ETV Bharat / state

ASHA Workers in Malda: সরকারি আবাস যোজনার সার্ভে করতে গিয়ে হুমকির শিকার আশাকর্মীরা, দ্বারস্থ বিডিও-র

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সার্ভে করতে গিয়ে হুমকি মুখে মালদার আশা কর্মীরা ৷ ঝুঁকি নিয়ে আর কাজ করতে চাইছেন না তাঁরা ৷ নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা মঙ্গলবার লিখিতভাবে বিডিওকে জানিয়ে দিয়েছেন (ASHA Worker threaten by Villagers) ৷

ASHA Worker
ETV Bharat
author img

By

Published : Dec 6, 2022, 11:10 PM IST

মালদা, 6 ডিসেম্বর: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতি রুখতে রাজ্যের সঙ্গে মালদাতেও স্ক্রুটিনি শুরু হয়েছে ৷ প্রশাসনের বিভিন্নস্তরের কর্মীদের সেই কাজে নামানো হয়েছে ৷ এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আশাকর্মীদেরও ৷ যেহেতু তাঁরা নিজেদের কাজে গ্রামেগঞ্জে ঘুরে বেড়ান, তাঁরাই সরকারি আবাস যোজনার সঠিক তথ্য দিতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে ৷ কিন্তু সেই কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আশাকর্মীদের ৷ প্রতি মুহূর্তে হুমকি মিলছে ৷ তাই তাঁরা এই কাজ আর করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন (ASHA Worker threaten by Villagers) ৷ সেকথা মঙ্গলবার রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের বিডিও এবং ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছেন ৷

এই প্রসঙ্গেই এক আশাকর্মী বেবি বেগম বলেন, "এই সার্ভেতে নেমে আমরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি ৷ কিন্তু কোথাও মাটি কিংবা বাঁশের চাটাইয়ের বাড়ি দেখতে পাইনি ৷ সবার পাকা বাড়ি ৷ বাড়িতে রেফ্রিজারেটর, মোটরবাইক-সহ সবকিছুই রয়েছে ৷ অনেকের জমি জায়গাও রয়েছে ৷ অথচ তাঁরাই নাকি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার উপভোক্তা ৷ কিন্তু আমরা এসব লিখতে পারছি না ৷ উপভোক্তারা নিজেদের ইচ্ছেমতো আমাদের দিয়ে রিপোর্ট লিখিয়ে নিতে বাধ্য করছে ৷ এভাবে কাজ করা যায় না ৷ তাছাড়া আমাদের নিজেদের কাজে গ্রামেগঞ্জে যেতে হয় ৷ ফলে বিপদের আশঙ্কা থেকে যায় ৷ তাই আজ বিডিওকে বলতে এসেছি, আমরা আর এই কাজ করব না ৷”

আরও পড়ুন: 'নেত্রীর নামে কু-মন্তব্য করলে জিভ কেটে নেব', হুমকি শাসকদলের নেতার

রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের আশাকর্মী ইউনিয়নের সম্পাদক মাসুম পারভিন বলেন, "প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় উপভোক্তাদের তালিকা দেখে সার্ভে করার জন্য আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ কাজে নেমে দেখছি, যাদের পাকা বাড়ি, জমি, ফ্রিজ, মোটরবাইক-সহ আধুনিক বিভিন্ন জিনিস রয়েছে ৷ অথচ তাঁদের নামই এই প্রকল্পে উপভোক্তা হিসাবে নথিবদ্ধ রয়েছে ৷ আমরা যা রিপোর্ট করব, তার ভিত্তিতেই উপভোক্তারা এই প্রকল্পের সুবিধে পাবেন ৷ পঞ্চায়েত সদস্যরা সেকথা তালিকায় নাম থাকা উপভোক্তাদের জানিয়ে দিয়েছেন ৷ সেকথা জেনে উপভোক্তারা আমাদের সঠিক রিপোর্ট লিখতে দিচ্ছে না ৷" আশাকর্মী ইউনিয়নের সম্পাদকের অভিযোগ, তাঁদের বলা হয়েছে উপভোক্তাদের ঘরবাড়ি-সহ যাবতীয় তথ্য তাঁদের বাড়ি গিয়ে দেখলেও রিপোর্ট বাইরে কিংবা বাড়িতে গিয়ে হবে ৷ উপভোক্তারা নিজেদের মনমতো রিপোর্ট লিখতে বাধ্য করছে ৷ গ্রামবাসীরা হুমকি দিচ্ছে, প্রকল্পের টাকা অ্যাকাউন্টে না ঢুকলে আশাকর্মীদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন ৷

