ETV Bharat / state

এখানে দুর্গারূপে পূজিত হন দেবী ঈশ্বরী, থাকেন রূপোর কৌটোয় - দুর্গাপুজো 2020

ঈশ্বরী দেবীকে পুকুর থেকে কৌটোর মধ্যে পাওয়া গেছিল বলে কথিত আছে । জাগ্রত দেবী হিসেবে এলাকার বাসিন্দারা এই দেবীর পুজো করে থাকেন ।

iswari devi of maji family at sanktoria village in kulti
কুলটির সাঁকতোড়িয়ার মাজি পরিবারের রুপোর কৌটোয় ঈশ্বরী দেবীর পুজো
author img

By

Published : Oct 12, 2020, 4:35 PM IST

Updated : Oct 12, 2020, 8:45 PM IST

কুলটি, 12 অক্টোবর : বনেদি বাড়ির পুজোর সঙ্গে অনেক কাহিনি জড়িয়ে থাকে । তেমনই কুলটির সাঁকতোড়িয়া গ্রামের দেবী ঈশ্বরীর দুর্গাপুজো । এখানে দেবী রুপোর কৌটোয় পূজিত হন । প্রায় 200 বছর ধরে দেবী এখানে পূজিত হলেও সেই রুপোর কৌটো খুলে দেখেননি কেউ ।

কুলটির সাঁকতোড়িয়া গ্রামে মাজি পরিবারে অধিষ্ঠান করছেন দেবী ঈশ্বরী । গ্রামের প্রবীণদের কথায়, নাগরাকোন্দা নামে একটি গ্রাম থেকে দেবী ঈশ্বরী এই পরিবারে এসেছিলেন । সেই গ্রামের একটি পুকুরে রুপোর কৌটো পাওয়া গিয়েছিল । একই সময়ে সাঁকতোড়িয়া গ্রামের মাজি পরিবারের তৎকালীন পূর্বপুরুষ স্বপ্নাদেশ পান, দেবী ঈশ্বরীকে নিজের বাড়িতে নিয়ে এসে পুজো করার জন্য । সেইমতো রুপোর কৌটোটি নিয়ে আসেন তিনি । তখন থেকে ঈশ্বরী দেবীর পুজো হচ্ছে । নিত্যপুজোর পাশাপাশি দুর্গাপুজোর সময় সমস্ত নিয়ম মেনে দেবী ঈশ্বরীকে দুর্গারূপে পুজো করা হয় । দুর্গাপুজোর সময় নবপত্রিকা নিয়ে আসা হয় স্থানীয় পুকুর থেকে । চারদিন ধরে নিয়ম মেনে পুজো হয় । বলিদান হয় । শুধু সাঁকতোড়িয়া গ্রাম নয়, আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম এবং পুরুলিয়া জেলার প্রান্তিক গ্রাম থেকে অনেকের ভিড় জমে ঈশ্বরীর মন্দিরে । মন্দিরের সেবায়েত মিলন রায় বলেন, "আমি প্রায় 22 বছর ধরে এই ঈশ্বরী মায়ের পুজো করছি । মায়ের কৃপায় সুখে শান্তিতে আছি । মা খুব জাগ্রত । রুপোর কৌটোর মধ্যে মা রয়েছেন । কিন্তু সেই কৌটো খুলে দেখার সাহস আজও কারও হয়নি ।"

মাজি পরিবারের রুপোর কৌটোয় ঈশ্বরী দেবীর পুজো

গ্রামের বাসিন্দা শিবদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, "পুকুর থেকে পাওয়া গেছিল দেবী ঈশ্বরীকে । কিন্তু রুপোর কৌটো খুলে দেখিনি ভিতরে কী আছে । জাগ্রত দেবী হিসেবে আমরা পুজো করে আসছি । এলাকার যে কোনও মানুষের বিপদে-আপদে মানত করলে সব অলৌকিকভাবে সমাধান হয়ে যায় ।"

