নন্দীগ্রাম, 14 মে: ভোট পরবর্তী হিংসার বলি হলেন আরও এক বিজেপি কর্মী । গত ৩ মে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে নন্দীগ্রামের চিল্লগ্রামের বাসিন্দা ৪৯ বছর বয়সী দেবব্রত মাইতির উপর দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে। ব্যাপক মারধরে গুরুতর আহত হন তিনি । এমনকি তাঁর ঘরবাড়ি ভেঙ্গে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর গুরুতর আহত অবস্থায় তমলুক জেলা হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতা এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। দীর্ঘ দশদিন ধরে জীবন যুদ্ধে লড়াই করার পর গতকাল তিনি মারা যান। এদিন গভীর রাতে নন্দীগ্রামের বাড়িতে পৌঁছোয় তাঁর নিথর দেহ। কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবার-পরিজন থেকে সহ কর্মীরা।
ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যের একাধিক জায়গা। আক্রান্ত হচ্ছেন শাসক-বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকরা। রাজ্যের নানা জায়গায় থেকে অশান্তিকে কেন্দ্র করে আসছে মৃত্যুর খবরও। সেই তালিকায় নবতম সংযোজন নন্দীগ্রাম। গতকাল রাতেই বিজেপি কর্মীর দেহে মাল্যদান করেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এইদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘‘একজন সহ যোদ্ধাকে হারালাম ৷ ’’ মৃতের পরিবারকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি।
আরও পড়ুন:লড়ি ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, মৃত 1
রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসার বিষয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে শাসক-বিরোধী সবপক্ষই। গত ২ মে ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের নানা প্রান্তের হিংসার ঘটনা যাতে না ঘটে সেই বিষয়ে সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, বাংলা অশান্তিকে কখনই বরদাস্ত করে না। হিংসার ঘটনার বিষয়ে রাজ্যকে সতর্ক করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। হিংসা দেখতে তিনি নিজে কোচবিহার গিয়েছেন ৷ যা নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে ফের সংঘাত শুরু হয়েছে তাঁর ৷ এরই মধ্যে দেবব্রতবাবুর মৃত্যু নতুন করে হিংসা বিতর্কে ইন্ধন জোগাল ৷