ETV Bharat / state

Black marketing in Potato Cultivation: মরশুমের শুরুতেই আলুচাষে কালোবাজারির আশঙ্কায় কৃষকরা

আলু চাষের মরশুম শুরু হতেই চিন্তায় চাষিরা ৷ বীজ ও সারের কালোবাজারি হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন মালদার চাষিরা (Black marketing in Potato Cultivation) ৷ ফলে দাম বেশি হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন তাঁরা ৷ ফলে খরচের থেকে আয় প্রায় অর্ধেক হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা মালদার আলু চাষিদের (Black marketing of Potato Seeds and Fertilizers) ৷

farmers-fear for-black-marketing-in-potato-cultivation-in
মরশুমের শুরুতেই আলুচাষে কালোবাজারির আশঙ্কায় কৃষকরা
author img

By

Published : Nov 24, 2021, 9:50 PM IST

Updated : Nov 24, 2021, 10:37 PM IST

মালদা, 24 নভেম্বর : সবে শুরু হয়েছে আলুচাষের মরশুম ৷ কিন্তু, শুরুতেই খরচের ধাক্কায় জেরবার আলু চাষিরা ৷ আলুর বীজ, সার, এমনকি জমিতে হাল দেওয়ার খরচও বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুণ ৷ করোনার ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি চাষিরা ৷ এই অবস্থায় চাষের খরচ কীভাবে সামাল দেবেন, তা নিয়ে প্রবল দুশ্চিন্তায় তাঁরা ৷ আলু চাষিদের আশঙ্কা, মরশুমের শুরুতে যে ছবি দেখা যাচ্ছে, তাতে কয়েকদিনের মধ্যে বীজ ও সারের কালোবাজারি শুরু হবে (Black marketing in Potato Cultivation) ৷ তাই তাঁরা প্রথম থেকেই প্রশাসনিক নজরদারির আর্জি জানিয়েছেন ৷

মালদা জেলায় প্রায় সব ব্লকেই কমবেশি আলুর চাষ হয়। কিন্তু, তার মধ্যে বেশি চাষ হয় পুরাতন মালদা ব্লকে ৷ এর মধ্যে ভাবুক গ্রামপঞ্চায়েতে আলুচাষের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ৷ এখানকার প্রায় সব চাষি আলু চাষ করে থাকেন ৷ বীজের জন্য তাঁরা স্থানীয় হিমঘরের ওপর নির্ভরশীল হলেও সবাই সেখান থেকে বীজ পান না ৷ তাঁদের ভরসা স্থানীয় ফড়ে ও বীজ বিক্রেতারা (Black marketing of Potato Seeds and Fertilizers) ৷ এক আলুচাষি গোবিন্দ রাজবংশী জানাচ্ছেন, “আলু লাগানোর মরশুম সবেমাত্র শুরু হয়েছে ৷ অনেকেই চাষ শুরু করে দিয়েছে ৷ কিন্তু, এবার আলুর চাষ করতে আমাদের একাধিক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ৷ মরশুমের শুরু থেকেই বীজের আকাল ৷ প্রথমে আলুর দাম দেখে ভেবেছিলাম, এ বার বীজ পেতে সমস্যা হবে না ৷ কিন্তু, যখন কৃষকরা বীজ কিনতে যাবে, ঠিক সেই মুহূর্তে আলুর দাম বেড়ে যায় (farmers fear for black marketing in potato cultivation) ৷’’

আরও পড়ুন : Malda Fruit Cultivation : চায়না লিচু, লাল জামরুল, মাল্টা...মালদায় সাত নতুন ফলের চাষ

