দুর্গাপুর, 4 সেপ্টেম্বর : কলেজের অনুষ্ঠানে সঞ্চালিকার হিন্দি বলার প্রতিবাদ দুর্গাপুরের মেয়রের ৷ কিন্তু প্রতিবাদ জানানোর পর তাঁকে সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয় বলে অভিযোগ ৷ কলেজের অধ্যক্ষও এ বিষয়ে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেননি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দুর্গাপুরের মহানাগরিক দিলীপ অগস্তি ৷ তিনি কেবলমাত্র দুর্গাপুরের মেয়রই নন ওই কলেজের পরিচালন সমিতির সদস্যও ৷ এই ঘটনার পরই তিনি পরিচালন সমিতির সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন ৷ যদিও ইস্তফার কথা সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি স্বীকার করেননি ৷
আজ দুর্গাপুরে মাইকেল মধুসূদন দত্ত মেমোরিয়াল কলেজের দ্বারোদ্ঘাটন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল ৷ এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্তি ৷ প্রথম থেকেই হিন্দি ভাষায় অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা হচ্ছিল ৷ বক্তব্য রাখার সময় এ বিষয়ে আপত্তিও তোলেন দিলীপবাবু ৷ বক্তব্যের শুরুতেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন ৷ বলেন, "আমি মধুসূদন কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি ৷ এই অনুষ্ঠানটি হিন্দিতে সঞ্চালনার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ৷" যদিও তাঁর বক্তব্য শেষ হওয়ার পর ওই সঞ্চালিকা তাঁকেই সমালোচনা করে বলে অভিযোগ দিলীপের ৷ অনুষ্ঠান মঞ্চেই রুকাইয়া হাসিন নামে ওই সঞ্চালিকা বলেন, "হিন্দি রাষ্ট্র ভাষা ৷ এই ভাষাকে আমাদের সকলের সম্মান জানানো উচিত ৷ এখানে এই ভাষা ব্যবহার করা হলে কারও কোনও আপত্তি থাকার কথা নয় ৷"
এরপর উত্তেজিত হয়ে দুর্গাপুরের মেয়র অনুষ্ঠান মঞ্চ ছেড়ে চলে যান ৷ তাঁকে শান্ত করার জন্য মঞ্চ ছেড়ে নেমে আসেন মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ জি এম হালালউদ্দিন ৷ ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকেও মেয়রকে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয় ৷ কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন দিলীপবাবু ৷ তিনি কলেজ থেকে দুর্গাপুর নগর নিগমে চলে যান ৷ এরপর কলেজের পরিচালন সমিতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি ৷ সেই ইস্তফা পত্র রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তরে পাঠিয়ে দেন ৷ যদিও তিনি তাঁর পদত্যাগের কথা স্বীকার করেননি ৷
দিলীপ অগস্তি বলেন, "কলেজের অনুষ্ঠানে হিন্দি ভাষায় সঞ্চালনা করায় দুঃখ প্রকাশ করি ৷ আমার অসন্তোষ প্রকাশ করার পর ওই সঞ্চালিকা আমারই সমালোচনা শুরু করেন ৷ এরপরও কলেজের অধ্যক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেননি ৷ বিষয়টা আমার খারাপ লেগেছে ৷ আমি শুধুমাত্র কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি নই, শহরের মহানাগরিকও ৷ অসম্মানিত হওয়ায় অনুষ্ঠান মঞ্চ ছেড়ে চলে এসেছি ৷"