ETV Bharat / state

হিন্দিতে সঞ্চালনার প্রতিবাদ, কলেজের পদ থেকে ইস্তফা 'অপমানিত' মেয়রের

আজ দুর্গাপুরে মাইকেল মধুসূদন দত্ত মেমোরিয়াল কলেজের দ্বারোদ্ঘাটন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল ৷ এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্তি ৷ প্রথম থেকেই হিন্দি ভাষায় অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা হচ্ছিল ৷ বক্তব্য রাখার সময় এ বিষয়ে আপত্তিও তোলেন দিলীপবাবু ৷ যদিও বক্তব্য শেষ হওয়ার পর ওই সঞ্চালিকা তাঁকেই সমালোচনা করে বলে অভিযোগ দিলীপের ৷

হিন্দিতে সঞ্চালনার প্রতিবাদ, কলেজের পদ থেকে ইস্তফা 'অপমানিত' মেয়রের
author img

By

Published : Sep 4, 2019, 10:42 PM IST

Updated : Sep 4, 2019, 11:16 PM IST

দুর্গাপুর, 4 সেপ্টেম্বর : কলেজের অনুষ্ঠানে সঞ্চালিকার হিন্দি বলার প্রতিবাদ দুর্গাপুরের মেয়রের ৷ কিন্তু প্রতিবাদ জানানোর পর তাঁকে সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয় বলে অভিযোগ ৷ কলেজের অধ্যক্ষও এ বিষয়ে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেননি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দুর্গাপুরের মহানাগরিক দিলীপ অগস্তি ৷ তিনি কেবলমাত্র দুর্গাপুরের মেয়রই নন ওই কলেজের পরিচালন সমিতির সদস্যও ৷ এই ঘটনার পরই তিনি পরিচালন সমিতির সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন ৷ যদিও ইস্তফার কথা সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি স্বীকার করেননি ৷

আজ দুর্গাপুরে মাইকেল মধুসূদন দত্ত মেমোরিয়াল কলেজের দ্বারোদ্ঘাটন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল ৷ এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্তি ৷ প্রথম থেকেই হিন্দি ভাষায় অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা হচ্ছিল ৷ বক্তব্য রাখার সময় এ বিষয়ে আপত্তিও তোলেন দিলীপবাবু ৷ বক্তব্যের শুরুতেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন ৷ বলেন, "আমি মধুসূদন কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি ৷ এই অনুষ্ঠানটি হিন্দিতে সঞ্চালনার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ৷" যদিও তাঁর বক্তব্য শেষ হওয়ার পর ওই সঞ্চালিকা তাঁকেই সমালোচনা করে বলে অভিযোগ দিলীপের ৷ অনুষ্ঠান মঞ্চেই রুকাইয়া হাসিন নামে ওই সঞ্চালিকা বলেন, "হিন্দি রাষ্ট্র ভাষা ৷ এই ভাষাকে আমাদের সকলের সম্মান জানানো উচিত ৷ এখানে এই ভাষা ব্যবহার করা হলে কারও কোনও আপত্তি থাকার কথা নয় ৷"

এরপর উত্তেজিত হয়ে দুর্গাপুরের মেয়র অনুষ্ঠান মঞ্চ ছেড়ে চলে যান ৷ তাঁকে শান্ত করার জন্য মঞ্চ ছেড়ে নেমে আসেন মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ জি এম হালালউদ্দিন ৷ ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকেও মেয়রকে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয় ৷ কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন দিলীপবাবু ৷ তিনি কলেজ থেকে দুর্গাপুর নগর নিগমে চলে যান ৷ এরপর কলেজের পরিচালন সমিতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি ৷ সেই ইস্তফা পত্র রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তরে পাঠিয়ে দেন ৷ যদিও তিনি তাঁর পদত্যাগের কথা স্বীকার করেননি ৷

