ETV Bharat / state

ভুল বানানে ধুঁকছে বাংলা ভাষা, অমর একুশে আক্ষেপ বিশিষ্টজনদের

ভাষাদিবসে বাংলা ভাষার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আক্ষেপ বিশিষ্টজনদের।

বানান ভুল
author img

By

Published : Feb 21, 2019, 2:45 PM IST

আসানসোল, ২১ ফেব্রুয়ারি: "মোদের গরব মোদের আশা আ-মরি বাংলা ভাষা।" বাংলা নিয়ে এমন আবেগ আজও কান পাতলে শোনা যায়। একুশে ফেব্রুয়ারির সকাল থেকেই পাড়ায় পাড়ায় "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো..." গানে মেতে উঠতে দেখা যায় আপামর বাঙালিকে। কিন্তু তারপরেও ধুঁকছে বাংলা ভাষা। শপিংমল থেকে সিনেমা হল - সর্বত্রই সাইনবোর্ডে ইংরেজির রমরমা। কোনও কোনও সাইনবোর্ডে বাংলা দেখা গেলেও তাতে অজস্র বানান ভুল চোখে পড়ে। আর এর ব্যতিক্রম নয় ঝাড়খণ্ড সীমান্তবর্তী শহর আসানসোল।

আসানসোলের রাস্তায় বেরোলে আজকাল খুব একটা বাংলা শোনা যায় না। সীমান্তবর্তী এই শহরে হিন্দিভাষী মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বাসে, ট্রেনে চড়লে হিন্দি আর ভোজপুরি ভাষার জগাখিচুড়ি শুনতে হয়। শহুরে বাঙালিরাও সেই ভাষা রপ্ত করে ফেলছেন। রাস্তায় বেরোলে সাইনবোর্ড, হোর্ডিং কিংবা বাসে-ট্যাক্সিতে আজকাল আর বাংলা হরফ দেখা যায় না । যে দু'একটি জায়গায় তা দেখা যায়, সেখানেও অজস্র বানান ভুল।

যেমন আসানসোলের চেলিডাঙা অঞ্চলে একটি অভিজাত মিষ্টির দোকানের সাইনবোর্ডে ভুল মিষ্টি বানানটা ভুল। দীর্ঘদিন ধরে সাইনবোর্ডে ভুল বানান জ্বলজ্বল করছে। কারও হুঁশ নেই। আসানসোল-দুর্গাপুর রুটের বেশিরভাগ বাসের গায়ে "দূর্গাপুর" লেখা। পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে যে ব্যানার লেখা হয়েছে, তাতেও ভুল বানান চোখকে পীড়া দেয়। প্রশাসনের সাইনবোর্ডেও চোখে পড়ে ভুল বানান। বার্নপুর রোডে পুলিশ লাইনের সামনেই কোর্ট বানান লেখা হয়েছে "কোট"।

এই বিষয়ে আসানসোলের বিশিষ্ট চিকিৎসক তথা কবি অরুণাভ সেনগুপ্ত বলেন, "অন্য ভাষার প্রভাব বাংলা ভাষায় চলে আসছে। আর সাধারণ বাঙালিরাও তাতে মজে যাচ্ছে। ফলে বাংলা ভাষা তার নিজস্বতা হারাচ্ছে। সেই দিন খুব বেশি দূরে নয় যেদিন বাংলা ভাষা হারিয়ে যাবে। পৃথিবীতে প্রতি দু'সপ্তাহে একটি করে ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে।" আসানসোলের বিশিষ্ট কবি মনোজ মাজি বলেন "এই সব বানান চোখে দেখা যায় না। লাখ লাখ টাকা খরচ করে দুর্গাপুজো হয়, অথচ লেখা হয় দূর্গা। আমরা পরবর্তী প্রজন্মকে কী শিখিয়ে যাচ্ছি?"

undefined

একমাত্র মানুষ সচেতন হলেই বাংলা ভাষা আবার গর্বের ভাষা হয়ে উঠতে পারে। তাই প্রয়োজন ভাষা সচেতনতার। মাতৃভাষা দিবসে এই দাবিই উঠল আসানসোলের বিশিষ্টজনদের গলায়।

