ETV Bharat / state

কৃষি বিল কৃষক-বন্ধু, দাবি মালদায় BJP-র - মালদায় বিজেপির সাংবাদিক বৈঠক

এদিন বিলের সপক্ষে বেশি বক্তব্য রাখেন শ্রীরূপাদেবী । একাধিক যুক্তি দিয়ে তিনি এই বিলকে কৃষকবান্ধব বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন ৷ সেই যুক্তিতে তিনি কৃষকদের একবার অশিক্ষিত বলেও মন্তব্য করেন ৷

BJP leader
BJP leader
author img

By

Published : Sep 27, 2020, 5:29 PM IST

মালদা, 27 সেপ্টেম্বর : গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে গেরুয়া ঝড়ে উড়ে গিয়েছিল বাকিরা ৷ রাজ্যের শাসকদলও পাহাড় থেকে গঙ্গাপাড় পর্যন্ত কলকে পায়নি ৷ কিন্তু আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সেই গেরুয়া রথ উত্তরের পথে হোঁচট খাবে না তো ? সাম্প্রতিক কৃষি বিলের পরিপ্রেক্ষিতে সেই প্রশ্নই উঠেছে মালদা সহ গোটা উত্তরবঙ্গে ৷ এই বিলের জন্য বিধানসভা নির্বাচনের লড়াইটা যে কঠিন, তা বুঝেছে খোদ BJPও ৷ বিলের প্রতিবাদ জানিয়ে ইতিমধ্যেই NDA সঙ্গ ছেড়েছে BJPএর সবচেয়ে পুরোনো বন্ধু শিরোমণি অকালি দল । বাকি বন্ধুদের অবস্থানও খুব ভালো ঠেকছে না গেরুয়া শিবিরের ৷ তার উপর এই বিলের প্রতিবাদে গোটা দেশ জুড়েই শুরু হয়েছে কৃষক বিক্ষোভ ৷ তাতে শামিল হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও ৷ বিরোধীদের এই প্রতিবাদ আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাই এ রাজ্যের দলীয় নেতানেত্রীদের গেরুয়া শিবিরের উপরমহলের নির্দেশ, পশ্চিম বাংলায় এই বিলের সমর্থনে নামতে হবে সবাইকে ৷ বিলের সপক্ষে নিয়ে আসতে হবে রাজ্যের কৃষকদের ৷ তারই অঙ্গ হিসাবে আজ মালদা জেলায় কৃষি বিল নিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে BJP ৷ জোনাল এই সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন BJP কিষানমোর্চার রাজ্য সভাপতি মহাদেব সরকার, সাংসদ খগেন মুর্মু, নেত্রী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি, দলের জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল সহ অন্যান্যরা ৷