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

দিলীপ অগস্তি বলেন, "কলেজের অনুষ্ঠানে হিন্দি ভাষায় সঞ্চালনা করায় দুঃখ প্রকাশ করি ৷ আমার অসন্তোষ প্রকাশ করার পর ওই সঞ্চালিকা আমারই সমালোচনা শুরু করেন ৷ এরপরও কলেজের অধ্যক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেননি ৷ বিষয়টা আমার খারাপ লেগেছে ৷ আমি শুধুমাত্র কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি নই, শহরের মহানাগরিকও ৷ অসম্মানিত হওয়ায় অনুষ্ঠান মঞ্চ ছেড়ে চলে এসেছি ৷"

দুর্গাপুর, 4 সেপ্টেম্বর : কলেজের অনুষ্ঠানে সঞ্চালিকার হিন্দি বলার প্রতিবাদ দুর্গাপুরের মেয়রের ৷ কিন্তু প্রতিবাদ জানানোর পর তাঁকে সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয় বলে অভিযোগ ৷ কলেজের অধ্যক্ষও এ বিষয়ে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেননি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দুর্গাপুরের মহানাগরিক দিলীপ অগস্তি ৷ তিনি কেবলমাত্র দুর্গাপুরের মেয়রই নন ওই কলেজের পরিচালন সমিতির সদস্যও ৷ এই ঘটনার পরই তিনি পরিচালন সমিতির সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন ৷ যদিও ইস্তফার কথা সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি স্বীকার করেননি ৷

আজ দুর্গাপুরে মাইকেল মধুসূদন দত্ত মেমোরিয়াল কলেজের দ্বারোদ্ঘাটন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল ৷ এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্তি ৷ প্রথম থেকেই হিন্দি ভাষায় অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা হচ্ছিল ৷ বক্তব্য রাখার সময় এ বিষয়ে আপত্তিও তোলেন দিলীপবাবু ৷ বক্তব্যের শুরুতেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন ৷ বলেন, "আমি মধুসূদন কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি ৷ এই অনুষ্ঠানটি হিন্দিতে সঞ্চালনার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ৷" যদিও তাঁর বক্তব্য শেষ হওয়ার পর ওই সঞ্চালিকা তাঁকেই সমালোচনা করে বলে অভিযোগ দিলীপের ৷ অনুষ্ঠান মঞ্চেই রুকাইয়া হাসিন নামে ওই সঞ্চালিকা বলেন, "হিন্দি রাষ্ট্র ভাষা ৷ এই ভাষাকে আমাদের সকলের সম্মান জানানো উচিত ৷ এখানে এই ভাষা ব্যবহার করা হলে কারও কোনও আপত্তি থাকার কথা নয় ৷"

এরপর উত্তেজিত হয়ে দুর্গাপুরের মেয়র অনুষ্ঠান মঞ্চ ছেড়ে চলে যান ৷ তাঁকে শান্ত করার জন্য মঞ্চ ছেড়ে নেমে আসেন মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ জি এম হালালউদ্দিন ৷ ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকেও মেয়রকে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয় ৷ কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন দিলীপবাবু ৷ তিনি কলেজ থেকে দুর্গাপুর নগর নিগমে চলে যান ৷ এরপর কলেজের পরিচালন সমিতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি ৷ সেই ইস্তফা পত্র রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তরে পাঠিয়ে দেন ৷ যদিও তিনি তাঁর পদত্যাগের কথা স্বীকার করেননি ৷

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

দিলীপ অগস্তি বলেন, "কলেজের অনুষ্ঠানে হিন্দি ভাষায় সঞ্চালনা করায় দুঃখ প্রকাশ করি ৷ আমার অসন্তোষ প্রকাশ করার পর ওই সঞ্চালিকা আমারই সমালোচনা শুরু করেন ৷ এরপরও কলেজের অধ্যক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেননি ৷ বিষয়টা আমার খারাপ লেগেছে ৷ আমি শুধুমাত্র কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি নই, শহরের মহানাগরিকও ৷ অসম্মানিত হওয়ায় অনুষ্ঠান মঞ্চ ছেড়ে চলে এসেছি ৷"

