কৃষ্ণগঞ্জ ,10 মে : লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন দিনমজুররা। হাতে নেই টাকা ৷ অগত্যা, বাড়ির শিশুকে দুধের জায়গায় ফ্যান খাওয়াতে হচ্ছে। এই খবরটা পৌঁছাতেই কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকার অন্তর্ভুক্ত নিম্নবিত্ত পরিবারের প্রতিটি শিশুর জন্য দুধের ব্যবস্থা করল জেলা পুলিশ।
নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের সীমান্ত লাগোয়া নোনাগঞ্জ গ্রাম। এই গ্রামে মোট 92 টি আদিবাসী পরিবার বসবাস করে। এই অঞ্চলের বেশিরভাগ লোকই দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালান ৷ লকডাউনে বন্ধ রোজগার ৷ সরকারের তরফে মিলছে রেশন ৷ তাই দিয়ে ভরছে পরিবারের বড়দের পেট ৷ তবে ছোটোদের খাবার জোটাতে পাচ্ছেন না মা-বাবা ৷ নিরুপায় হয়ে তাঁদের সন্তানদের খাওয়াতে হচ্ছে ফ্যান ৷
খবরটা কানে পৌঁছাতেই , কৃষ্ণগঞ্জ থানার OC রাজ শেখর পাল , আদিবাসীদের এই গ্রামে গিয়ে শিশুদের জন্য বেবি ফুডের ব্যবস্থা করেন। প্রত্যেক শিশুর জন্য বেবি ফুড তুলে দেন রাজশেখর বাবু । এমনকী, গ্রামের প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ব্যবস্থা করেন হেলথ ড্রিঙ্কসের ৷ যাতে পুষ্টির অভাব না দেখা যায় ৷ OC -র এই সামাজিক কাজে পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর সতীর্থরাও ৷
নদিয়ার কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার DCP হেডকোয়ার্টার কৌশিক বসাকও আজ উপস্থিত ছিলেন OC-র এই উদ্যোগে । সংবাদ মাধ্যমের কাছে সরাসরি কিছু না জানালেও OC রাজশেখর পালের মানবিকতার মুখ দেখে মুগ্ধ ঊর্ধ্বতন আধিকারিক। এছাড়াও খাদ্য বিলির সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণগঞ্জের CI নীহারঞ্জন রায়। এই ব্যাপারে OC রাজশেখর পাল নিজেও সংবাদ মাধ্যমের কাছে কিছু বলতে রাজি হননি। তবে তার সহাস্য জবাব ,"আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে । আমার থানার সব শিশুরাই ভালো থাকুক আমি তাই চাই।"