আসানসোল, 6 সেপ্টেম্বর: গরু পাচার সংক্রান্ত সমস্ত মামলা দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে স্থানান্তরিত করা নিয়ে আর কোনও বাধা রইল না। বুধবার ইডির আবেদনে আসানসোল সিবিআই আদালত সিলমোহর দিয়ে দিল। আগামী 11 নভেম্বরের মধ্যে এই মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরিত করা হবে। এরপর থেকে গরুপাচার সংক্রান্ত সমস্ত মামলা দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টেই শুনানি হবে। আসানসোল সিবিআই আদালতে এ বিষয়ে কোনও শুনানি হবে না। যদিও সিবিআই আদালতের এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চতর আদালতের দারস্থও হতে পারেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীরা, এমন ইঙ্গিত তারা দিয়েছেন।
গত 28 জুলাই 44 (1/সি) ধারায় ইডি আসানসোল সিবিআই আদালতে আবেদন করেছিল গরু পাচার সংক্রান্ত সমস্ত মামলাকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এরপর গত 19 অগস্ট এবং 3 সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানিতে ইডির এক্তিয়ার নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। তিনি এই সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশিকা বা নথি দেখতে চান। যা সেই সময় দেখাতে পারেনি ইডি আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র। পুনরায় 6 সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বুধবার সেই শুনানির তারিখ দিয়েছিলেন দিন ধার্য করেছিলেন আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী বুধবার এই বিষয়ে পুনরায় শুনানি হয় এদিন বিচারককে সন্তুষ্ট করতে 2005 সালের প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং (পিএমএলএ) অ্যাক্ট সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের জারি করা একটি গেজেট নোটিফিকেশন কোর্টের কাছে পেশ করেন ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র।
অভিজিৎ ভদ্র বলেন, "সরকারি বিধান যখন আছে, তখন জজ সাহেব সেই বিধান দেখেই এই মামলাকে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের পিএমএলএ'তে স্থানান্তরিত করেছেন। 2005 সালে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থমন্ত্রক প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং একটা গেজেট নোটিফিকেশন জারি করেছিল ইডি'কে এই সংক্রান্ত ক্ষমতা প্রদান করেছিল। আমরা সেই নোটিফিকেশন তুলে দিয়েছি কোর্টে। এরপরেই বিচারক সেই নোটিফিকেশন দেখে সন্তুষ্ট হন। দু'পাতার রায়ে মামলাকে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেন। ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্রের কথায়, "গরুপাচার মামলা সংক্রান্ত আর কোনও শুনানি আসানসোল সিবিআই কোর্টে হবে না। আগামিদিনে সমস্ত শুনানি রাউস অ্যভিনিউ করতে হবে।"
গরু পাচার মামলায় এখনও তদন্ত করছে সিবিআই। প্রায় 500 জন সাক্ষী রয়েছেন বাংলায়। তাহলে সেই সাক্ষীদের দিল্লি নিয়ে যাওয়া বা নতুন কেউ কোনও গ্রেফতার হলে তাকে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে হাজির করানোর ক্ষেত্রে অসুবিধার কারণ হতে পারে বলে দাবি করেছেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ। তবে আইনগতভাবে এই মামলাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা নেই বলেই তার মন্তব্য। যদিও আগামিদিনে আসানসোল সিবিআই আদালতের এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চতর আদালতে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ।
আরও পড়ুন: 'কোন অধিকারে তদন্ত করছেন ?' গরু পাচার মামলায় বিচারকের প্রশ্নের মুখে ইডি