আসানসোল, ২১ ফেব্রুয়ারি: "মোদের গরব মোদের আশা আ-মরি বাংলা ভাষা।" বাংলা নিয়ে এমন আবেগ আজও কান পাতলে শোনা যায়। একুশে ফেব্রুয়ারির সকাল থেকেই পাড়ায় পাড়ায় "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো..." গানে মেতে উঠতে দেখা যায় আপামর বাঙালিকে। কিন্তু তারপরেও ধুঁকছে বাংলা ভাষা। শপিংমল থেকে সিনেমা হল - সর্বত্রই সাইনবোর্ডে ইংরেজির রমরমা। কোনও কোনও সাইনবোর্ডে বাংলা দেখা গেলেও তাতে অজস্র বানান ভুল চোখে পড়ে। আর এর ব্যতিক্রম নয় ঝাড়খণ্ড সীমান্তবর্তী শহর আসানসোল।

আসানসোলের রাস্তায় বেরোলে আজকাল খুব একটা বাংলা শোনা যায় না। সীমান্তবর্তী এই শহরে হিন্দিভাষী মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বাসে, ট্রেনে চড়লে হিন্দি আর ভোজপুরি ভাষার জগাখিচুড়ি শুনতে হয়। শহুরে বাঙালিরাও সেই ভাষা রপ্ত করে ফেলছেন। রাস্তায় বেরোলে সাইনবোর্ড, হোর্ডিং কিংবা বাসে-ট্যাক্সিতে আজকাল আর বাংলা হরফ দেখা যায় না । যে দু'একটি জায়গায় তা দেখা যায়, সেখানেও অজস্র বানান ভুল।

যেমন আসানসোলের চেলিডাঙা অঞ্চলে একটি অভিজাত মিষ্টির দোকানের সাইনবোর্ডে ভুল মিষ্টি বানানটা ভুল। দীর্ঘদিন ধরে সাইনবোর্ডে ভুল বানান জ্বলজ্বল করছে। কারও হুঁশ নেই। আসানসোল-দুর্গাপুর রুটের বেশিরভাগ বাসের গায়ে "দূর্গাপুর" লেখা। পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে যে ব্যানার লেখা হয়েছে, তাতেও ভুল বানান চোখকে পীড়া দেয়। প্রশাসনের সাইনবোর্ডেও চোখে পড়ে ভুল বানান। বার্নপুর রোডে পুলিশ লাইনের সামনেই কোর্ট বানান লেখা হয়েছে "কোট"।

এই বিষয়ে আসানসোলের বিশিষ্ট চিকিৎসক তথা কবি অরুণাভ সেনগুপ্ত বলেন, "অন্য ভাষার প্রভাব বাংলা ভাষায় চলে আসছে। আর সাধারণ বাঙালিরাও তাতে মজে যাচ্ছে। ফলে বাংলা ভাষা তার নিজস্বতা হারাচ্ছে। সেই দিন খুব বেশি দূরে নয় যেদিন বাংলা ভাষা হারিয়ে যাবে। পৃথিবীতে প্রতি দু'সপ্তাহে একটি করে ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে।" আসানসোলের বিশিষ্ট কবি মনোজ মাজি বলেন "এই সব বানান চোখে দেখা যায় না। লাখ লাখ টাকা খরচ করে দুর্গাপুজো হয়, অথচ লেখা হয় দূর্গা। আমরা পরবর্তী প্রজন্মকে কী শিখিয়ে যাচ্ছি?"

undefined

একমাত্র মানুষ সচেতন হলেই বাংলা ভাষা আবার গর্বের ভাষা হয়ে উঠতে পারে। তাই প্রয়োজন ভাষা সচেতনতার। মাতৃভাষা দিবসে এই দাবিই উঠল আসানসোলের বিশিষ্টজনদের গলায়।

Intro:"মোদের গরব মোদের আশা আ মরি বাংলা ভাষা"। বাংলা নিয়ে এমন আবেগ আজও কান পাতলে শোনা যায়। একুশে ফেব্রুয়ারির সকাল থেকেই পাড়ায় পাড়ায় "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো" গানে মেতেও উঠতে দেখা যায় আপামর বাঙালিকে। কিন্তু দিনে দিনে যেন দৈন্য হতে শুরু করেছে বাংলা ভাষা। রাস্তায় বেরোলে এদিক ওদিক চোখ গেলেই চোখ যেন কড়কড় করে ওঠে । একদিকে অন্যান্য ভাষার সাইন বোর্ড আর তার পাশে কোথাও এক চিলতে বাংলা দেখা গেলেও তাতে অজস্র বানান ভুল ।এমনই চিত্র বাংলা ঝাড়খন্ড সীমান্তবর্তী শহর আসানসোলে। এখানে বাংলা ভাষা বিপন্ন। আর তাই মাতৃভাষা দিবসে আক্ষেপের সুর বেরিয়ে এলো শহরের বিশিষ্ট জনের গলায়।