Intro:বুধবার মাইকেল মধুসূদন কলেজের নুতুন ভবনের দ্বারোদ্ঘাটন অনুষ্ঠানে সঞ্চালিকার হিন্দীতে অনর্গল সঞ্চালনার প্রতিবাদ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দুর্গাপুর পুরনিগমের মেয়র দিলীপ অগস্থি। কিন্তু তারা পরেও ওই সঞ্চালিকা মেয়রের সমালোচনা শুরু করলে মেয়র অনুষ্ঠান ছেড়ে বেরিয়েই এলেন না তিনি কলেজের গভর্নিং বডির সদস্যপদ থেকে ইস্তফাও দিলেন।যদিও মেয়র ইস্তফা দেওয়ার কথা সংবাদমাধ্যমের কাছে স্বীকার করেন নি।
ঘটনার সূত্রপাত দুর্গাপুর মাইকেল মধুসূদন দত্ত মেমোরিয়াল কলেজের নুতুন ভবনের দ্বারোদ্ঘাটনের পরে।অনুষ্ঠান মঞ্চে তখন সঞ্চালিকা হিন্দি ভাষায় অনুষ্ঠান পরিচালনা করছিলেন। আর এখানেই আপত্তি তোলেন দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্তির।নিজের বক্তব্য রাখার শুরুতেই দুর্গাপুরের মহানাগরিক অসন্তোষের কথা বলার সাথে সাথে দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, যেহেতু আমি মাইকেল মধুসূদন কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি তাই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আমি এখানে অনর্গল হিন্দী তে সঞ্চালনা করার জন্য।বাংলায় থেকে বাংলায় কথা বলবো না আমরা  এটা মানা যায়না।দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্তির বক্তব্য শেষ হওয়া মাত্রই ফের মাইক হাতে নিয়েই অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকা রুকাইয়া হাসিন দুর্গাপুরের মহানাগরিককে চ্যালেঞ্জ করে অনুষ্ঠান মঞ্চেই সঞ্চালিকা বলেন, ""হিন্দি রাষ্ট্র ভাষা তাকে সন্মান জানানো সবার উচিত। আর এইখানে যদি এই ভাষা ব্যবহার করা হয় তাহলে কারোর আপত্তির কি থাকতে সেটাই বুঝে উঠলাম না।""
এরপরই উত্তেজিত হয়ে দুর্গাপুরের মেয়র অনুষ্ঠান মঞ্চ ছেড়ে কলেজের গেটের দিকে হাঁটা শুরু করেন.দুর্গাপুরের মহানাগরিক মঞ্চ ছেড়ে নেমে যাওয়ায় সাথে সাথে তাকে শান্ত করার জন্য মঞ্চ ছেড়ে নেমে আসেন মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ জি.এম.হালালউদ্দিন, ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকেও মেয়রকে অনুষ্ঠানেই যোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় মেয়র কলেজ ছেড়ে দুর্গাপুর নগর নিগমে চলে আসেন.এখানেই থেমে না থেকে দুর্গাপুরের মহানাগরিক দিলীপ অগস্তি নিজের চেম্বারে এসে কলেজের গভর্নিং বডির পদ থেকে ইস্তফা পত্র লিখে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরে পাঠিয়ে দেন।
প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে দুর্গাপুরের মেয়র বলেন, আমি যেখানে মানীর মান থাকেনা সেখানে থাকি না। সাধারন একজন সঞ্চালিকা একজন মহানাগরিককে মঞ্চে দাঁড়িয়ে অপমান করার মত সাহস দেখাচ্ছে আর সেখানে সব দেখেশুনেও নীরব দর্শক হয়ে রয়ে গেলেন কলেজের অধ্যক্ষ থেকে শুরু করে সবাই। আমি বাংলায় থেকে বাংলা ভাষাকে অপমান করবো এটা তো হতে পারেনা।, আর তাই হিন্দী ভাষাকে সন্মান জানিয়েই আমি বাংলা ভাষার সন্মান দাবী করেছি।"" মেয়র পদত্যাগের কথা স্বীকার না করলেও সুত্র মারফৎ জানা যায় অফিসে ফিরেই কলেজের গভর্নিং বডির পদ থেকে তিনি ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরে।কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর সাধন চক্রবর্তী মেয়রকে সমর্থন জানিয়েছেন এই বিষয়ে।Body:হConclusion:হ
Last Updated : Sep 4, 2019, 11:16 PM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.