এদিন বিলের সপক্ষে বেশি বক্তব্য রাখেন শ্রীরূপাদেবী । একাধিক যুক্তি দিয়ে তিনি এই বিলকে কৃষকবান্ধব বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন ৷ সেই যুক্তিতে তিনি কৃষকদের একবার অশিক্ষিত বলেও মন্তব্য করেন ৷ তিনি বলেন, “আমরা কৃষি বিল নিয়ে আগামীতে কৃষকদের বোঝাবো ৷ তার জন্য আমরা হাটে-বাজারে, এমনকি বাড়িতে গিয়েও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলব ৷ BJP ও কিষানমোর্চার পক্ষ থেকে রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় আগামী 28 সেপ্টেম্বর থেকে 4 অক্টোবর পর্যন্ত এই বিলের সমর্থনে মিছিল করা হবে ৷ তারপর আমরা গোটা রাজ্যে ‘শুনুন চাষিভাই’ নামে একটি কর্মসূচির আয়োজন করা হবে । এই কর্মসূচিতে চাষিদের হাতে বিলের সমর্থনে পত্রক তুলে দেওয়া হবে । এই বিল তিনটি অধ্যায়ে সংসদে পাস হয়েছে ৷ বিলের মূল বিষয়, চাষিরা যে সামগ্রী উৎপাদন করছে, তা তাঁরা কীভাবে দেশ ও আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করতে পারবে ৷ বিলের প্রথম অধ্যায়ে অংশটি রয়েছে ৷ এখন যে পদ্ধতিতে দেশে ফসলের ক্রয়-বিক্রয় চলে, তা পুরোপুরি এগ্রিকালচারাল প্রোডিউস মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয় ৷ ফলে নিজেদের উৎপাদিত ফসল চাষিদের নিজেদের বিক্রি করার ক্ষমতা নেই ৷ ফসলের দাম নির্ধারণেরও ক্ষমতা নেই তাঁদের । প্রধানমন্ত্রী দেশের উৎপাদিত সামগ্রী বিদেশে রপ্তানিতে জোর দিয়েছেন ৷ এই বিলের মাধ্যমে চাষিদের সামনে সেই দরজা খুলে গেল ৷ এই বিল কৃষক সশক্তিকরণের পথ দেখিয়েছে ৷ বিলের দ্বিতীয় অংশে কন্ট্র্যাক্ট ফার্মিং-এর কথা বলা হয়েছে ৷ এখন দেশের ছোট কৃষকরা নিজেদের জমি লিজে দিয়ে দেয় ৷ অন্তত তিন বছরের জন্য তাঁরা নিজেদের জমি অন্যের হাতে তুলে দেয় ৷ নয়া বিলেও কন্ট্র্যাক্ট ফার্মিং-এর কথা বলা হয়েছে । কিন্তু এখন থেকে যারা জমি কন্ট্র্যাক্ট নেবে, তাঁদের হাতে জমির অধিকার থাকবে না ৷ শুধুমাত্র ফসলের অধিকার থাকবে ৷ একজন চাষির সঙ্গে আগাম চুক্তির ভিত্তিতেই এই কন্ট্র্যাক্ট হবে । অর্থাৎ চাষির হাতে জমি, চাষ ও উৎপাদিত ফসলের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা চলে আসবে ৷ কোথাও কোনও সমস্যা দেখা দিলে আইনি অধিকারও থাকবে চাষিদের ৷ এই বিলে দালাল ও ফড়েদের দাপট একেবারে কমে যাবে ৷ বিলের তৃতীয় অংশে বলা হয়েছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের কথা ৷ 1955 সালে এই আইন তৈরি হয়েছিল ৷ সেই সময় আমাদের বাইরের দেশ খাদ্য আমদানি করতে হত । কিন্তু এখন দেশে খাদ্যের উদ্বৃত্ত উৎপাদন ৷ এখন আমরাই খাদ্যসামগ্রী বিদেশে রপ্তানি করতে পারি ৷ তাই আলু-পেঁয়াজের মতো ফসলকে এই তালিকার বাইরে করা হয়েছে । এতে চাষিরা সরাসরি ফসল রপ্তানি করতে পারবে ৷ কোল্ড স্টোরেজে রাখতে হবে । তাঁরা এই ব্যবসার সব বন্ধনমুক্ত হবে ৷ দেশের বেশিরভাগ চাষিই অশিক্ষিত ৷ স্বাধীনতার এতদিন পরেও আমরা তাঁদের আর্থ সামাজিক কিংবা শিক্ষার মান উন্নত করার চেষ্টা করিনি ৷ একে হাতিয়ার করে বিরোধীরা চাষিদের এই বিল নিয়ে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে ৷ বিরোধীরা এর আগে স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য চিৎকার করতো ৷ আজ যখন সেই সুপারিশ প্রধানমন্ত্রী বাস্তবায়িত করলেন, তখন বিরোধীরা এই বিলের প্রতিবাদ করে দ্বিচারিতা করছে ৷ আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি৷”

