মালদা, 11 জুলাই: হোটেল, রিসর্টের সঙ্গে এখন পর্যটকদের কাছে দিন দিন হোম-স্টে আকর্ষণ বাড়ছে । এরাজ্যে পাহাড়, জঙ্গল কিংবা সমুদ্রের ধারে একাধিক হোম-স্টে রয়েছে (Government has Taken Initiative to Expand Tourism in Malda)। পর্যটন মরশুমে সেগুলিতে জায়গা পাওয়া দুষ্কর । এভাবেই ওই জায়গাগুলিতে একদিকে যেমন পর্যটনের উন্নতি হয়েছে, তেমনই মানুষের আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রেও উন্নতি হয়েছে । মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পর্যটনের বিকাশে এবার মালদাতেও হোম স্টে নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন । তার জন্য অবশ্য কিছু গাইডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়েছে । যাঁদের হোম-স্টে প্রশাসনের সবুজ সংকেত পাবে, তাঁদের সরকারের তরফে অনুদানও দেওয়া হবে। প্রশাসনের তরফে কিছুদিন আগেই ইচ্ছুকদের কাছ থেকে আবেদন জমা নেওয়া হয়েছিল । তাতে বেশ সাড়া মিলেছে ।
জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানান, পশ্চিমবঙ্গে পর্যটনের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে । মালদাতেও গৌড়, আদিনা, জগজীবনপুরের মতো ইতিহাসপ্রসিদ্ধ স্থান রয়েছে । পর্যটকদের থাকার জন্য হোটেলের সঙ্গে হোম-স্টে কেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে । এর জন্য হোম-স্টে'র মালিকরা দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত সরকারি অনুদান পেতে পারেন । এ নিয়ে প্রশাসনের তরফে আবেদন চাওয়া হয়েছিল । এ পর্যন্ত একশোর বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে । সেসব খতিয়ে দেখে এক সপ্তাহের মধ্যে পর্যটন দফতরের কাছে পাঠাচ্ছি । দফতরের অনুমোদন পেলেই হোম-স্টে নির্মাণ করতে পারা যাবে । গোটা রাজ্যের হোম স্টে গুলিতে বুকিংয়ের জন্য একটি রাজ্যস্তরের পোর্টাল তৈরি করার পরিকল্পনা চলছে । পর্যটকরা সেখানে অল্প খরচে হোম-স্টে বুকিং করতে পারবেন ।
আরও পড়ুন : নয়ানজুলি বুজিয়ে কারখানা-হোটেল, জলের তলায় দিল্লি রোড সংলগ্ন 6 টি গ্রাম
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি অনুদান পেতে গেলে পর্যটকদের জন্য অন্তত দুটি ঘর থাকতে হবে । প্রতিটি ঘরের মাপ কমপক্ষে 120 বর্গফুট হতে হবে । ঘর লাগোয়া বাথরুম থাকতে হবে । হোম স্টেগুলিতে রান্না করা খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে ।
এর আগে একাধিকবার জেলার ঐতিহাসিক স্থানগুলিতে থাকার ব্যবস্থা করার দাবি তুলেছিলেন পর্যটকরা । বিশেষত গৌড় ও জগজীবনপুরে সেই ব্যবস্থা করার দাবি উঠেছিল । এনিয়ে একবার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তৎকালীন পর্যটনমন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী । যদিও মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ায় তাঁর সেই উদ্যোগ সফল হয়নি । এবার সরকারি উদ্যোগে হোম-স্টে নির্মিত হলে জেলার পর্যটনে কিছুটা হলেও প্রাণের সঞ্চার হবে বলে মনে করা হচ্ছে । কারণ, মালদা জেলায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জায়গা তেমন নেই । যা আছে, তা হল ইতিহাস ।