কলকাতা, 8 এপ্রিল: বর্ষা আসলেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে তিলোত্তমা কলকাতা। বিভিন্ন প্রান্তে জমা জলে নাজেহাল অবস্থা হয় শহরবাসীর। বছর খানেক আগেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, কলকাতার নিকাশি জল বের হয় এমন সমস্ত খাল সংস্কার করা হবে। সেচ দফতরের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে কাজও শুরু হয়েছিল। কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গার 12টি খালের মধ্যে কিছু খালের সংস্কার হয়েছে, কিছু হচ্ছে এবং এখনও কিছু বাকি রয়েছে। তবে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বের জল যে খালের মাধ্যমে যায়, সেই সিসি ওয়ান খাল সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হয়নি এখনও।
হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা মাস। তারপরেই রাজ্যে ঢুকে যাবে বর্ষা। কিন্তু দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বের সিসি ওয়ান খাল সংস্কার না হওয়ায় ফের এলাকায় জল জমার আশঙ্কায় ভুগছেন স্থানীয়রা। কলকাতার অন্য খালগুলো থেকে পলি তোলার কাজ শুরু হলেও সিসি ওয়ান খাল সংস্কারের কাজ এখনও হাত দেয়নি কলকাতা পৌরনিগম। গোটা খালই মজে গিয়েছে। ফলে হালতু, যাদবপুর, কসবা, গরফা সহ আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা বর্ষা হলেই ভাসবে জলে, এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ফিরেছে পুরনো নিয়ম, পার্কিংয়ের খরচ কমায় খুশি গাড়িরচালক থেকে পার্কিং এজেন্সির কর্মীরাও
কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সামনে বর্ষা আর তার আগে কাজ না করলে ফের ভোগান্তি হবে দক্ষিণে। গতবার মেয়র যে আশ্বাস দিয়েছেন সেটা রক্ষা করা সম্ভব হবে না। তাই কাজ শুরুর জন্য ফের কর্পোরেশনের নিকাশি বিভাগের তরফে রাজ্যের সেচ দফতরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। একাধিক ওয়ার্ডের সমস্ত নিকাশি জল ও বর্ষার জল একমাত্র এই সিসি ওয়ান খালের মাধ্যমেই যায়। পলি জমে জল ধারণ ক্ষমতা কমেছে। জলের স্রোত নেই বললেই চলে। ফলে বর্ষায় খাল উপচে পরে। খাল লাগোয়া ব্যানার্জি পাড়া, কমলা পার্ক, ঘোষাল পাড়া ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্ষা এলেই ঘুম ছুটে যায় জমা জলের দুর্ভোগের ভয়ে। ভারি বৃষ্টিতে দিনের পর দিন ডুবে থাকে এলাকা গুলো। খাল সংস্কার ছাড়া আর কোনও পথ নেই। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, "কলকাতার অনেকগুলো খালের পলি তোলার কাজ শেষ হয়েছে। আরও কয়েকটা খাল সংস্কারের কাজ চলছে। যে খাল গুলো বাকি আছে তাতে দ্রুত সংস্কার কাজে হাত দেওয়া হবে।"