ওই চাষি আরও জানিয়েছেন, চাষিদের কাছ থেকে যারা আলু কিনছে, তারাও বেশি দাম দিতে রাজি নয় ৷ এই এলাকায় মূলত টেকনিকো বীজে আলুর চাষ হয় বলে জানান গোবিন্দ রাজবংশী ৷ সেই বীজের দাম 60 টাকা প্রতি কিলো কিনতে হচ্ছে ৷ হিমঘরে আলু রাখার জন্য আমাদের প্রতি 100 প্যাকেটের জন্য 12 হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়েছে ৷ তবে, কিছু কৃষক 30 হাজার টাকা পর্যন্ত দাম পেয়েছে ৷ তবে, বর্তমানে চাষিদের লাভের টাকা ফড়েরা খাচ্ছে ৷ শুধু বীজ নয়, সারের দাম অনেকটা বেড়ে গিয়েছে ৷ সারের দামের উপর সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই ৷ যে ডিলার যেমন পাচ্ছে, তেমন দাম নিচ্ছে ৷ তিনি জানান, গত মরশুমে এক বিঘায় হাল দেওয়ার জন্য 300 টাকা খরচ হয়েছিল ৷ এবার প্রতি বিঘা জমিতে হাল দেওয়ার জন্য 400-450 টাকা খরচ হচ্ছে ৷ বর্তমানে এক বিঘা আলুর চাষ করতে অন্তত 30 হাজার টাকা খরচ পড়বে বলে মনে করছেন গোবিন্দ রাজবংশী ৷

মরশুমের শুরুতেই আলুচাষে কালোবাজারির আশঙ্কায় কৃষকরা

আরও পড়ুন : হিমঘর ঠাসা আলু, উঠছে না দাম; মাথায় হাত কৃষক ও ব্যবসায়ীদের

আরেক আলুচাষি তপন মণ্ডলের বক্তব্য, “60 টাকা কিলো দরে আলুর বীজ কিনতে হচ্ছে ৷ অথচ উৎপাদিত আলুর দাম 15 টাকা কিলোর বেশি পাই না ৷ বীজ, সারের দাম অনেক বেড়ে গিয়েছে ৷ আলু মজুত রাখা নিয়েও প্রচুর সমস্যা পোহাতে হয় ৷ আগে সরকার আমাদের সাহায্য করত ৷ এখন তা পাই না ৷ আমাদের মতো ছোট চাষিদের আলুর চাষ করা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, খোলাবাজারে যাতে আলুর বীজ ও সার পাওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করা হোক ৷”

ভাবুকের এক বীজ বিক্রেতা গোকুল রাজবংশী জানান, বর্তমানে 2900-3000 টাকায় প্রতি প্যাকেট আলুর বীজ বিক্রি করছেন তাঁরা ৷ এক প্যাকেটে 50 কিলো বীজ থাকে ৷ তবে, হিমঘর থেকে তাঁরা আলুর বীজ কেনেন না ৷ বাইরে থেকে কিনে এনে বিক্রি করেন ৷

মালদা, 24 নভেম্বর : সবে শুরু হয়েছে আলুচাষের মরশুম ৷ কিন্তু, শুরুতেই খরচের ধাক্কায় জেরবার আলু চাষিরা ৷ আলুর বীজ, সার, এমনকি জমিতে হাল দেওয়ার খরচও বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুণ ৷ করোনার ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি চাষিরা ৷ এই অবস্থায় চাষের খরচ কীভাবে সামাল দেবেন, তা নিয়ে প্রবল দুশ্চিন্তায় তাঁরা ৷ আলু চাষিদের আশঙ্কা, মরশুমের শুরুতে যে ছবি দেখা যাচ্ছে, তাতে কয়েকদিনের মধ্যে বীজ ও সারের কালোবাজারি শুরু হবে (Black marketing in Potato Cultivation) ৷ তাই তাঁরা প্রথম থেকেই প্রশাসনিক নজরদারির আর্জি জানিয়েছেন ৷

