ETV Bharat / state

দুর্গাপুরে গুলিবিদ্ধ যুবক, অভিযুক্ত স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা

দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীতে গুলিবিদ্ধ হল এক যুবক। তাকে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের দুর্গাপুর এক নম্বর ব্লকের নেতার বিরুদ্ধে।

দুর্গাপুরে গুলিবিদ্ধ যুবক
author img

By

Published : Mar 10, 2019, 6:29 AM IST

দুর্গাপুর, ১০ মার্চ : দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীতে গুলিবিদ্ধ হল রাহুল সিং ওরফে আপ্পু নামে এক যুবক। তাকে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে আর টি রায় ওরফে রকি ও দীপক রায় ওরফে কাঞ্চা নামের দুই যুবকের বিরুদ্ধে। এরা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের দুর্গাপুর এক নম্বর ব্লকের নেতা। পাশাপাশি, দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপ এলাকায় তোলাবাজি চালাত বলে অভিযোগ। এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে ইস্পাত নগরীর এ-জ়োন লালময়দানে গুলির লড়াই হয়। সেই সময় আপ্পুর পেটে গুলি লাগলে তাকে গান্ধিমোড়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

আকবর রোডের বাসিন্দা রকি শাসকদলের যুব সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। রকি, কাঞ্চা সহ আরও বেশ কয়েকজন যুবক শাসকদলের আশ্রয়ে বিভিন্ন জায়গায় তোলাবাজি চালাত বলে অভিযোগ। এদিকে শাসকদলের এক নেতার ঘনিষ্ঠ আপ্পু। তার বিরুদ্ধেও দুর্গাপুর থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

এলাকা দখলের জন্য একাধিকবার তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। এর আগে আকবর রোডের একটি দোকানে ঢুকে রকি তার দলবল নিয়ে হামলা চালায়। ব্যাপক মারধর করে দোকান মালিককে। গ্রেপ্তারও হয়। পরে মুক্তি পেয়েই শাসকদলের যুবসংগঠনে নাম লেখায়। এরপর থেকে তার দাদাগিরি আরও বেড়ে যায় বলে অভিযোগ।

গতরাত প্রায় ১১টা নাগাদ আপ্পু তার বাড়ি এ-জ়োন DVC মোড় বস্তির সামনে একটি দোকানে দাঁড়িয়েছিল। হঠাৎ রকি, কাঞ্চা সহ কয়েকজন এসে আপ্পুকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। একটি গুলি আপ্পুর পেটে লাগলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর এরা শূন্যে গুলি করতে করতে বাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। আপ্পুকে প্রথমে দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে ও পরে সিটি সেন্টারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপ্পুকে হাসপাতালে দেখতে যান তৃণমূল কাউন্সিলর রাজীব ঘোষ।

এই কুখ্যাত দুষ্কৃতীরা শাসকদলের প্রথম সারিতে কীভাবে এল? দলের ভিতরে এই প্রশ্ন অনেকদিন ধরেই উঠছিল। অভিযোগ, শাসকদলের কেউ আপ্পুকে মদত দিত আবার কেউ রকি ও তার দলবলকে। যদিও শাসকদলের পশ্চিম বর্ধমান জেলার কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখার্জি বলেন, "এরা কেউ দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। এরা দুষ্কৃতী। পুলিশকে বলেছি যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।" হাসপাতাল সুত্রে খবর, আপ্পুর পেট থেকে গুলি বেরিয়ে গেছে। তার চিকিৎসা চলছে। এখন সে ভালো আছে।

দুর্গাপুর, ১০ মার্চ : দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীতে গুলিবিদ্ধ হল রাহুল সিং ওরফে আপ্পু নামে এক যুবক। তাকে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে আর টি রায় ওরফে রকি ও দীপক রায় ওরফে কাঞ্চা নামের দুই যুবকের বিরুদ্ধে। এরা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের দুর্গাপুর এক নম্বর ব্লকের নেতা। পাশাপাশি, দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপ এলাকায় তোলাবাজি চালাত বলে অভিযোগ। এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে ইস্পাত নগরীর এ-জ়োন লালময়দানে গুলির লড়াই হয়। সেই সময় আপ্পুর পেটে গুলি লাগলে তাকে গান্ধিমোড়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

