনভয় থামিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন এলাকারই একটি গ্রামে ৷ শুনেছিলেন সেখানকার হতদরিদ্র মানুষের সুখ-দুঃখের কথা ৷ দিয়েছিলেন পাশে থাকার আশ্বাস ৷ এমনকী, কাজ না-করার অভিযোগে পদ কেড়েছিলেন সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান এবং তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির ৷ এবার সেই কাঁথিতেই পৌঁছে গেলেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani) ৷ সর্বহারা মানুষের কথা শুনলেন তিনিও ৷ ফলে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের (WB Panchayat Election 2023) বেশ খানিকটা আগেই আরও একবার গ্রাম বাংলার একেবারে অন্দরমহল পর্যন্ত পৌঁছে গেল সংবাদমাধ্যমের ক্য়ামেরা ৷ কিন্তু, এতকিছুর পরও মিলবে তো পাকা ঘর ? ন্যূনতম নাগরিক পরিষেবা ? কিংবা সরকারি প্রকল্পের নিরপেক্ষ সুযোগ, সুবিধা ? উত্তর জানা নেই ভুক্তভোগীদের ৷

চব্বিশের ভোট হবে গোটা দেশে ৷ তার আগে বাংলার সেমিফাইনাল তেইশে ৷ পঞ্চায়েত ভোটে ভালো ফল করতে মরিয়া শাসক-বিরোধী দু'পক্ষই ৷ ওয়াকিবহাল মহল বলছে, 'খেলা হবে' মূলত ঘাসফুল বনাম পদ্মের ৷ তাই আসরে নেমেছেন দুই তরফেরই হেভিওয়েটরা ৷ চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির পক্ষ থেকে ঠিক করা হয়েছে, দেশের যেসমস্ত লোকসভাকেন্দ্রগুলি তাদের দখলে নেই, সেইসব এলাকায় এখন থেকেই জনসংযোগে মন দিতে হবে মন্ত্রীদের ৷ পৌঁছে যেতে হবে আমজনতার দরবারে ৷ শুনতে হবে তাঁদের অভাব, অভিযোগ ৷

আরও পড়ুন: কাঁথির সভামঞ্চ থেকে 'বিশ্বাসঘাতক ও বেইমানমুক্ত মেদিনীপুর' গড়ার ডাক অভিষেকের

সেই কর্মসূচির আওতাতেই পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে এসেছেন স্মৃতি ৷ শনিবার দুপুর 1টা নাগাদ এলাকায় পৌঁছন তিনি ৷ বিজেপি সূত্রে খবর, দলের স্থানীয় নেতা, কর্মীদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করবেন স্মৃতি ৷ তারই ফাঁকে ঘুরে দেখবেন বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকা ৷ সেই মতো রবিবার কাঁথির গ্রামগুলিতে পৌঁছে যান স্মৃতি ৷ আর তাঁকে দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বহু মানুষ ৷ সকলেরই বক্তব্য, তাঁদের নুন আনতে পান্তা ফুরোয় ৷ মাথার উপর পাকা ছাদ নেই ৷ একটু ভালো থাকার আশায় কখনও তৃণমূল করেছেন, আবার কখনও যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে ৷ কেউ কেউ আবার সরাসরি কোনও দিনই রাজনীতি করেননি ৷ কিন্তু, সকলেরই 'কাহিনি' এক ৷ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা তাঁদের জোটেনি ৷ অনেকে আবার বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতার মতো পরিষেবাও পেয়েছেন অনেক লড়াই করে ৷

এদিন এইসব অভাগাদের সঙ্গে কথা বলেন স্মৃতি ইরানি ৷ বাঙালি না হলেও বাংলাটা ভালোই জানেন তিনি ৷ ফলে কেন্দ্রের মন্ত্রীকে নাগালে পেয়ে মনের মধ্যে জমে থাকা সমস্ত ক্ষোভ, বিক্ষোভ, অভিযোগ উগরে দেন বাসিন্দারা ৷ আর সব শুনে স্মৃতি বলেন, "কেন্দ্রে বিজেপির সরকার চলছে ৷ আর এখানে তৃণমূলের ৷ কিন্তু তাতে মানুষের পরিষেবা বন্ধ হওয়া উচিত নয় ৷ আর সেই কারণেই কেন্দ্র লাগাতার সমস্ত প্রকল্পের টাকা পাঠায় ৷ তারপরও সেই টাকা কেন পাচ্ছেন না যোগ্য উপভোক্তারা, তার জবাব মুখ্যমন্ত্রীকে দিতে হবে ৷"

কিন্তু প্রশ্ন হল, এত কিছুরও পরও কি প্রাপ্য ঘর পাবেন আবেদনকারীরা ? তার স্পষ্ট উত্তর মেলেনি ৷ বাসিন্দারাও যে কেন্দ্রের মন্ত্রীকে সব জানাতে পেরে বিরাট আশ্বস্ত হয়েছেন এমনটা নয় ৷ তাঁদের বক্তব্য, "যে সরকার আসে, সকলকেই তো বলি ৷ ঘর তো কেউ দেয় না ৷ আমরা কাকে বিশ্বাস করব ? বলুন !" প্রসঙ্গত, এদিন পিছাবনী স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও যান স্মৃতি ৷ সেখানকার বেহাল দশা নিয়েও তাঁকে অভিযোগ জানান স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ মন্ত্রী সব শোনেন মন দিয়ে ৷

মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন গ্রামবাসী ৷

কাঁথি, 18 ডিসেম্বর: এই তো সেদিনের কথা ৷ পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে (Contai) সভা করতে এসেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ৷ সভাস্থলে পৌঁছনোর আগে কনভয় থামিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন এলাকারই একটি গ্রামে ৷ শুনেছিলেন সেখানকার হতদরিদ্র মানুষের সুখ-দুঃখের কথা ৷ দিয়েছিলেন পাশে থাকার আশ্বাস ৷ এমনকী, কাজ না-করার অভিযোগে পদ কেড়েছিলেন সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান এবং তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির ৷ এবার সেই কাঁথিতেই পৌঁছে গেলেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani) ৷ সর্বহারা মানুষের কথা শুনলেন তিনিও ৷ ফলে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের (WB Panchayat Election 2023) বেশ খানিকটা আগেই আরও একবার গ্রাম বাংলার একেবারে অন্দরমহল পর্যন্ত পৌঁছে গেল সংবাদমাধ্যমের ক্য়ামেরা ৷ কিন্তু, এতকিছুর পরও মিলবে তো পাকা ঘর ? ন্যূনতম নাগরিক পরিষেবা ? কিংবা সরকারি প্রকল্পের নিরপেক্ষ সুযোগ, সুবিধা ? উত্তর জানা নেই ভুক্তভোগীদের ৷

চব্বিশের ভোট হবে গোটা দেশে ৷ তার আগে বাংলার সেমিফাইনাল তেইশে ৷ পঞ্চায়েত ভোটে ভালো ফল করতে মরিয়া শাসক-বিরোধী দু'পক্ষই ৷ ওয়াকিবহাল মহল বলছে, 'খেলা হবে' মূলত ঘাসফুল বনাম পদ্মের ৷ তাই আসরে নেমেছেন দুই তরফেরই হেভিওয়েটরা ৷ চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির পক্ষ থেকে ঠিক করা হয়েছে, দেশের যেসমস্ত লোকসভাকেন্দ্রগুলি তাদের দখলে নেই, সেইসব এলাকায় এখন থেকেই জনসংযোগে মন দিতে হবে মন্ত্রীদের ৷ পৌঁছে যেতে হবে আমজনতার দরবারে ৷ শুনতে হবে তাঁদের অভাব, অভিযোগ ৷

আরও পড়ুন: কাঁথির সভামঞ্চ থেকে 'বিশ্বাসঘাতক ও বেইমানমুক্ত মেদিনীপুর' গড়ার ডাক অভিষেকের

সেই কর্মসূচির আওতাতেই পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে এসেছেন স্মৃতি ৷ শনিবার দুপুর 1টা নাগাদ এলাকায় পৌঁছন তিনি ৷ বিজেপি সূত্রে খবর, দলের স্থানীয় নেতা, কর্মীদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করবেন স্মৃতি ৷ তারই ফাঁকে ঘুরে দেখবেন বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকা ৷ সেই মতো রবিবার কাঁথির গ্রামগুলিতে পৌঁছে যান স্মৃতি ৷ আর তাঁকে দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বহু মানুষ ৷ সকলেরই বক্তব্য, তাঁদের নুন আনতে পান্তা ফুরোয় ৷ মাথার উপর পাকা ছাদ নেই ৷ একটু ভালো থাকার আশায় কখনও তৃণমূল করেছেন, আবার কখনও যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে ৷ কেউ কেউ আবার সরাসরি কোনও দিনই রাজনীতি করেননি ৷ কিন্তু, সকলেরই 'কাহিনি' এক ৷ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা তাঁদের জোটেনি ৷ অনেকে আবার বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতার মতো পরিষেবাও পেয়েছেন অনেক লড়াই করে ৷

এদিন এইসব অভাগাদের সঙ্গে কথা বলেন স্মৃতি ইরানি ৷ বাঙালি না হলেও বাংলাটা ভালোই জানেন তিনি ৷ ফলে কেন্দ্রের মন্ত্রীকে নাগালে পেয়ে মনের মধ্যে জমে থাকা সমস্ত ক্ষোভ, বিক্ষোভ, অভিযোগ উগরে দেন বাসিন্দারা ৷ আর সব শুনে স্মৃতি বলেন, "কেন্দ্রে বিজেপির সরকার চলছে ৷ আর এখানে তৃণমূলের ৷ কিন্তু তাতে মানুষের পরিষেবা বন্ধ হওয়া উচিত নয় ৷ আর সেই কারণেই কেন্দ্র লাগাতার সমস্ত প্রকল্পের টাকা পাঠায় ৷ তারপরও সেই টাকা কেন পাচ্ছেন না যোগ্য উপভোক্তারা, তার জবাব মুখ্যমন্ত্রীকে দিতে হবে ৷"

কিন্তু প্রশ্ন হল, এত কিছুরও পরও কি প্রাপ্য ঘর পাবেন আবেদনকারীরা ? তার স্পষ্ট উত্তর মেলেনি ৷ বাসিন্দারাও যে কেন্দ্রের মন্ত্রীকে সব জানাতে পেরে বিরাট আশ্বস্ত হয়েছেন এমনটা নয় ৷ তাঁদের বক্তব্য, "যে সরকার আসে, সকলকেই তো বলি ৷ ঘর তো কেউ দেয় না ৷ আমরা কাকে বিশ্বাস করব ? বলুন !" প্রসঙ্গত, এদিন পিছাবনী স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও যান স্মৃতি ৷ সেখানকার বেহাল দশা নিয়েও তাঁকে অভিযোগ জানান স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ মন্ত্রী সব শোনেন মন দিয়ে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.