ধুবুলিয়া, 3 অগাস্ট: অনেকদিনের সম্পর্ক ৷ সেই সম্পর্ককে পরিণতি দিতে চেয়েছিলেন যুবতি ৷ বিয়ে করে সংসারি হতে চেয়েছিলেন প্রেমিকের সঙ্গে ৷ কিন্তু, টাকাপয়সা চেয়েছিল যুবকের পরিবার ৷ অর্থনৈতিক সঙ্গতি না থাকায় টাকা পয়সা দিতে পারবে না বলে জানিয়েছিল যুবতির বাড়ির লোকজন ৷ পণ ছাড়াই তাঁকে ঘরের বউ করে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রেমিককে কিছুটা চাপ দিয়েছিলেন যুবতি ৷ সেকারণে তাঁকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল প্রেমিক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনায় গ্রেপ্তার প্রেমিক ও তার দাদা ৷ মৃতার নাম পারভিনা খাতুন (26) ৷ নদিয়ার ধুবুলিয়া থানার ঝিটকিপোতার ঘটনা ৷
জানা গেছে, ঝিটকিপোতার বাসিন্দা পারভিনার সঙ্গে স্থানীয় যুবক সেকেন্দার শেখের প্রেমের সম্পর্ক ছিল প্রায় ছয় বছরের বেশি সময় ধরে ৷ অভিযোগ 30 জুলাই পারভিনাকে ফোন করে তার বাড়িতে ডাকে সেকেন্দার৷ রাত বারোটা নাগাদ পারভিনা সেখানে গেলে তাকে মারধর করে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় সেকেন্দার ও তার বাড়ির লোকজন ৷ পরে জ্বলন্ত অবস্থায় পারভিনাকে বাড়ির বাইরে ফেলে দেওয়া হয় ৷ স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পারভিনার পরিবারকে খবর দিলে তারা তাঁকে উদ্ধার করে ধুবুলিয়া হাসপাতালে ভরতি করেন ৷ সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ সেখানেই আজ পারভিনার মারা যান ৷
আরও পড়ুন : নদিয়ায় BJP নেতাকে বেধড়ক মারধর, গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতাসহ দুই
পারভিনার দাদা পিন্টুর অভিযোগ, "আমরা বোনের সঙ্গে সেকেন্দারের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে ওদের বাড়িতে যাই ৷ কিন্তু বিয়ের জন্য সেকেন্দার ও তার বাড়ির লোক পাঁচলাখ টাকা ও গাড়ি দাবি করে ৷ পরে সেকেন্দার যখন জানতে পারে বোনের ফোনে তাদের কথোপকথন রেকর্ড আছে, তখনই বোনকে ডেকে পাঠায় ৷ বোন সেখানে গেলে তাকে মারধর করে পুড়িয়ে মারে সেকেন্দার ও তার পরিবার ৷"
পারভিনার পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে ধুবুলিয়া থানার পুলিশ সেকেন্দার ও তার দাদা মইদুল শেখকে গ্রেপ্তার করে ৷ যদিও সেকেন্দারের দাবি, পারভিনা নিজেই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগায় ৷ তাকে বাঁচাতে গিয়ে সেকেন্দারের শরীরের অনেকাংশ পুড়ে যায় ৷ আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সেকেন্দার ৷ তার পরিবারের অন্য সদস্যদের ধরতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ ৷ এই ঘটনায় সেকেন্দার ও তার পরিবারের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছে যুবতির পরিবার ৷