আকবর রোডের বাসিন্দা রকি শাসকদলের যুব সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। রকি, কাঞ্চা সহ আরও বেশ কয়েকজন যুবক শাসকদলের আশ্রয়ে বিভিন্ন জায়গায় তোলাবাজি চালাত বলে অভিযোগ। এদিকে শাসকদলের এক নেতার ঘনিষ্ঠ আপ্পু। তার বিরুদ্ধেও দুর্গাপুর থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

এলাকা দখলের জন্য একাধিকবার তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। এর আগে আকবর রোডের একটি দোকানে ঢুকে রকি তার দলবল নিয়ে হামলা চালায়। ব্যাপক মারধর করে দোকান মালিককে। গ্রেপ্তারও হয়। পরে মুক্তি পেয়েই শাসকদলের যুবসংগঠনে নাম লেখায়। এরপর থেকে তার দাদাগিরি আরও বেড়ে যায় বলে অভিযোগ।

গতরাত প্রায় ১১টা নাগাদ আপ্পু তার বাড়ি এ-জ়োন DVC মোড় বস্তির সামনে একটি দোকানে দাঁড়িয়েছিল। হঠাৎ রকি, কাঞ্চা সহ কয়েকজন এসে আপ্পুকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। একটি গুলি আপ্পুর পেটে লাগলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর এরা শূন্যে গুলি করতে করতে বাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। আপ্পুকে প্রথমে দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে ও পরে সিটি সেন্টারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপ্পুকে হাসপাতালে দেখতে যান তৃণমূল কাউন্সিলর রাজীব ঘোষ।

এই কুখ্যাত দুষ্কৃতীরা শাসকদলের প্রথম সারিতে কীভাবে এল? দলের ভিতরে এই প্রশ্ন অনেকদিন ধরেই উঠছিল। অভিযোগ, শাসকদলের কেউ আপ্পুকে মদত দিত আবার কেউ রকি ও তার দলবলকে। যদিও শাসকদলের পশ্চিম বর্ধমান জেলার কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখার্জি বলেন, "এরা কেউ দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। এরা দুষ্কৃতী। পুলিশকে বলেছি যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।" হাসপাতাল সুত্রে খবর, আপ্পুর পেট থেকে গুলি বেরিয়ে গেছে। তার চিকিৎসা চলছে। এখন সে ভালো আছে।