দুর্গাপুজোয় উৎসবের চেহারা নেয় ঈশ্বরীর মন্দির । পুজোর সময় আনন্দ-অনুষ্ঠান ও খাওয়া-দাওয়ায় মেতে থাকেন গ্রামের বাসিন্দারা । তবে এবছর কোরোনা পরিস্থিতিতে বলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ । পাশাপাশি উৎসবেও ভাঁটা পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ।

কুলটি, 12 অক্টোবর : বনেদি বাড়ির পুজোর সঙ্গে অনেক কাহিনি জড়িয়ে থাকে । তেমনই কুলটির সাঁকতোড়িয়া গ্রামের দেবী ঈশ্বরীর দুর্গাপুজো । এখানে দেবী রুপোর কৌটোয় পূজিত হন । প্রায় 200 বছর ধরে দেবী এখানে পূজিত হলেও সেই রুপোর কৌটো খুলে দেখেননি কেউ ।

কুলটির সাঁকতোড়িয়া গ্রামে মাজি পরিবারে অধিষ্ঠান করছেন দেবী ঈশ্বরী । গ্রামের প্রবীণদের কথায়, নাগরাকোন্দা নামে একটি গ্রাম থেকে দেবী ঈশ্বরী এই পরিবারে এসেছিলেন । সেই গ্রামের একটি পুকুরে রুপোর কৌটো পাওয়া গিয়েছিল । একই সময়ে সাঁকতোড়িয়া গ্রামের মাজি পরিবারের তৎকালীন পূর্বপুরুষ স্বপ্নাদেশ পান, দেবী ঈশ্বরীকে নিজের বাড়িতে নিয়ে এসে পুজো করার জন্য । সেইমতো রুপোর কৌটোটি নিয়ে আসেন তিনি । তখন থেকে ঈশ্বরী দেবীর পুজো হচ্ছে । নিত্যপুজোর পাশাপাশি দুর্গাপুজোর সময় সমস্ত নিয়ম মেনে দেবী ঈশ্বরীকে দুর্গারূপে পুজো করা হয় । দুর্গাপুজোর সময় নবপত্রিকা নিয়ে আসা হয় স্থানীয় পুকুর থেকে । চারদিন ধরে নিয়ম মেনে পুজো হয় । বলিদান হয় । শুধু সাঁকতোড়িয়া গ্রাম নয়, আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম এবং পুরুলিয়া জেলার প্রান্তিক গ্রাম থেকে অনেকের ভিড় জমে ঈশ্বরীর মন্দিরে । মন্দিরের সেবায়েত মিলন রায় বলেন, "আমি প্রায় 22 বছর ধরে এই ঈশ্বরী মায়ের পুজো করছি । মায়ের কৃপায় সুখে শান্তিতে আছি । মা খুব জাগ্রত । রুপোর কৌটোর মধ্যে মা রয়েছেন । কিন্তু সেই কৌটো খুলে দেখার সাহস আজও কারও হয়নি ।"

মাজি পরিবারের রুপোর কৌটোয় ঈশ্বরী দেবীর পুজো

গ্রামের বাসিন্দা শিবদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, "পুকুর থেকে পাওয়া গেছিল দেবী ঈশ্বরীকে । কিন্তু রুপোর কৌটো খুলে দেখিনি ভিতরে কী আছে । জাগ্রত দেবী হিসেবে আমরা পুজো করে আসছি । এলাকার যে কোনও মানুষের বিপদে-আপদে মানত করলে সব অলৌকিকভাবে সমাধান হয়ে যায় ।"

দুর্গাপুজোয় উৎসবের চেহারা নেয় ঈশ্বরীর মন্দির । পুজোর সময় আনন্দ-অনুষ্ঠান ও খাওয়া-দাওয়ায় মেতে থাকেন গ্রামের বাসিন্দারা । তবে এবছর কোরোনা পরিস্থিতিতে বলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ । পাশাপাশি উৎসবেও ভাঁটা পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ।

Last Updated : Oct 12, 2020, 8:45 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.