ETV Bharat / state

Chanchal College অধিগৃহীত হয়েছে জমি, অনুমোদন হারানোর আশঙ্কায় চাঁচল কলেজ - সরকারিভাবে কেড়ে নেওয়া হয়েছে চাঁচল কলেজের জমি

অস্তিত্ব সংকটে মালদার ঐতিহ্যবাহী চাঁচল কলেজ(Chanchal College)৷ পর্যাপ্ত জমির অভাবে কলেজের অনুমোদন বাতিল হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছে কলেজ কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে পড়ুয়ারা ৷

ETV Bharat
চাঁচল কলেজ
author img

By

Published : Aug 31, 2022, 8:02 PM IST

মালদা, 31 অগস্ট: জমি সংক্রান্ত সমস্যায় সংকটে মালদার চাঁচল কলেজের অস্তিত্ব(Chanchal College fears of losing approval)৷ পর্যাপ্ত জমি না থাকায় ইউজিসির শর্ত অনুযায়ী যে কোনও মুহূর্তে কলেজের অনুমোদন বাতিল হয়ে যেতে পারে ৷ সেক্ষেত্রে সংকটে পড়ে যাবে এই কলেজের হাজারো পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ ৷ উদ্ভুত সমস্যা সমাধানে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা প্রশাসন, এমনকী খোদ শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ(malda chanchal college news)৷

1969 সালে চাঁচল রাজবাড়ির একাংশে গড়ে ওঠে এই কলেজ ৷ 1976 সালে চাঁচল রাজ এস্টেট থেকে 6.86 একর জমি কলেজকে দান করা হয় ৷ কিন্তু দিন গড়ানোর সঙ্গে সেই জমির 6.09 শতাংশ জমি সরকারি আইনে খাস বলে চিহ্নিত করা হয় ৷ সম্প্রতি কলেজের পিছনের পাঁচিল ভাঙার কাজ শুরু হলে টনক নড়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের ৷ তখন নথিপত্র খতিয়ে দেখা যায়, খাস হয়ে যাওয়া 6.09 একর জমির মধ্যে 5.18 একর জমি আইন বিভাগে হস্তান্তরিত হয়ে গিয়েছে ৷ এই রাজবাড়ির একাংশেই রয়েছে চাঁচল মহকুমা আদালত ৷ আদালতের নির্দেশে ওই পাঁচিল ভাঙা হচ্ছে ৷ এরপরেই বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখার জন্য কলেজের তরফে আইন বিভাগকে আর্জি জানানো হয় ৷ আপাতত পাঁচিল ভাঙার কাজ বন্ধ রয়েছে ৷

অনুমোদন হারানোর আশঙ্কায় চাঁচল কলেজ
আরও পড়ুন : চাকরি প্রার্থীদের মনোবল বাড়াতে মক ইন্টারভিউয়ের আয়োজন মালদা পুলিশের

ইউজিসির রেজোলিউশন বলছে, কোনও কলেজকে অনুমোদন পেতে গেলে সেই কলেজের নামে অন্তত পাঁচ একর জমি থাকতে হবে ৷ কিন্তু দলিল অনুযায়ী এই মুহূর্তে চাঁচল কলেজের নামে এক একরও জমি নেই ৷ এই বিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অজিত বিশ্বাস বলেন, "বিষয়টি আমরা বিভিন্ন মহলে জানিয়েছি ৷ শিক্ষামন্ত্রীরও দ্বারস্থ হয়েছি ৷ সম্ভবত কলেজের জমি ভুল করে খাস হয়ে গিয়েছে ৷ এই মুহূর্তে কলেজের নামে পাঁচ একর জমি নেই ৷ আমাদের কেনা একটি জায়গা রয়েছে ৷ সেই জায়গা ধরেও পাঁচ একর হবে না ৷ এই নিয়ে কলেজ যে সংকটে পড়েছে তা ঠিক ৷ তবে আশা করছি, এই সংকট মিটে যাবে ৷"

কলেজের এক ছাত্র অঙ্কুর দাসের কথা, "আমরা চাই, কলেজ এখানেই থাকুক ৷ এই কলেজে অনেক দুঃস্থ ও মধ্যবিত্ত পড়ুয়ারা পড়াশোনা করে ৷ কলেজ উঠে গেলে আমদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে পড়ে যাবে ৷ কলেজ যাতে উঠে না যায়, তার জন্য শিক্ষামন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করার আবেদন জানাচ্ছি ৷"