Intro:দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীতে গ্যাং ওয়ার।গুলিবিদ্ধ রাহুল সিং ওরফে আপ্পু নামের এক যুবক।তাকে গুলি করে শাসকদলের যুব সংগঠনে দুর্গাপুরের এক নম্বর ব্লকের নেতা আরটি রায় ওরফে রকি রায় এবং দীপক রায় ওরফে কাঞ্চা নামের দুই যুবক।এরা দুর্গাপুর স্টিল টাউনশীপ এলাকায় দাদাগিরি তোলাবাজি করে বেড়াত বলে অভিযোগ ।এলাকা দখল কে কেন্দ্র করে ইস্পাত নগরীর এ-জোন লালময়দানে গুলির লড়াই হয়।আপ্পু র পেটে গুলি লাগলে তাকে গান্ধীমোড়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর আকবর রোডের বাসিন্দা আরটি রায় ওরফে রকি শাসকদলের যুব সংগঠনের সাথে যুক্ত।এর আগেও রকির বিরুদ্ধে অনেকগুলি অভিযোগ থাকা স্বত্তেও তাকে শাসকদলের যুব সংগঠনের সাথে যুক্ত করা হয়। সিপিআই(এম) আশ্রিত এক কয়লা মাফিয়া বর্তমানে যে শাসকদলের ঘনিষ্ট যার বাড়ি বেনাচিতি অঞ্চলে সেই ব্যাক্তিই এই রকিদের মাথা।রকি,কাঞ্চা সহ আরো বেশ কিছু যুবক শাসকদলের আশ্রয়ে বিভিন্ন জায়গায় তোলাবাজি চালাত বলে অভিযোগ। অন্যদিকে আবার শাসকদলের এক নেতার ঘনিষ্ট বিজয় সিং ওরফে আপ্পু।সেও এক কুখ্যাত অপরাধী।তার বিরুদ্ধেও বহু অভিযোগ রয়েছে দুর্গাপুর থানায়।এই আপ্পুর সাথে রকি র সম্পর্ক সাপে-নেউলের মত।দীর্ঘদিন ধরেই এরা এলাকা দখলের জন্য একে অপরের সাথে মারামারি করে আসছে।এর আগে আকবর রোডের একটি দোকানে ঢুকে আরটি রায় ওরফে রকি তার দলবল নিয়ে হামলা চালায়।ব্যাপক মারধর করে দোকান মালিক কে।এলাকাছাড়া থাকে কয়েকমাস।পরে গ্রেপ্তার হয়।তারপরে মুক্তি পেয়েই শাসকদলের যুবসংগঠনে নাম লেখায়।এবার তার দাদাগিরি আরো বেড়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে।শনিবার রাত প্রায় ১ ১ টা নাগাদ বিজয় সিং ওরফে আপ্পু তার বাড়ি এ-জোন ডিভিসি মোড় বস্তীর সামনে একটি দোকানে দাঁড়িয়েছিল।হটাত রকি,কাঞ্চাসহ কয়েকজন এসে আচমকা আপ্পু কে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বলে অভিযোগ। একটি গুলি আপ্পুর পেটে লাগলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।এরপরে এরা শুন্যে গুলি ছুড়তে ছুড়তে বাইক নিয়ে পালিয়ে যায়।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দুর্গাপুর থানার পুলিশ।আপ্পুকে প্রথমে দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে ও পরে সিটিসেন্টারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। আপ্পু কে হাসপাতালে দেখতে যায় টিএমসি কাউন্সিলর রাজীব ঘোষ। কিন্তু এই কুখ্যাত দুষ্কৃতিকারীরা শাসকদলের প্রথম সারিতে কিভাবে এলো?দলের অন্দরে এই প্রশ্ন অনেকদিন ধরেই উঠছিল।শাসকদলের কোনও নেতা আপ্পুকে মদত দিত আবার কেও রকি ও তার দলবলকে বলে অভিযোগ। যদিও শাসকদলের পশ্চিম বর্ধমান জেলার কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখার্জ্জী জানান "" এরা কেও দলের সাথে যুক্ত নয়।এরা দুষ্কৃতি।পুলিশ কে বলেছি যথাযোগ্য ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য।""বেসরকারি হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে আপ্পুর পেটে গুলি বেরিয়ে গেছে।তার চিকিৎসা চলছে।এখন সে ভালো আছে।তবে স্ক্যান করে তার পেটে গুলি ঢুকে কতটা ক্ষতি হয়েছে তা না দেখা পর্যন্ত কিছু বলা যাবেনা।পুলিশ শাসকদলের যুবসংগঠনের সাথে যুক্ত আরটি রায় ওরফে রকি ও তার দলবলের সবার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।।