BJP কিষানমোর্চার রাজ্য সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, “রাজ্যের শাসকদল কৃষি বিলের বিরোধিতা করছে ৷ অথচ তারা এখনও পর্যন্ত রাজ্যের কৃষকদের স্বার্থে কোনও পরিকল্পনা নিতে পারেনি ৷ শুধু রাজ্য নয়, এর আগে দেশের কোনও সরকারও কৃষক স্বার্থে কোনও পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারেনি ৷ প্রধানমন্ত্রীর মিশন, 2022 সালের মধ্যে দেশের প্রত্যেক কৃষকের রোজগার দ্বিগুন করা হবে ৷ সেই মিশনের এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ এই কৃষি বিল । আমরা এই বিল নিয়ে কৃষক ও সাধারণ মানুষের কাছে যাবো । সবাইকে বোখাবো, যারা কৃষক সম্মাননিধি প্রকল্প রাজ্যে ঢুকতে না দিয়ে এখানকার 76 লাখ কৃষকের পেটে লাথি মেরেছে, যারা আমফানের টাকা চুরি করেছে, তারাই আজ এই কৃষি বিলকে বিকৃতভাবে উপস্থাপিত করার চেষ্টা করছে ৷ এদের কথায় যেন কেউ বিশ্বাস না করে, তার জন্য আমরা প্রতিটি কৃষকের কাছে যাবো ৷ দিদি এখন সব হিসেব নিকেশ করে রাজ্যে কৃষক সম্মাননিধি প্রকল্প চালু করতে চাইছেন ৷ শর্ত দিয়েছেন, এই প্রকল্পের টাকা সরাসরি কৃষকদের দেওয়া যাবে না ৷ টাকা তাঁদের দিতে হবে । অর্থাৎ এখান থেকেও টাকা লুটের চেষ্টা করছেন তিনি ।”

সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, “এই বিলের মাধ্যমে 1955 সালের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনকে সংশোধন করা হয়েছে ৷ এই সংশোধনীর মাধ্যমে কৃষকরা ব্যক্তি স্বাধীনতা পেতে চলেছেন ৷ 55 বছর ক্ষমতায় থাকলেও কংগ্রেস দেশের কৃষকদের স্বার্থে কিছু ভাবেনি ৷ এই বিলের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করছেন ৷ স্বাধীনতার 74 বছর পরেও দেশে সবচেয়ে গরিব কৃষকরা ৷ পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যার 85ভাগ কৃষক ৷ তার মধ্যে 96 শতাংশ কৃষকই গরিব ৷ প্রধানমন্ত্রীর জন্য তাঁদের গরিবি এবার ঘুচতে চলেছে ৷”

মালদা, 27 সেপ্টেম্বর : গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে গেরুয়া ঝড়ে উড়ে গিয়েছিল বাকিরা ৷ রাজ্যের শাসকদলও পাহাড় থেকে গঙ্গাপাড় পর্যন্ত কলকে পায়নি ৷ কিন্তু আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সেই গেরুয়া রথ উত্তরের পথে হোঁচট খাবে না তো ? সাম্প্রতিক কৃষি বিলের পরিপ্রেক্ষিতে সেই প্রশ্নই উঠেছে মালদা সহ গোটা উত্তরবঙ্গে ৷ এই বিলের জন্য বিধানসভা নির্বাচনের লড়াইটা যে কঠিন, তা বুঝেছে খোদ BJPও ৷ বিলের প্রতিবাদ জানিয়ে ইতিমধ্যেই NDA সঙ্গ ছেড়েছে BJPএর সবচেয়ে পুরোনো বন্ধু শিরোমণি অকালি দল । বাকি বন্ধুদের অবস্থানও খুব ভালো ঠেকছে না গেরুয়া শিবিরের ৷ তার উপর এই বিলের প্রতিবাদে গোটা দেশ জুড়েই শুরু হয়েছে কৃষক বিক্ষোভ ৷ তাতে শামিল হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও ৷ বিরোধীদের এই প্রতিবাদ আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাই এ রাজ্যের দলীয় নেতানেত্রীদের গেরুয়া শিবিরের উপরমহলের নির্দেশ, পশ্চিম বাংলায় এই বিলের সমর্থনে নামতে হবে সবাইকে ৷ বিলের সপক্ষে নিয়ে আসতে হবে রাজ্যের কৃষকদের ৷ তারই অঙ্গ হিসাবে আজ মালদা জেলায় কৃষি বিল নিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে BJP ৷ জোনাল এই সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন BJP কিষানমোর্চার রাজ্য সভাপতি মহাদেব সরকার, সাংসদ খগেন মুর্মু, নেত্রী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি, দলের জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল সহ অন্যান্যরা ৷

