দুর্গাপুর, 1 অগস্ট : বিজেপি সাংসদের কথার উপর আস্থা না রেখেই নিজেদের ঘর বাঁচাতে অন্দোলনে নামলেন তামলা বস্তি, ফরিদপুর,পলাশ ডিহা, ভিড়িঙ্গি চাষিপাড়া এলাকার বাসিন্দারা ৷ কয়েক সপ্তাহ আগেই দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা সম্প্রসারণ করতে এলাকার বাসিন্দাদের (যাঁরা কারখানার জমি অধিগ্রহণ করে বসবাস করছেন) জমি খালি করার নোটিশ দেওয়া হয়েছে কারখানার পক্ষ থেকে ৷ তারই প্রতিবাদে দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপে দুর্গাপুর নগর প্রশাসন ভবন ঘেরাও করে লাগাতার আন্দোলন চলছে উচ্ছেদের নোটিশ পাওয়া বাসিন্দাদের ৷ মঙ্গলবারও অব্যাহত ছিল বিক্ষোভ কর্মসূচি ৷
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দার আলুওয়ালিয়া ও দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষ এই মানুষদেরকে পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদ করতে চাইলে তাঁরা বুলডোজারের সামনে আগে গিয়ে দাঁড়াবেন । বিজেপির সাংসদ ও বিধায়কের কথায় আস্থা না রেখে মঙ্গলবার সকালে একবার দুর্গাপুরের 32 নম্বর ওয়ার্ড অর্থাৎ পলাশডিহার বাসিন্দারা দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার নগর প্রশাসন ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান । এদিনের আন্দোলনে মহিলারও সামিল হন ।
আন্দোলনকারী মুনিয়া ঘোষ বলেন, "আমরা চার পুরুষ ধরে এই জায়গাতে বসবাস করছি । কেন দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রথমেই বলে দেয়নি এই জায়গায় বসবাস করা যাবে না । আজ আমরা পরিবার নিয়ে কোথায় যাব ? আমরা আমরণ অনশনে বসবো দুর্গাপুর নগর প্রশাসন ভবনের সামনে। আমরা উচ্ছেদের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলব ।"
আরও পড়ুন: সবজির বাজারে রাহুলের 'মহব্বত', ফিকে মোদির 'আচ্ছে দিন'
উল্লেখ্য দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার জন্য আজ থেকে প্রায় 7 দশক আগে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহণ করে অব্যবহৃত অবস্থায় ফেলে রেখে দিয়েছিল । রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মানুষ এবং দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ দুর্গাপুরে জীবিকার সন্ধানে এসে এই সমস্ত ফাঁকা জমিতে বসবাস শুরু করেছিল । আজ এত বছর পর দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষের এই উচ্ছেদের নোটিশকে ঘিরে কার্যত তীব্র জনরোষ দেখা দিয়েছে।