Body:দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীতে গ্যাং ওয়ার।গুলিবিদ্ধ রাহুল সিং ওরফে আপ্পু নামের এক যুবক।তাকে গুলি করে শাসকদলের যুব সংগঠনে দুর্গাপুরের এক নম্বর ব্লকের নেতা আরটি রায় ওরফে রকি রায় এবং দীপক রায় ওরফে কাঞ্চা নামের দুই যুবক।এরা দুর্গাপুর স্টিল টাউনশীপ এলাকায় দাদাগিরি তোলাবাজি করে বেড়াত বলে অভিযোগ ।এলাকা দখল কে কেন্দ্র করে ইস্পাত নগরীর এ-জোন লালময়দানে গুলির লড়াই হয়।আপ্পু র পেটে গুলি লাগলে তাকে গান্ধীমোড়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর আকবর রোডের বাসিন্দা আরটি রায় ওরফে রকি শাসকদলের যুব সংগঠনের সাথে যুক্ত।এর আগেও রকির বিরুদ্ধে অনেকগুলি অভিযোগ থাকা স্বত্তেও তাকে শাসকদলের যুব সংগঠনের সাথে যুক্ত করা হয়। সিপিআই(এম) আশ্রিত এক কয়লা মাফিয়া বর্তমানে যে শাসকদলের ঘনিষ্ট যার বাড়ি বেনাচিতি অঞ্চলে সেই ব্যাক্তিই এই রকিদের মাথা।রকি,কাঞ্চা সহ আরো বেশ কিছু যুবক শাসকদলের আশ্রয়ে বিভিন্ন জায়গায় তোলাবাজি চালাত বলে অভিযোগ। অন্যদিকে আবার শাসকদলের এক নেতার ঘনিষ্ট বিজয় সিং ওরফে আপ্পু।সেও এক কুখ্যাত অপরাধী।তার বিরুদ্ধেও বহু অভিযোগ রয়েছে দুর্গাপুর থানায়।এই আপ্পুর সাথে রকি র সম্পর্ক সাপে-নেউলের মত।দীর্ঘদিন ধরেই এরা এলাকা দখলের জন্য একে অপরের সাথে মারামারি করে আসছে।এর আগে আকবর রোডের একটি দোকানে ঢুকে আরটি রায় ওরফে রকি তার দলবল নিয়ে হামলা চালায়।ব্যাপক মারধর করে দোকান মালিক কে।এলাকাছাড়া থাকে কয়েকমাস।পরে গ্রেপ্তার হয়।তারপরে মুক্তি পেয়েই শাসকদলের যুবসংগঠনে নাম লেখায়।এবার তার দাদাগিরি আরো বেড়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে।শনিবার রাত প্রায় ১ ১ টা নাগাদ বিজয় সিং ওরফে আপ্পু তার বাড়ি এ-জোন ডিভিসি মোড় বস্তীর সামনে একটি দোকানে দাঁড়িয়েছিল।হটাত রকি,কাঞ্চাসহ কয়েকজন এসে আচমকা আপ্পু কে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বলে অভিযোগ। একটি গুলি আপ্পুর পেটে লাগলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।এরপরে এরা শুন্যে গুলি ছুড়তে ছুড়তে বাইক নিয়ে পালিয়ে যায়।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দুর্গাপুর থানার পুলিশ।আপ্পুকে প্রথমে দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে ও পরে সিটিসেন্টারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। আপ্পু কে হাসপাতালে দেখতে যায় টিএমসি কাউন্সিলর রাজীব ঘোষ। কিন্তু এই কুখ্যাত দুষ্কৃতিকারীরা শাসকদলের প্রথম সারিতে কিভাবে এলো?দলের অন্দরে এই প্রশ্ন অনেকদিন ধরেই উঠছিল।শাসকদলের কোনও নেতা আপ্পুকে মদত দিত আবার কেও রকি ও তার দলবলকে বলে অভিযোগ। যদিও শাসকদলের পশ্চিম বর্ধমান জেলার কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখার্জ্জী জানান "" এরা কেও দলের সাথে যুক্ত নয়।এরা দুষ্কৃতি।পুলিশ কে বলেছি যথাযোগ্য ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য।""বেসরকারি হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে আপ্পুর পেটে গুলি বেরিয়ে গেছে।তার চিকিৎসা চলছে।এখন সে ভালো আছে।তবে স্ক্যান করে তার পেটে গুলি ঢুকে কতটা ক্ষতি হয়েছে তা না দেখা পর্যন্ত কিছু বলা যাবেনা।পুলিশ শাসকদলের যুবসংগঠনের সাথে যুক্ত আরটি রায় ওরফে রকি ও তার দলবলের সবার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।।