কলকাতা, 12 জানুয়ারি: 12 ঘন্টা ধরে তল্লাশির পরে বেরিয়ে গেলেন ইডি অফিসারেরা। আপাতত যাওয়ার সময় নিয়ে গিয়েছেন তাঁর নিত্য ব্যবহারের মোবাইল এবং দু'চারটে কাগজপত্র। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে, তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় বলেন, "কোনও দুর্নীতির সঙ্গেই আমার কোনও যোগ নেই। রাজনীতি করি বলেই হয়তো এসেছিল। আমার বাড়ি থেকে মোবাইল ফোন আর কিছু কাগজ নিয়ে গিয়েছে ওরা। কারও সঙ্গে কোনও আর্থিক লেনদেনের সম্পর্ক নেই আমার। রাজনীতিতে না থাকলে বোধহয় এমনটা হত না।"
বরাবরই স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতা বলেই পরিচিত বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়। এদিন তাঁর বাড়িতে ইডি হানার খবরে তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও। দলের তরফ থেকেও সোশাল মিডিয়া সেলের প্রধান, শেষ পর্যন্ত তাকেও জড়ানোর চেষ্টা হওয়া সরব হয়েছিলেন। কিন্তু 12 ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরও জোড় গলায় প্রতিহিংসার রাজনীতির কথাটি নিজে মুখে বললেন না তাপস রায়। বরং বললেন, "নিজের বিষয় নিজে বললে খারাপ শোনাবে। যা বলার বলবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তথা দলের নেতারা। পুরনো থেকে নতুন সাংবাদিকরা আমাকে দীর্ঘদিন ধরে চেনেন। কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নই আমি।"
এদিন প্রায় 12 ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর কিছুটা বিধ্বস্ত লাগছিল এই তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে। বোঝাই যাচ্ছিল এমন দিনের মুখোমুখি হতে হবে আশা করেননি কখনও। তবুও যতটা সম্ভব স্বাভাবিকভাবেই সংবাদমাধ্যমকে সামলালেন তিনি। তাপস রায় জানান, কোনও নির্দিষ্ট পৌরসভার সংক্রান্ত খবর তাঁর কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়নি। তাঁর কথায়, "কোনও পৌরসভা বা অন্য দুর্নীতির সঙ্গে আমার যোগ নেই। যারা রিক্রুটমেন্ট বোর্ডে ছিল, তারা সকলেই জানে। আমিও তাদের একাধিকবার এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছিলাম। আমি আমার রাজনৈতিক জীবনে কখনও কোন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। তবে আমার মনে হচ্ছে হয়তো রাজনীতি করি বলেই এমনটা করা হচ্ছে।"
তাঁকে কী জিজ্ঞাসা করা হয়েছে এই প্রশ্নের উত্তরে তাপস রায় বলেন, "আমাকে তেমন কিছু জিজ্ঞাসা করা হয়নি। এই যে দুর্নীতি হয়েছে সে সম্পর্কে আপনি কিছু জানেন কি না। আমি বলেছি, জানি না। আমার জানার কথাও নয়। কারণ কোনও প্রক্রিয়ার সঙ্গেই আমি কখনও যুক্ত ছিলাম না।"
আরও পড়ুন