যদিও এই বিষয়ে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তি ছেত্রী জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি তাঁর নজরে রয়েছে ৷ উদ্ভুত সংকট মেটাতে তিনি বিভিন্ন জায়গায় আর্জি জানিয়েছেন ৷ যেভাবেই হোক, দ্রুত এই সংকট মেটানো হবে ৷

আরও পড়ুন : মালদায় প্রথম হৃদরোগের হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ ইংরেজবাজার পৌরসভার

মালদা, 31 অগস্ট: জমি সংক্রান্ত সমস্যায় সংকটে মালদার চাঁচল কলেজের অস্তিত্ব(Chanchal College fears of losing approval)৷ পর্যাপ্ত জমি না থাকায় ইউজিসির শর্ত অনুযায়ী যে কোনও মুহূর্তে কলেজের অনুমোদন বাতিল হয়ে যেতে পারে ৷ সেক্ষেত্রে সংকটে পড়ে যাবে এই কলেজের হাজারো পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ ৷ উদ্ভুত সমস্যা সমাধানে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা প্রশাসন, এমনকী খোদ শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ(malda chanchal college news)৷

1969 সালে চাঁচল রাজবাড়ির একাংশে গড়ে ওঠে এই কলেজ ৷ 1976 সালে চাঁচল রাজ এস্টেট থেকে 6.86 একর জমি কলেজকে দান করা হয় ৷ কিন্তু দিন গড়ানোর সঙ্গে সেই জমির 6.09 শতাংশ জমি সরকারি আইনে খাস বলে চিহ্নিত করা হয় ৷ সম্প্রতি কলেজের পিছনের পাঁচিল ভাঙার কাজ শুরু হলে টনক নড়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের ৷ তখন নথিপত্র খতিয়ে দেখা যায়, খাস হয়ে যাওয়া 6.09 একর জমির মধ্যে 5.18 একর জমি আইন বিভাগে হস্তান্তরিত হয়ে গিয়েছে ৷ এই রাজবাড়ির একাংশেই রয়েছে চাঁচল মহকুমা আদালত ৷ আদালতের নির্দেশে ওই পাঁচিল ভাঙা হচ্ছে ৷ এরপরেই বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখার জন্য কলেজের তরফে আইন বিভাগকে আর্জি জানানো হয় ৷ আপাতত পাঁচিল ভাঙার কাজ বন্ধ রয়েছে ৷

অনুমোদন হারানোর আশঙ্কায় চাঁচল কলেজ
আরও পড়ুন : চাকরি প্রার্থীদের মনোবল বাড়াতে মক ইন্টারভিউয়ের আয়োজন মালদা পুলিশের

ইউজিসির রেজোলিউশন বলছে, কোনও কলেজকে অনুমোদন পেতে গেলে সেই কলেজের নামে অন্তত পাঁচ একর জমি থাকতে হবে ৷ কিন্তু দলিল অনুযায়ী এই মুহূর্তে চাঁচল কলেজের নামে এক একরও জমি নেই ৷ এই বিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অজিত বিশ্বাস বলেন, "বিষয়টি আমরা বিভিন্ন মহলে জানিয়েছি ৷ শিক্ষামন্ত্রীরও দ্বারস্থ হয়েছি ৷ সম্ভবত কলেজের জমি ভুল করে খাস হয়ে গিয়েছে ৷ এই মুহূর্তে কলেজের নামে পাঁচ একর জমি নেই ৷ আমাদের কেনা একটি জায়গা রয়েছে ৷ সেই জায়গা ধরেও পাঁচ একর হবে না ৷ এই নিয়ে কলেজ যে সংকটে পড়েছে তা ঠিক ৷ তবে আশা করছি, এই সংকট মিটে যাবে ৷"

কলেজের এক ছাত্র অঙ্কুর দাসের কথা, "আমরা চাই, কলেজ এখানেই থাকুক ৷ এই কলেজে অনেক দুঃস্থ ও মধ্যবিত্ত পড়ুয়ারা পড়াশোনা করে ৷ কলেজ উঠে গেলে আমদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে পড়ে যাবে ৷ কলেজ যাতে উঠে না যায়, তার জন্য শিক্ষামন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করার আবেদন জানাচ্ছি ৷"

যদিও এই বিষয়ে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তি ছেত্রী জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি তাঁর নজরে রয়েছে ৷ উদ্ভুত সংকট মেটাতে তিনি বিভিন্ন জায়গায় আর্জি জানিয়েছেন ৷ যেভাবেই হোক, দ্রুত এই সংকট মেটানো হবে ৷

আরও পড়ুন : মালদায় প্রথম হৃদরোগের হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ ইংরেজবাজার পৌরসভার

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.