এদিন বিলের সপক্ষে বেশি বক্তব্য রাখেন শ্রীরূপাদেবী । একাধিক যুক্তি দিয়ে তিনি এই বিলকে কৃষকবান্ধব বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন ৷ সেই যুক্তিতে তিনি কৃষকদের একবার অশিক্ষিত বলেও মন্তব্য করেন ৷ তিনি বলেন, “আমরা কৃষি বিল নিয়ে আগামীতে কৃষকদের বোঝাবো ৷ তার জন্য আমরা হাটে-বাজারে, এমনকি বাড়িতে গিয়েও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলব ৷ BJP ও কিষানমোর্চার পক্ষ থেকে রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় আগামী 28 সেপ্টেম্বর থেকে 4 অক্টোবর পর্যন্ত এই বিলের সমর্থনে মিছিল করা হবে ৷ তারপর আমরা গোটা রাজ্যে ‘শুনুন চাষিভাই’ নামে একটি কর্মসূচির আয়োজন করা হবে । এই কর্মসূচিতে চাষিদের হাতে বিলের সমর্থনে পত্রক তুলে দেওয়া হবে । এই বিল তিনটি অধ্যায়ে সংসদে পাস হয়েছে ৷ বিলের মূল বিষয়, চাষিরা যে সামগ্রী উৎপাদন করছে, তা তাঁরা কীভাবে দেশ ও আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করতে পারবে ৷ বিলের প্রথম অধ্যায়ে অংশটি রয়েছে ৷ এখন যে পদ্ধতিতে দেশে ফসলের ক্রয়-বিক্রয় চলে, তা পুরোপুরি এগ্রিকালচারাল প্রোডিউস মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয় ৷ ফলে নিজেদের উৎপাদিত ফসল চাষিদের নিজেদের বিক্রি করার ক্ষমতা নেই ৷ ফসলের দাম নির্ধারণেরও ক্ষমতা নেই তাঁদের । প্রধানমন্ত্রী দেশের উৎপাদিত সামগ্রী বিদেশে রপ্তানিতে জোর দিয়েছেন ৷ এই বিলের মাধ্যমে চাষিদের সামনে সেই দরজা খুলে গেল ৷ এই বিল কৃষক সশক্তিকরণের পথ দেখিয়েছে ৷ বিলের দ্বিতীয় অংশে কন্ট্র্যাক্ট ফার্মিং-এর কথা বলা হয়েছে ৷ এখন দেশের ছোট কৃষকরা নিজেদের জমি লিজে দিয়ে দেয় ৷ অন্তত তিন বছরের জন্য তাঁরা নিজেদের জমি অন্যের হাতে তুলে দেয় ৷ নয়া বিলেও কন্ট্র্যাক্ট ফার্মিং-এর কথা বলা হয়েছে । কিন্তু এখন থেকে যারা জমি কন্ট্র্যাক্ট নেবে, তাঁদের হাতে জমির অধিকার থাকবে না ৷ শুধুমাত্র ফসলের অধিকার থাকবে ৷ একজন চাষির সঙ্গে আগাম চুক্তির ভিত্তিতেই এই কন্ট্র্যাক্ট হবে । অর্থাৎ চাষির হাতে জমি, চাষ ও উৎপাদিত ফসলের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা চলে আসবে ৷ কোথাও কোনও সমস্যা দেখা দিলে আইনি অধিকারও থাকবে চাষিদের ৷ এই বিলে দালাল ও ফড়েদের দাপট একেবারে কমে যাবে ৷ বিলের তৃতীয় অংশে বলা হয়েছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের কথা ৷ 1955 সালে এই আইন তৈরি হয়েছিল ৷ সেই সময় আমাদের বাইরের দেশ খাদ্য আমদানি করতে হত । কিন্তু এখন দেশে খাদ্যের উদ্বৃত্ত উৎপাদন ৷ এখন আমরাই খাদ্যসামগ্রী বিদেশে রপ্তানি করতে পারি ৷ তাই আলু-পেঁয়াজের মতো ফসলকে এই তালিকার বাইরে করা হয়েছে । এতে চাষিরা সরাসরি ফসল রপ্তানি করতে পারবে ৷ কোল্ড স্টোরেজে রাখতে হবে । তাঁরা এই ব্যবসার সব বন্ধনমুক্ত হবে ৷ দেশের বেশিরভাগ চাষিই অশিক্ষিত ৷ স্বাধীনতার এতদিন পরেও আমরা তাঁদের আর্থ সামাজিক কিংবা শিক্ষার মান উন্নত করার চেষ্টা করিনি ৷ একে হাতিয়ার করে বিরোধীরা চাষিদের এই বিল নিয়ে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে ৷ বিরোধীরা এর আগে স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য চিৎকার করতো ৷ আজ যখন সেই সুপারিশ প্রধানমন্ত্রী বাস্তবায়িত করলেন, তখন বিরোধীরা এই বিলের প্রতিবাদ করে দ্বিচারিতা করছে ৷ আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি৷”

