কলকাতা, 16 সেপ্টেম্বর: বিজেপি নির্যাতিতার বিচার চায় কিন্তু একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ ও কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়ালের গ্রেফতারিও চায় । এমনটাই দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে, নির্যাতিতার বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলনেই থাকবে বলে জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
সোমবার বিজেপির ধর্নার সমাপ্তি হলেও আন্দোলন জারি থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন। আর সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিলেন বিজেপির পরবর্তী কর্মসুচিও। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে 19দিন ধরে বিজেপির যে ধর্না অবস্থা চলছিল এদিন ছিল তার শেষ দিন। তবে নির্যাতিতা বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলনেই থাকবে বলেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে বিজেপি।
এদিন ধর্মতলার সভামঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "প্রথম দিন থেকেই নির্যাতিতার বিচার চেয়ে নিঃস্বার্থভাবেই বিজেপি জুনিয়ার চিকিৎসকদের পাশে রয়েছে। প্রথম দিন থেকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপিই প্রথম রাজ্যপালের কাছে সিবিআই তদন্তের আবেদন করেছিল। এমনকী কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতিরও কাছে সিবিআই তদন্তের দাবি করে বিজেপি।"
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সরকারি মদতে এই খুন হয়েছে। পুলিশমন্ত্রী সরাসরি যুক্ত বলেও এদিন দাবি করে বিজেপি। শুভেন্দু আরও বলেন, "টালা থানার ওসির গ্রেফতারি প্রমাণ করে দিল যে তথ্য প্রমাণ প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এখন মিথ্যার পর মিথ্যা কথা বলেছেন। টালা থানার ওসির বাড়িতে সহমর্মিতা দেখানোর জন্য পুলিশ পাঠিয়েছেন যাতে সিবিআইয়ের কাছে বিনীত গোয়ালের নাম না নেন অভিজিৎ মণ্ডল।" তিনি আরও বলেন, "আমরা মনে করি প্রমাণ লোপাট করার জন্য 20 জনের টিম পাঠানো হয়েছিল। এটাও একটা তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা।"
বিশ্বকর্মা পুজোর দিন কোনও কর্মসূচি নেই বলেও জানিয়েছেন বিজেপি রাজ্যসভাপতি। তবে আগামী 1 অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় স্ট্রিট কর্নার এবং পঞ্চায়েতগুলিতে পথ সভা করা হবে। পাশাপাশি এক কোটি সই সংগ্রহ করে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে দেওয়া হবে বিজেপির তরফে। রাজ্যপালের কাছে এই সরকারকে উৎখাত করার দাবি জানানো হবে।