দুর্গাপুর, 7 মে: "সর্বং খল্বিদং ব্রহ্ম", উপনিষদের এই শ্লোকের উল্লেখ করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার ৷ স্য়র অ্যালবার্ট আইনস্টাইন পৃথিবীতে ভর ও শক্তির মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে বিখ্যাত E= mc(2) সূত্রটি আবিষ্কার করেছিলেন ৷ মন্ত্রীর দাবি, এর অনেক আগে ভারতীয় সংস্কৃতি এই কথা জানিয়েছে ৷ এই প্রসঙ্গে তিনি এই শ্লোকটি আওড়ালেন ৷ শিক্ষার গৈরিকীকরণের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি জানান, এতদিন দেশে শিক্ষাকে অন্যায় পথে চালিত করা হয়েছে ৷
1905 সালে অ্যালবার্ট আইনস্টাইন এই সূত্র আবিষ্কার করেন ৷ এই সূত্র অনুযায়ী, E মানে Energy অর্থাৎ শক্তি ৷ m মানে Mass অর্থাৎ ভর ৷ আর c-এর অর্থ আলোর গতিশক্তি ৷ নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী প্রমাণ করে দেখান, কোনও বস্তুর ভর ও শক্তি সমান ৷ ওই বস্তুর ভরের সঙ্গে আলোর গতির বর্গ গুণ করলে তার মান বস্তুটির মধ্যে নিহিত স্থিতিশক্তির সমান হয় ৷ বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, এই কথাটি আইনস্টাইনের অনেক আগে "সর্বং খল্বিদং ব্রহ্ম" শ্লোকের মধ্যে দিয়ে ভারত জানিয়েছিল ৷
বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদের পালটা অভিযোগ, এতদিন রামধনুকে রঙধনু করা হয়েছে ৷ এরপর অন্য একটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "ভারতীয় সংস্কৃতিতে মাসিমা বলা হয় ৷ সেখানে অন্য শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে ৷ জোরজবরদস্তি একটি সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা হয়েছে এতদিন ৷ তাঁর যুক্তি ভারতীয় সংস্কৃতিতে বিজ্ঞান আছে এবং তা মানুষকে জানতে হবে ৷ এটা গৈরিকীকরণ নয় ৷"
শূন্য ভারতে আবিষ্কার হয়েছিল ৷ আর তার আবিষ্কর্তা আর্যভট্ট ৷ সুভাষ সরকার তা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, "শূন্য ভারতে আবিষ্কার হয়েছিল ৷ গৈরিকীকরণ করছে বলে শূন্যটাকে ত্যাগ করে দাও না ৷ পারবে ? পাই ভারত দিয়েছে ৷ গৈরিকীকরণ করা হচ্ছে বলে পাই নেব না, তা কি বলতে পারবেন কেউ ?" দুর্গাপুরের এনআইটিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে শিল্পাঞ্চলে ৷
আরও পড়ুন: 'শুধু নিজের বাবার নয়, শিক্ষার বাবারও পিণ্ডি চটকেছেন', সেলিমকে আক্রমণ উদয়নের