যদিও এনিয়ে রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের বিডিও রাকেশ টোপ্পো কিংবা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মাসুদ রহমান কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি ৷

মালদা, 6 ডিসেম্বর: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতি রুখতে রাজ্যের সঙ্গে মালদাতেও স্ক্রুটিনি শুরু হয়েছে ৷ প্রশাসনের বিভিন্নস্তরের কর্মীদের সেই কাজে নামানো হয়েছে ৷ এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আশাকর্মীদেরও ৷ যেহেতু তাঁরা নিজেদের কাজে গ্রামেগঞ্জে ঘুরে বেড়ান, তাঁরাই সরকারি আবাস যোজনার সঠিক তথ্য দিতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে ৷ কিন্তু সেই কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আশাকর্মীদের ৷ প্রতি মুহূর্তে হুমকি মিলছে ৷ তাই তাঁরা এই কাজ আর করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন (ASHA Worker threaten by Villagers) ৷ সেকথা মঙ্গলবার রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের বিডিও এবং ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছেন ৷

এই প্রসঙ্গেই এক আশাকর্মী বেবি বেগম বলেন, "এই সার্ভেতে নেমে আমরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি ৷ কিন্তু কোথাও মাটি কিংবা বাঁশের চাটাইয়ের বাড়ি দেখতে পাইনি ৷ সবার পাকা বাড়ি ৷ বাড়িতে রেফ্রিজারেটর, মোটরবাইক-সহ সবকিছুই রয়েছে ৷ অনেকের জমি জায়গাও রয়েছে ৷ অথচ তাঁরাই নাকি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার উপভোক্তা ৷ কিন্তু আমরা এসব লিখতে পারছি না ৷ উপভোক্তারা নিজেদের ইচ্ছেমতো আমাদের দিয়ে রিপোর্ট লিখিয়ে নিতে বাধ্য করছে ৷ এভাবে কাজ করা যায় না ৷ তাছাড়া আমাদের নিজেদের কাজে গ্রামেগঞ্জে যেতে হয় ৷ ফলে বিপদের আশঙ্কা থেকে যায় ৷ তাই আজ বিডিওকে বলতে এসেছি, আমরা আর এই কাজ করব না ৷”

আরও পড়ুন: 'নেত্রীর নামে কু-মন্তব্য করলে জিভ কেটে নেব', হুমকি শাসকদলের নেতার

রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের আশাকর্মী ইউনিয়নের সম্পাদক মাসুম পারভিন বলেন, "প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় উপভোক্তাদের তালিকা দেখে সার্ভে করার জন্য আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ কাজে নেমে দেখছি, যাদের পাকা বাড়ি, জমি, ফ্রিজ, মোটরবাইক-সহ আধুনিক বিভিন্ন জিনিস রয়েছে ৷ অথচ তাঁদের নামই এই প্রকল্পে উপভোক্তা হিসাবে নথিবদ্ধ রয়েছে ৷ আমরা যা রিপোর্ট করব, তার ভিত্তিতেই উপভোক্তারা এই প্রকল্পের সুবিধে পাবেন ৷ পঞ্চায়েত সদস্যরা সেকথা তালিকায় নাম থাকা উপভোক্তাদের জানিয়ে দিয়েছেন ৷ সেকথা জেনে উপভোক্তারা আমাদের সঠিক রিপোর্ট লিখতে দিচ্ছে না ৷" আশাকর্মী ইউনিয়নের সম্পাদকের অভিযোগ, তাঁদের বলা হয়েছে উপভোক্তাদের ঘরবাড়ি-সহ যাবতীয় তথ্য তাঁদের বাড়ি গিয়ে দেখলেও রিপোর্ট বাইরে কিংবা বাড়িতে গিয়ে হবে ৷ উপভোক্তারা নিজেদের মনমতো রিপোর্ট লিখতে বাধ্য করছে ৷ গ্রামবাসীরা হুমকি দিচ্ছে, প্রকল্পের টাকা অ্যাকাউন্টে না ঢুকলে আশাকর্মীদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন ৷

যদিও এনিয়ে রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের বিডিও রাকেশ টোপ্পো কিংবা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মাসুদ রহমান কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.