Conclusion:দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীতে গ্যাং ওয়ার।গুলিবিদ্ধ রাহুল সিং ওরফে আপ্পু নামের এক যুবক।তাকে গুলি করে শাসকদলের যুব সংগঠনে দুর্গাপুরের এক নম্বর ব্লকের নেতা আরটি রায় ওরফে রকি রায় এবং দীপক রায় ওরফে কাঞ্চা নামের দুই যুবক।এরা দুর্গাপুর স্টিল টাউনশীপ এলাকায় দাদাগিরি তোলাবাজি করে বেড়াত বলে অভিযোগ ।এলাকা দখল কে কেন্দ্র করে ইস্পাত নগরীর এ-জোন লালময়দানে গুলির লড়াই হয়।আপ্পু র পেটে গুলি লাগলে তাকে গান্ধীমোড়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর আকবর রোডের বাসিন্দা আরটি রায় ওরফে রকি শাসকদলের যুব সংগঠনের সাথে যুক্ত।এর আগেও রকির বিরুদ্ধে অনেকগুলি অভিযোগ থাকা স্বত্তেও তাকে শাসকদলের যুব সংগঠনের সাথে যুক্ত করা হয়। সিপিআই(এম) আশ্রিত এক কয়লা মাফিয়া বর্তমানে যে শাসকদলের ঘনিষ্ট যার বাড়ি বেনাচিতি অঞ্চলে সেই ব্যাক্তিই এই রকিদের মাথা।রকি,কাঞ্চা সহ আরো বেশ কিছু যুবক শাসকদলের আশ্রয়ে বিভিন্ন জায়গায় তোলাবাজি চালাত বলে অভিযোগ। অন্যদিকে আবার শাসকদলের এক নেতার ঘনিষ্ট বিজয় সিং ওরফে আপ্পু।সেও এক কুখ্যাত অপরাধী।তার বিরুদ্ধেও বহু অভিযোগ রয়েছে দুর্গাপুর থানায়।এই আপ্পুর সাথে রকি র সম্পর্ক সাপে-নেউলের মত।দীর্ঘদিন ধরেই এরা এলাকা দখলের জন্য একে অপরের সাথে মারামারি করে আসছে।এর আগে আকবর রোডের একটি দোকানে ঢুকে আরটি রায় ওরফে রকি তার দলবল নিয়ে হামলা চালায়।ব্যাপক মারধর করে দোকান মালিক কে।এলাকাছাড়া থাকে কয়েকমাস।পরে গ্রেপ্তার হয়।তারপরে মুক্তি পেয়েই শাসকদলের যুবসংগঠনে নাম লেখায়।এবার তার দাদাগিরি আরো বেড়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে।শনিবার রাত প্রায় ১ ১ টা নাগাদ বিজয় সিং ওরফে আপ্পু তার বাড়ি এ-জোন ডিভিসি মোড় বস্তীর সামনে একটি দোকানে দাঁড়িয়েছিল।হটাত রকি,কাঞ্চাসহ কয়েকজন এসে আচমকা আপ্পু কে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বলে অভিযোগ। একটি গুলি আপ্পুর পেটে লাগলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।এরপরে এরা শুন্যে গুলি ছুড়তে ছুড়তে বাইক নিয়ে পালিয়ে যায়।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দুর্গাপুর থানার পুলিশ।আপ্পুকে প্রথমে দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে ও পরে সিটিসেন্টারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। আপ্পু কে হাসপাতালে দেখতে যায় টিএমসি কাউন্সিলর রাজীব ঘোষ। কিন্তু এই কুখ্যাত দুষ্কৃতিকারীরা শাসকদলের প্রথম সারিতে কিভাবে এলো?দলের অন্দরে এই প্রশ্ন অনেকদিন ধরেই উঠছিল।শাসকদলের কোনও নেতা আপ্পুকে মদত দিত আবার কেও রকি ও তার দলবলকে বলে অভিযোগ। যদিও শাসকদলের পশ্চিম বর্ধমান জেলার কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখার্জ্জী জানান "" এরা কেও দলের সাথে যুক্ত নয়।এরা দুষ্কৃতি।পুলিশ কে বলেছি যথাযোগ্য ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য।""বেসরকারি হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে আপ্পুর পেটে গুলি বেরিয়ে গেছে।তার চিকিৎসা চলছে।এখন সে ভালো আছে।তবে স্ক্যান করে তার পেটে গুলি ঢুকে কতটা ক্ষতি হয়েছে তা না দেখা পর্যন্ত কিছু বলা যাবেনা।পুলিশ শাসকদলের যুবসংগঠনের সাথে যুক্ত আরটি রায় ওরফে রকি ও তার দলবলের সবার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.