মালদা জেলায় প্রায় সব ব্লকেই কমবেশি আলুর চাষ হয়। কিন্তু, তার মধ্যে বেশি চাষ হয় পুরাতন মালদা ব্লকে ৷ এর মধ্যে ভাবুক গ্রামপঞ্চায়েতে আলুচাষের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ৷ এখানকার প্রায় সব চাষি আলু চাষ করে থাকেন ৷ বীজের জন্য তাঁরা স্থানীয় হিমঘরের ওপর নির্ভরশীল হলেও সবাই সেখান থেকে বীজ পান না ৷ তাঁদের ভরসা স্থানীয় ফড়ে ও বীজ বিক্রেতারা (Black marketing of Potato Seeds and Fertilizers) ৷ এক আলুচাষি গোবিন্দ রাজবংশী জানাচ্ছেন, “আলু লাগানোর মরশুম সবেমাত্র শুরু হয়েছে ৷ অনেকেই চাষ শুরু করে দিয়েছে ৷ কিন্তু, এবার আলুর চাষ করতে আমাদের একাধিক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ৷ মরশুমের শুরু থেকেই বীজের আকাল ৷ প্রথমে আলুর দাম দেখে ভেবেছিলাম, এ বার বীজ পেতে সমস্যা হবে না ৷ কিন্তু, যখন কৃষকরা বীজ কিনতে যাবে, ঠিক সেই মুহূর্তে আলুর দাম বেড়ে যায় (farmers fear for black marketing in potato cultivation) ৷’’

আরও পড়ুন : Malda Fruit Cultivation : চায়না লিচু, লাল জামরুল, মাল্টা...মালদায় সাত নতুন ফলের চাষ

ওই চাষি আরও জানিয়েছেন, চাষিদের কাছ থেকে যারা আলু কিনছে, তারাও বেশি দাম দিতে রাজি নয় ৷ এই এলাকায় মূলত টেকনিকো বীজে আলুর চাষ হয় বলে জানান গোবিন্দ রাজবংশী ৷ সেই বীজের দাম 60 টাকা প্রতি কিলো কিনতে হচ্ছে ৷ হিমঘরে আলু রাখার জন্য আমাদের প্রতি 100 প্যাকেটের জন্য 12 হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়েছে ৷ তবে, কিছু কৃষক 30 হাজার টাকা পর্যন্ত দাম পেয়েছে ৷ তবে, বর্তমানে চাষিদের লাভের টাকা ফড়েরা খাচ্ছে ৷ শুধু বীজ নয়, সারের দাম অনেকটা বেড়ে গিয়েছে ৷ সারের দামের উপর সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই ৷ যে ডিলার যেমন পাচ্ছে, তেমন দাম নিচ্ছে ৷ তিনি জানান, গত মরশুমে এক বিঘায় হাল দেওয়ার জন্য 300 টাকা খরচ হয়েছিল ৷ এবার প্রতি বিঘা জমিতে হাল দেওয়ার জন্য 400-450 টাকা খরচ হচ্ছে ৷ বর্তমানে এক বিঘা আলুর চাষ করতে অন্তত 30 হাজার টাকা খরচ পড়বে বলে মনে করছেন গোবিন্দ রাজবংশী ৷

মরশুমের শুরুতেই আলুচাষে কালোবাজারির আশঙ্কায় কৃষকরা

আরও পড়ুন : হিমঘর ঠাসা আলু, উঠছে না দাম; মাথায় হাত কৃষক ও ব্যবসায়ীদের

আরেক আলুচাষি তপন মণ্ডলের বক্তব্য, “60 টাকা কিলো দরে আলুর বীজ কিনতে হচ্ছে ৷ অথচ উৎপাদিত আলুর দাম 15 টাকা কিলোর বেশি পাই না ৷ বীজ, সারের দাম অনেক বেড়ে গিয়েছে ৷ আলু মজুত রাখা নিয়েও প্রচুর সমস্যা পোহাতে হয় ৷ আগে সরকার আমাদের সাহায্য করত ৷ এখন তা পাই না ৷ আমাদের মতো ছোট চাষিদের আলুর চাষ করা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, খোলাবাজারে যাতে আলুর বীজ ও সার পাওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করা হোক ৷”

ভাবুকের এক বীজ বিক্রেতা গোকুল রাজবংশী জানান, বর্তমানে 2900-3000 টাকায় প্রতি প্যাকেট আলুর বীজ বিক্রি করছেন তাঁরা ৷ এক প্যাকেটে 50 কিলো বীজ থাকে ৷ তবে, হিমঘর থেকে তাঁরা আলুর বীজ কেনেন না ৷ বাইরে থেকে কিনে এনে বিক্রি করেন ৷

Last Updated : Nov 24, 2021, 10:37 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.