Body:আসানসোলের পথে-ঘাটে বেরোলে আজকাল খুব একটা আর বাংলা শোনা যায় না। একেই সীমান্তবর্তী শহর। হিন্দি ভাষাভাষী মানুষের জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অন্যান্য ভাষার দখলদারি। বাসে, ট্রেনে চাপলে হিন্দি আর ভোজপুরি ভাষার সংমিশ্রণে জগাখিচুড়ী আঞ্চলিক ভাষা শুনতে হয়। শহুরে বাঙালিরাও সেই ভাষা রপ্ত করে ফেলছেন, এমন অভিযোগ বহুদিনের। অন্যদিকে রাস্তায় বেরোলে সাইনবোর্ড, হোডিং কিংবা বাসে ট্যাক্সিতে আজকাল আর বাংলা লেখা দেখা যায় না । দু-একটি জায়গায় দেখা গেলেও তাতে অজস্র বানান ভুল ।
যেমন আসানসোলের চেলিডাঙ্গা অঞ্চলে একটি অভিজাত মিষ্টির দোকানের বানান বহু বছর ধরে ভুল লেখা আছে। এলাকার দৃশ্য দূষণ হলেও সেই বানান কিন্তু বদলায়নি। আসানসোল দুর্গাপুর রুটের বেশিরভাগ বাসে "দূর্গাপুর" বানান লেখা হয় । পুলওয়ামায় নিহত শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ব্যানারেও দেখা মিলছে সেই ভুল বানানের।
শুধু তাই নয় বহুজাতিক সংস্থার দোকান, অভিজাত বিপণি সংস্থা অবলীলায় বানান ভুল লিখেই দোকানের বাইরে বোর্ড লাগাচ্ছে। এসব ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখা গেলেও সরকারের লাগানো বোর্ডে বানান ভুল ক্ষমা করা যায় না। বার্নপুর রোডে পুলিশ লাইনের সামনেই কোর্ট বানান লেখা হয়েছে "কোট"।
এ যন্ত্রণা থেকে হয়তো মুক্তি নেই। দিনে দিনে এই যন্ত্রণা আরও বাড়ছে। আর তাই হতাশ শহরের বিশিষ্টজনেরা। আসানসোলের বিশিষ্ট চিকিৎসক তথা কবি ডাক্তার অরুণাভ সেনগুপ্ত জানালেন, " অন্য ভাষার প্রভাব বাংলা ভাষায় চলে আসছে ।আর সাধারন বাঙালিরাও তাতে মজে যাচ্ছেন। ফলে বাংলা ভাষা তার স্বকীয়তা হারাচ্ছে। দিন দিন এমন চলতে থাকলে খুব বেশি দূরে নয় যেদিন বাংলা ভাষা হারিয়ে যাবে।" উদাহরণ দিয়ে তিনি জানান পৃথিবীতে প্রতি দু সপ্তাহে একটি করে ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে।
আসানসোলের বিশিষ্ট কবি মনোজ মাঝি কষ্ট পেয়ে জানালেন "এ বানান চোখে দেখা যায় না। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে দুর্গাপূজা হয়, অথচ "দূর্গা" বানান লেখা হয় বিভিন্ন জায়গায়। একই ভুল চোখে পড়ে দুর্গাপুর বানানের ক্ষেত্রে। আমরা পরবর্তী প্রজন্মকে কি শিখিয়ে যাচ্ছি?"


Conclusion:একমাত্র মানুষ সচেতন হলেই এই ভুল দূরে যাবে। বাংলা ভাষা আবার গর্বের ভাষা হয়ে উঠতে পারে। তাই প্রয়োজন ভাষা সচেতনতার। মাতৃভাষা দিবসে এই দাবিই উঠল আসানসোলের বিশিষ্টজনদের গলায়।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.