ব্যারাকপুর, 16 সেপ্টেম্বর: আরজি করে নির্যাতিতার সুবিচারের দাবিতে একসঙ্গে স্লোগান দিয়েছিলেন ৷ সেখান থেকেই বন্ধুত্ব ৷ বাড়ে ঘনিষ্ঠতাও ৷ এবার সেই দুই যুবকের বিরুদ্ধেই গণধর্ষণের অভিযোগ তুললেন বন্ধু তরুণী ৷ মদ্যপ অবস্থায় গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল । যা ঘিরে সোমবার তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় উত্তর 24 পরগনার খড়দা থানা এলাকায় । নির্যাতিতা তরুণীর অভিযোগ পেয়ে পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ৷ ধৃতদের নাম অর্ঘ্য দাস ও শুভম ধর । দু'জনকে এদিন ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন ।
পুলিশ সূত্রে খবর, জাস্টিস ফর আরজি কর স্লোগান তুলে নির্যাতিতার সুবিচারের দাবিতে গলা মিলিয়েছিলেন ধৃত দু'জনেই । সেই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে গিয়েই তরুণীর সঙ্গে আলাপ, পরিচয় তাদের । এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব । সেই সূত্র ধরে তরুণীর সঙ্গে ক্রমেই ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে বলে অভিযোগ । আর সেই ফাঁদে পড়ে গণধর্ষণের শিকার হন বছর ঊনিশের তরুণী ।
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ওই তরুণীর বাড়ি খড়দার এমএস মুখার্জি রোডে । আর অভিযুক্ত অর্ঘ্য ও শুভম । দু'জনেই বেলঘড়িয়ার বাসিন্দা । সূত্রের খবর, মাসখানেক আগে সোদপুর ট্রাফিক মোড়ে আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডে ন্যায়বিচার চেয়ে প্রতিবাদে নেমেছিলেন খড়দার ওই তরুণী । সেখানেই শুভম নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর । অভিযোগ, এরপর সোশাল মিডিয়া মারফত বন্ধুত্ব হয় একে অপরের সঙ্গে । পরস্পরের সঙ্গে কথোপকথনে ঘনিষ্ঠতাও বাড়তে থাকে বলে অভিযোগ ।
এরপরই, শনিবার রাতে বন্ধু অর্ঘ্য দাসকে সঙ্গে নিয়ে তরুণীর খড়দহের বাড়িতে যায় শুভম । সেখানেই মদ্যপ অবস্থায় দু'জনে মিলে তরুণীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ । সেই কুকর্ম ভিডিয়ো করে রাখে অভিযুক্তরা । পরে, সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে নির্যাতিতা তরুণীকে ব্ল্যাকমেল করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে । ঘটনার একদিন পর নির্যাতিতা তরুণী খড়দা থানায় গণধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্ত এই দু'জনকে । গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে খড়দা থানার পুলিশ । অন্যদিকে, নির্যাতিতা তরুণীর ইতিমধ্যে মেডিক্যাল পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে খড়দার এক হাসপাতালে ।