মেদিনীপুর, 7 এপ্রিল : ব্যাঙ্কের গাফিলতিতে স্কলারশিপের টাকা তুলতে পারছে না এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রী এবং তার পরিবার (Scholarship Problem In Midnapore) । জেলা প্রশাসন, বিকাশ ভবন এবং ব্যাঙ্কের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছে তার বাবা । চাইছেন পড়াশোনার ব্যাঘাত যেন না ঘটে।
মেদিনীপুর শহরের হবিবপুরের বাসিন্দা প্রবীর দাসের মেয়ে প্রেরণা দাস । ছোট থেকেই প্রেরণা মেধাবী । মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক সবেতেই তার 94% শতাংশ উপর মার্কস রয়েছে । সব বিষয়েই 90 শতাংশের উপর নম্বর থাকায় এবছর তার স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ এসেছে । আর সেই স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের টাকার পরিমাণ 60 হাজার টাকা । কিন্তু গত 2 তারিখে প্রেরণা তার মোবাইলে মেসেজ মারফত জানতে পারে যে তার অ্যাকাউন্টের সমস্যার জন্য স্কলারশিপের টাকা অ্যাকাউন্টে যাচ্ছে না । এরপরই তারা ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করে । ব্যাঙ্ক জানায় যে তার ছোটবেলার অ্যাকাউন্ট বলেই তা মাইনর করা ছিল ৷ কিন্তু এখন যেহেতু তার বয়স 18 বছরের বেশি হয়ে গিয়েছে তাই মাইনর থেকে তা মেজর করতে হবে । সেই অনুযায়ী প্রেরণার পরিবার সমস্ত কাগজ নিয়ে ব্যাঙ্কে জমা দেয় । কিন্তু তারপরও সমস্যা থেকে যায় । ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে স্কলারশিপের টাকা জমা পড়েনি । এরপর ব্যাঙ্কের তরফে মেসেজ আসে স্কলারশিপের টাকা অ্যাকাউন্টে জমা পড়েনি । ফের তারা ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হয় ।
আরও পড়ুন : গরমে জলাভাব চন্দ্রকোনা পৌরসভায়, ক্ষোভ এলাকায়
ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে পুনরায় কাগজপত্র নিয়ে সাধারণ অ্যাকাউন্ট করে দেয়, কিন্তু এরপর আর কোনও স্কলারশিপের টাকা অ্যাকাউন্টে জমা পড়েনি । ফলে সমস্যায় পড়ে প্রেরণা এবং তার পরিবার। এরপরই প্রেরণার বাবা প্রবীর দাস বিভিন্ন সরকারি দফতরে গিয়েছেন, কখনও মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়ার সঙ্গেও দেখা করেছিলেন ৷ কিন্তু কোনও ফল হয়নি ৷ নবান্নেও গিয়েছিলেন স্কলারশিপের টাকা পাওয়ার জন্য। কিন্তু সেখান থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় আর টাকা পাঠানো যাবে না । এতেই ভেঙে পড়েন প্রবীরবাবু। তিনি জানান, এই টাকা যদি মেয়ের অ্যাকাউন্টে না আসে তাহলে মাঝপথেই মেয়ের পড়াশোনা বন্ধ করতে হবে ৷