BJP কিষানমোর্চার রাজ্য সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, “রাজ্যের শাসকদল কৃষি বিলের বিরোধিতা করছে ৷ অথচ তারা এখনও পর্যন্ত রাজ্যের কৃষকদের স্বার্থে কোনও পরিকল্পনা নিতে পারেনি ৷ শুধু রাজ্য নয়, এর আগে দেশের কোনও সরকারও কৃষক স্বার্থে কোনও পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারেনি ৷ প্রধানমন্ত্রীর মিশন, 2022 সালের মধ্যে দেশের প্রত্যেক কৃষকের রোজগার দ্বিগুন করা হবে ৷ সেই মিশনের এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ এই কৃষি বিল । আমরা এই বিল নিয়ে কৃষক ও সাধারণ মানুষের কাছে যাবো । সবাইকে বোখাবো, যারা কৃষক সম্মাননিধি প্রকল্প রাজ্যে ঢুকতে না দিয়ে এখানকার 76 লাখ কৃষকের পেটে লাথি মেরেছে, যারা আমফানের টাকা চুরি করেছে, তারাই আজ এই কৃষি বিলকে বিকৃতভাবে উপস্থাপিত করার চেষ্টা করছে ৷ এদের কথায় যেন কেউ বিশ্বাস না করে, তার জন্য আমরা প্রতিটি কৃষকের কাছে যাবো ৷ দিদি এখন সব হিসেব নিকেশ করে রাজ্যে কৃষক সম্মাননিধি প্রকল্প চালু করতে চাইছেন ৷ শর্ত দিয়েছেন, এই প্রকল্পের টাকা সরাসরি কৃষকদের দেওয়া যাবে না ৷ টাকা তাঁদের দিতে হবে । অর্থাৎ এখান থেকেও টাকা লুটের চেষ্টা করছেন তিনি ।”

সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, “এই বিলের মাধ্যমে 1955 সালের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনকে সংশোধন করা হয়েছে ৷ এই সংশোধনীর মাধ্যমে কৃষকরা ব্যক্তি স্বাধীনতা পেতে চলেছেন ৷ 55 বছর ক্ষমতায় থাকলেও কংগ্রেস দেশের কৃষকদের স্বার্থে কিছু ভাবেনি ৷ এই বিলের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করছেন ৷ স্বাধীনতার 74 বছর পরেও দেশে সবচেয়ে গরিব কৃষকরা ৷ পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যার 85ভাগ কৃষক ৷ তার মধ্যে 96 শতাংশ কৃষকই গরিব ৷ প্রধানমন্ত্রীর জন্য তাঁদের গরিবি এবার ঘুচতে চলেছে ৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.