ETV Bharat / state

প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই মালদায় বিক্ষোভ বিজেপি কর্মীদের, পার্টি অফিস ভাঙচুর

যেন শাসকদলেরই ছবি৷ প্রার্থী ঘোষণার পরেই ক্ষোভ আছড়ে পড়ল মালদা জেলার বিজেপি শিবিরে৷ হরিশ্চন্দ্রপুরে রীতিমতো ভাঙচুর চালানো হল দলীয় দফতরে৷ ঘোষিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা৷

Harishchandrapur
BJP CANDIDATE
author img

By

Published : Mar 18, 2021, 11:09 PM IST

মালদা, 18 মার্চ : বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই শাসকদলের মতোই একই চিত্র দেখা গেল মালাদা জেলার বিজেপির পার্টি অফিসে। বিশেষত হরিশ্চন্দ্রপুরে প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। ভাঙচুর করা হয় পার্টি অফিস। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভও দেখানো হয়।

দিল্লি থেকে মালদা জেলার 12 আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। জেলার হরিশচন্দ্রপুর আসনে প্রার্থী করা হয়েছে মতিউর রহমানকে। আর এরপরেই বেঁধেছে গন্ডগোল। মতিউর রহমানের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করার দাবি নিয়ে ক্ষোভ দেখিয়েছেন স্থানীয় কর্মী-সমর্থকরা। হরিশ্চন্দ্রপুরের বিজেপি মণ্ডল সভাপতি রূপেশ আগরওয়াল জানিয়েছেন, মতিউর রহমানকে প্রার্থী করার জন্য মোটা অংকের টাকা খেয়েছেন উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু ও দলের জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল৷

তিনি বলেন, মতিউর রহমান একটা সমাজবিরোধী৷ আগে তাকে এখানে দেখা যেত না৷ ভোটের আগে এখানে এসেছে৷ 7-8 জন বন্দুকধারী নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে৷ দেখলেই সমাজবিরোধী বলে মনে হয়৷ বিজেপির কিছু দালাল টাকা খেয়ে ওকে ভোটের টিকিট দিয়েছে৷ তাকে এখানকার দলের কেউ প্রার্থী হিসাবে মেনে নিতে পারছে না৷ আমরা এই দালাল চক্র মানছি না৷ তাই আমরা এই ভোট বয়কট করলাম৷

প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই মালদায় বিক্ষোভ বিজেপি কর্মীদের, পার্টি অফিস ভাঙচুর

বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলছেন, কারা, কেন, কী উদ্দেশ্যে এসব করছে তা দেখতে হবে৷ অর্থের বিনিময়ে প্রার্থী করার অভিযোগটাই ভুল৷ কারণ, প্রার্থী করেছে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি৷ তাতে অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা সহ আরও অনেকে রয়েছেন৷ তাই এক্ষেত্রে জেলা সভাপতি কিংবা সাংসদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা সঠিক নয়৷ তবে হরিশ্চন্দ্রপুরে পার্টি অফিস ভাঙচুরের কোনও খবর আমার কাছে আসেনি৷ তেমনটা হলে আমি তাঁদের জেলা দফতরে ডাকছি৷ আমরা তাঁদের বক্তব্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানাব৷

গেরুয়া শিবিরকে বিঁধতে ছাড়েনি শাসক তৃণমূলও৷ দলের জেলা কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার বলেন, বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই আছে৷ এবার দল পুরোনো কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত বিধায়ককে টিকিট দেবে না বলে ঠিক করেছিল৷ যারা আগে সেই খবর জানতে পেরেছিল, তারা বিজেপিতে গিয়েছে৷ এছাড়াও বিজেপি অনেককে ভয় দেখিয়ে নিজেদের দলে টেনেছে৷ মালদাতেও তেমন ঘটনা ঘটেছে৷ কিন্তু বিজেপির তরফে তাদেরও টিকিট দেয়নি৷ একই চিত্র দেখা গেল মালদা বিধানসভা কেন্দ্রেও।

মালদা, 18 মার্চ : বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই শাসকদলের মতোই একই চিত্র দেখা গেল মালাদা জেলার বিজেপির পার্টি অফিসে। বিশেষত হরিশ্চন্দ্রপুরে প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। ভাঙচুর করা হয় পার্টি অফিস। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভও দেখানো হয়।

দিল্লি থেকে মালদা জেলার 12 আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। জেলার হরিশচন্দ্রপুর আসনে প্রার্থী করা হয়েছে মতিউর রহমানকে। আর এরপরেই বেঁধেছে গন্ডগোল। মতিউর রহমানের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করার দাবি নিয়ে ক্ষোভ দেখিয়েছেন স্থানীয় কর্মী-সমর্থকরা। হরিশ্চন্দ্রপুরের বিজেপি মণ্ডল সভাপতি রূপেশ আগরওয়াল জানিয়েছেন, মতিউর রহমানকে প্রার্থী করার জন্য মোটা অংকের টাকা খেয়েছেন উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু ও দলের জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল৷

তিনি বলেন, মতিউর রহমান একটা সমাজবিরোধী৷ আগে তাকে এখানে দেখা যেত না৷ ভোটের আগে এখানে এসেছে৷ 7-8 জন বন্দুকধারী নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে৷ দেখলেই সমাজবিরোধী বলে মনে হয়৷ বিজেপির কিছু দালাল টাকা খেয়ে ওকে ভোটের টিকিট দিয়েছে৷ তাকে এখানকার দলের কেউ প্রার্থী হিসাবে মেনে নিতে পারছে না৷ আমরা এই দালাল চক্র মানছি না৷ তাই আমরা এই ভোট বয়কট করলাম৷

প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই মালদায় বিক্ষোভ বিজেপি কর্মীদের, পার্টি অফিস ভাঙচুর

বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলছেন, কারা, কেন, কী উদ্দেশ্যে এসব করছে তা দেখতে হবে৷ অর্থের বিনিময়ে প্রার্থী করার অভিযোগটাই ভুল৷ কারণ, প্রার্থী করেছে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি৷ তাতে অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা সহ আরও অনেকে রয়েছেন৷ তাই এক্ষেত্রে জেলা সভাপতি কিংবা সাংসদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা সঠিক নয়৷ তবে হরিশ্চন্দ্রপুরে পার্টি অফিস ভাঙচুরের কোনও খবর আমার কাছে আসেনি৷ তেমনটা হলে আমি তাঁদের জেলা দফতরে ডাকছি৷ আমরা তাঁদের বক্তব্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানাব৷

গেরুয়া শিবিরকে বিঁধতে ছাড়েনি শাসক তৃণমূলও৷ দলের জেলা কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার বলেন, বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই আছে৷ এবার দল পুরোনো কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত বিধায়ককে টিকিট দেবে না বলে ঠিক করেছিল৷ যারা আগে সেই খবর জানতে পেরেছিল, তারা বিজেপিতে গিয়েছে৷ এছাড়াও বিজেপি অনেককে ভয় দেখিয়ে নিজেদের দলে টেনেছে৷ মালদাতেও তেমন ঘটনা ঘটেছে৷ কিন্তু বিজেপির তরফে তাদেরও টিকিট দেয়নি৷ একই চিত্র দেখা গেল মালদা বিধানসভা কেন্দ্রেও।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.