ETV Bharat / state

বকেয়া ফি মেটাতে না পারলেও নাম কাটা যাবে না পড়ুয়াদের, নির্দেশ হাইকোর্টের

author img

By

Published : Jun 18, 2021, 10:58 PM IST

মহামারি পরিস্থিতিতে পঠন-পাঠন স্বাভাবিক নয়, তবু নেওয়া হচ্ছে বর্ধিত ফি, এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে নতুন করে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী ধীলন সেনগুপ্ত । সেই মামলার শুনানি ছিল আজ ৷

বকেয়া ফি মেটাতে না পারলেও স্কুল থেকে নাম কাটা যাবে না পড়ুয়াদের, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
বকেয়া ফি মেটাতে না পারলেও স্কুল থেকে নাম কাটা যাবে না পড়ুয়াদের, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

কলকাতা, 18 জুন : 31 জুলাই পর্যন্ত বকেয়া ফি মেটাতে না পারলেও কোনও ছাত্র-ছাত্রীর নাম যেন কাটা না হয় স্কুলের খাতা থেকে, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের । বেসরকারি স্কুল ছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও এই নির্দেশ প্রযোজ্য হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

মহামারি পরিস্থিতিতে পঠন-পাঠন স্বাভাবিক নয় তবু নেওয়া হচ্ছে বর্ধিত ফি, এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে নতুন করে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী ধীলন সেনগুপ্ত । গত 4 জুন বিষয়টি বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে উঠলে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এই সংক্রান্ত একটি মামলা গত বছরে দীর্ঘদিন ধরে শুনানি হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে । মহামারি পরিস্থিতিতে ফি সংক্রান্ত ব্যাপারে একাধিক নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট । গতবছর মামলায় যে 145টি স্কুল যুক্ত ছিল, তাদের সবাইকে নতুন মামলার ব্যাপারে যাতে ওয়াকিবহাল করা হয় সে ব্যাপারে মামলাকারীকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট ৷

পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চ মামলাকারী আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছিল, যাতে বিষয়টি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তার জন্য দু-তিনটি সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার করতে । আজকে মামলাটির পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছিল । কিন্তু আজ মামলার শুনানির সময় মামলাকারীর তরফে উল্লেখ করা হয়েছে, অর্থনৈতিক কারণে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মত সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি ৷ আদালতের তরফে ফের যাতে দ্রুত বিষয়টি সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সব পক্ষকে ওয়াকিবহল করা হয় তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

এই প্রসঙ্গে আইনজীবী ধীলন সেনগুপ্ত বলেন," আদালতের নির্দেশ মতো প্রায় সমস্ত স্কুলকে চিঠি মারফত জানিয়েছিলাম ৷ তাদের অনেকেই আজ শুনানির সময় আদালতে হাজির হয়েছিলেন । কিন্তু অর্থনৈতিক কারণে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি ।"

আরও পড়ুন : 21 জুন থেকে আপ ও ডাউন মিলিয়ে চলবে 40টি মেট্রো

প্রসঙ্গত, গত বছর 13 অক্টোবর বেসরকারি স্কুলগুলোকে 2019 -20 শিক্ষাবর্ষে ফি নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তত কুড়ি শতাংশ ছাড় দেওয়ার নির্দেশ দেয় বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ । আদালতের নির্দেশে বলা হয়, করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে কোনও রকম ল্যাবরেটরি , ক্রীড়া সংক্রান্ত, পিকনিক সংক্রান্ত ফি নেওয়া যাবে না । স্কুলগুলো মোট পাঁচ শতাংশের বেশি লাভ রাখতে পারবে না মহামারি পরিস্থিতিতে ।

অন্যদিকে মামলাকারীদের অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও চলতি বছরেও পরিস্থিতি পাল্টায়নি । ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠন চলছে পুরোপুরি অনলাইনে । কিন্তু বেশিরভাগ স্কুল বর্ধিত হারে ফি চাইছে ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে । বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে আগামী 2 জুলাই ফের শুনানি রয়েছে মামলাটির ।

কলকাতা, 18 জুন : 31 জুলাই পর্যন্ত বকেয়া ফি মেটাতে না পারলেও কোনও ছাত্র-ছাত্রীর নাম যেন কাটা না হয় স্কুলের খাতা থেকে, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের । বেসরকারি স্কুল ছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও এই নির্দেশ প্রযোজ্য হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

মহামারি পরিস্থিতিতে পঠন-পাঠন স্বাভাবিক নয় তবু নেওয়া হচ্ছে বর্ধিত ফি, এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে নতুন করে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী ধীলন সেনগুপ্ত । গত 4 জুন বিষয়টি বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে উঠলে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এই সংক্রান্ত একটি মামলা গত বছরে দীর্ঘদিন ধরে শুনানি হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে । মহামারি পরিস্থিতিতে ফি সংক্রান্ত ব্যাপারে একাধিক নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট । গতবছর মামলায় যে 145টি স্কুল যুক্ত ছিল, তাদের সবাইকে নতুন মামলার ব্যাপারে যাতে ওয়াকিবহাল করা হয় সে ব্যাপারে মামলাকারীকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট ৷

পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চ মামলাকারী আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছিল, যাতে বিষয়টি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তার জন্য দু-তিনটি সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার করতে । আজকে মামলাটির পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছিল । কিন্তু আজ মামলার শুনানির সময় মামলাকারীর তরফে উল্লেখ করা হয়েছে, অর্থনৈতিক কারণে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মত সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি ৷ আদালতের তরফে ফের যাতে দ্রুত বিষয়টি সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সব পক্ষকে ওয়াকিবহল করা হয় তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

এই প্রসঙ্গে আইনজীবী ধীলন সেনগুপ্ত বলেন," আদালতের নির্দেশ মতো প্রায় সমস্ত স্কুলকে চিঠি মারফত জানিয়েছিলাম ৷ তাদের অনেকেই আজ শুনানির সময় আদালতে হাজির হয়েছিলেন । কিন্তু অর্থনৈতিক কারণে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি ।"

আরও পড়ুন : 21 জুন থেকে আপ ও ডাউন মিলিয়ে চলবে 40টি মেট্রো

প্রসঙ্গত, গত বছর 13 অক্টোবর বেসরকারি স্কুলগুলোকে 2019 -20 শিক্ষাবর্ষে ফি নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তত কুড়ি শতাংশ ছাড় দেওয়ার নির্দেশ দেয় বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ । আদালতের নির্দেশে বলা হয়, করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে কোনও রকম ল্যাবরেটরি , ক্রীড়া সংক্রান্ত, পিকনিক সংক্রান্ত ফি নেওয়া যাবে না । স্কুলগুলো মোট পাঁচ শতাংশের বেশি লাভ রাখতে পারবে না মহামারি পরিস্থিতিতে ।

অন্যদিকে মামলাকারীদের অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও চলতি বছরেও পরিস্থিতি পাল্টায়নি । ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠন চলছে পুরোপুরি অনলাইনে । কিন্তু বেশিরভাগ স্কুল বর্ধিত হারে ফি চাইছে ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে । বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে আগামী 2 জুলাই ফের শুনানি রয়েছে মামলাটির ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.