মেদিনীপুর, 19 মার্চ : CAA ও NRC র জন্য আধার কার্ড আবশ্যক । সেই কার্ড করতে গেলে দরকার পাঁচ আঙুলের ছাপ,চোখের রেটিনার ছবি । কিন্তু কোরোনার ছাপ গোটা বিশ্বজুড়ে । জেলায় জেলায় প্রতিদিন নতুন করে ধরা পড়ছে কোরোনা আক্রান্ত । এই কোরোনা রোধে ডাকঘর কর্তৃপক্ষ নিয়েছে বেশ কিছু সতর্কতা । বারবার স্যানিটাইজার দিয়ে মোছা হচ্ছে ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন । গ্রাহকদের সাবান দিয়ে বাথরুমে হাতধুতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । স্বস্তি ডাকঘরকর্মী থেকে সাধারণ মানুষের ।
এবার আধারের উপর থাবা বসাল করোনা ভাইরাস(COVID-19)। কেন্দ্র সরকারের সাম্প্রতিক নির্দেশে CABCAA আইনে রূপান্তরিত হয় । আর সে ক্ষেত্রেই NRC হওয়ার একটা প্রবণতা দেখা দেয় গোটা দেশজুড়ে । এরই প্রেক্ষিতে আধার কার্ড আবশ্যক হয়ে ওঠে নাগরিকদের জন্য । যাদের আধার কার্ড নেই তারা লাইনে ভিড় জমান বিভিন্ন ডাকঘরও আধার কাউন্টারে । শুধু আধার কার্ড নতুন করার জন্য যেমন লাইন পড়েছে তেমনি আধার কার্ডে ভুল থাকায় তা সংশোধনের জন্য প্রতিদিন লম্বা লাইন পড়ছে মেদিনীপুর শহরে । প্রধান ডাকঘরে 8 থেকে 80 লাইনে দাঁড়িয়েছে তার আধার কার্ড সংশোধন করার জন্য । সম্প্রতি সরকার থেকে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে বেশি ভিড় না জমানোর । বারবার স্যানিটাইজ়ার দিয়ে হাত ধুতে হবে । কোরোনা রোধে এরকমই নির্দেশিকায় নড়েচড়ে বসেছে ডাকঘরগুলি । তাই ডাকঘর থেকেই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে হাতের ছাপ নিতে হবে মেশিনে । বারবার মেশিন স্যানিটাইজার দিয়ে মুছে পরিষ্কার রাখতে হবে আর সেই কাজই চলছে এখন মেদিনীপুর শহরের প্রধান ডাকঘরে । ডাকঘরকর্মীরা বারবার ধরে স্যানিটাইজার দিয়ে মেশিন মুছছেন । গ্রাহকদের হাত ধুয়ে তাঁদের হাতের ছাপ নিচ্ছেন । মেদিনীপুর ডাকঘর কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগকে স্বস্তি ও স্বাগত জানিয়েছে গ্রাহকরা ।
এই বিষয়ে ডাকঘর কর্তা অসিত কুমার মহান্তি বলেন,‘‘কোরোনা রোধে এবং কোরোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে এই ধরনের পরিকল্পনা ৷ কারণ এই সময় আধার কার্ড করতে প্রচুর মানুষ আসছেন এই ডাকঘরে । তাঁদের থেকে যাতে কোনওভাবেই কোরোনা ভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে সংক্রমণ না ঘটে,তাই আমরা এ ব্যবস্থাগুলি নিয়েছি ।’’
ডাকঘর গুলির এই ব্যবস্থায় স্বস্তি গ্রাহকদের মধ্যে ৷ কিন্তু প্রচুর মানুষের জমায়েত একটা দুশ্চিন্তার বিষয় । যদিও সবাই বিচ্ছিন্ন হয়ে বসে জমায়েত এড়ানোর চেষ্টা করছেন । তবে এইভাবে কতদিন চলতে হবে সেটাই প্রশ্ন?