কাঁকসা (পশ্চিম বর্ধমান), 17 এপ্রিল : এক যুবতির অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় কাঁকসা থানার অন্তর্গত অজয়পল্লিতে। অভিযোগ, ওই যুবতির স্বামী, শাশুড়ি ও দুই ননদ তাঁকে মেরে গলায় দড়ি বেঁধে ঝুলিয়ে দিয়েছে। যুবতির পরিবারের পক্ষ থেকে কাঁকসা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
মৃতের নাম মৌসুমি হালদার। দু'বছর আগে কাঁকসার অজয়পল্লির বাসিন্দা আনন্দ হালদারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। মৌসুমি ছিলেন উচ্চশিক্ষিত। কিন্তু তাঁর গায়ের রং কালো। অভিযোগ, গায়ের রং কালো বলে বিয়ের পর থেকেই তাঁর উপর অত্যাচার করতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ওই যুবতির মামা জয়দেব সরকারের অভিযোগ, তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পণের দাবিতে মানসিকভাবে অত্যাচার করতেন। তাঁর স্বামী আনন্দের সঙ্গে অন্য এক মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সেই বিষয়ে জেনে গিয়েছিলেন মৌসুমি। অভিযোগ, সেই বিষয়ে জেনে যাওয়ায় তাঁকে খুন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, "মৌসুমি বাড়িতে সব কিছুই জানিয়েছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বাপের বাড়ি ফিরে আসতে বলা হয়। কিন্তু মৌসুমি ফিরে আসেনি।"
গতকাল সকালে ঘরে মৌসুমির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান প্রতিবেশীরা। এরপরই দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করেন। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই যুবতির পরিবার কাঁকসা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। তাদের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে।
অন্যদিকে ঘটনার পর থেকেই ওই যুবতির স্বামী ও শাশুড়ি পলাতক। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট হওয়া যাবে।