মালদা, ৫ অক্টোবর : মহানন্দায় নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল 9 । আজ সকালে নদী থেকে আরও পাঁচটি দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ এখনও নিখোঁজ একটি শিশু । উদ্ধারকাজ চলছে ৷ তবে নৌকাটিকে এখনও পাওয়া যায়নি ৷ আজ দুপুর থেকে ফের বৃষ্টি শুরু হওয়ায় উদ্ধারকাজে বেগ পেতে হচ্ছে ।
পঞ্চমীর সন্ধ্যায় চাঁচলের জগন্নাথপুর ঘাটের কাছে মহানন্দায় ডুবে যায় যাত্রীবোঝাই একটি নৌকা ৷ নৌকাটিতে প্রায় 100 জন যাত্রী ছিলেন বলে দাবি স্থানীয়দের । যদিও প্রশাসনের দাবি, নৌকায় 35 জন যাত্রী ছিলেন ৷ জগন্নাথপুর ঘাট থেকে উত্তর দিনাজপুরের মুকুন্দপুর ঘাটে যাচ্ছিল নৌকাটি ৷ ওই এলাকায় একটি বাইচ প্রতিযোগিতা ছিল । তা দেখতেই অনেকে মুকুন্দপুর যাচ্ছিলেন ৷ নৌকাটি প্রথমে জগন্নাথপুর ঘাট থেকে যাত্রী তুলে যায় বিহারের আবাদপুর ঘাটে ৷ সেখান থেকেও অনেক যাত্রী নৌকায় ওঠে ৷ এরপর আরও কয়েকটি ঘাট হয়ে মুকুন্দপুরের উদ্দেশে রওনা দেয় নৌকাটি ৷ কিন্তু নাগর, বুড়ি মহানন্দা ও মহানন্দার সঙ্গমস্থলে নৌকাটি ডুবে যায় ৷
গতকাল পর্যন্ত মহানন্দা থেকে উদ্ধার হয় চারটি মৃতদেহ ৷ আজ আরও পাঁচটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ পুলিশ জানিয়েছে , আজ মালদার চাঁচল থানার ইসলামপুরের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম, ওবাইদুল্লা আলি ও ইনতাজ হোসেন এবং উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানার পাহাড়িয়াপুর গ্রামের ভূপাল শেখ ও বিহারের আবাদপুর থানার নয়া কামদুলিয়া গ্রামের হাসিরুদ্দিনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ তবে এখনও পর্যন্ত চাঁচলের গৌরিপুর গ্রামের 7 বছরের মৌসুমি পারভিনের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ৷ নদীতে তল্লাশি অভিযান এখনও চলছে ৷ উদ্ধারকার্যের তদারকি করছেন মালদার জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য ও পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া ৷
জেলাশাসক আজ বলেন, "উৎসবের মরশুমে এই ঘটনা মর্মান্তিক ৷ এখনও পর্যন্ত ন'জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে৷ প্রশাসনের কাছে নিখোঁজদের যে তালিকা ছিল তার মধ্যে একমাত্র মৌসুমি পারভিনের এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ৷ তার খোঁজে নদীতে তল্লাশি চলছে ৷ "