ETV Bharat / state

Calcutta High Court : বন্যাত্রাণের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আরও সময় চাইল রাজ্য

মালদায় বন্যাত্রাণে আর্থিক দুর্নীতি ধরা পড়ার পরেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সময় চাইল রাজ্য ৷ আজ মামলার শুনানিতে আরও এক সপ্তাহ সময় চাইলেন রাজ্যের নতুন অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ৷

Calcutta High Court
Calcutta High Court
author img

By

Published : Sep 22, 2021, 7:49 PM IST

কলকাতা, 22 সেপ্টেম্বর : মালদা জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতে ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গত 26 অগস্ট রাজ্যকে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছিল ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের ডিভিশন বেঞ্চ । কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হলেও এখনও তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ । আজ আদালতে এমনই জানালেন রাজ্যের নতুন অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় । মামলার শুনানিতে আজ আরও এক সপ্তাহ সময় চান তিনি ।


মালদা জেলায় 2017 সালের অগস্ট মাসে হওয়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা দিতে রাজ্য সরকার একটি প্রকল্প আনে । সেই প্রকল্প অনুযায়ী বন্যায় যাদের ঘরবাড়ি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে তাদের 70 হাজার টাকা এবং যাদের অল্প ক্ষতি হয়েছে তাদের 3300 টাকা দেওয়ার কথা জানানো হয় । এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লকের বড়ই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৈরি হয় ছয় সদস্যের একটি কমিটি ।

আরও পড়ুন : Calcutta High Court : দুয়ারে রেশন প্রকল্পে স্থগিতাদেশ নয়, ডিলারদের আবেদন খারিজ করল হাইকোর্ট

কিন্তু গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান নিজেদের পছন্দমতো একটি লিস্ট বানিয়ে পাঠায় প্রশাসনকে । সেখানে দেখা যায় 6595 জন লোকের মোবাইল নম্বর একই । মানে একজনই সমস্ত টাকা তুলে নিয়েছে । বাকিদের মধ্যে অধিকাংশ এক নামের দুটি বা তিনটি অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা পেয়েছেন । প্রায় 1300 লোক দু'বার করে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলেছেন । পরবর্তী সময়ে বিডিও এবং জেলাশাসক চিঠি লিখে রাজ্যকে জানায় যে, এখানে টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে । তারপরও রাজ্য কোনও পদক্ষেপ নেয়নি ।

এই বিষয়ে মামলাকারীর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী ও অনিন্দ্য ঘোষ আদালতে জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের দিতে 40 কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল মালদা জেলায় । তার মধ্যে একটা গ্রাম পঞ্চায়েতেই এই অবস্থা, তাহলে গোটা জেলায় কী হয়েছে তা জানতে অবিলম্বে আদালতের উচিত একটি কমিটি নিযুক্ত করে পুরো বিষয়ে তদন্ত করা ।
আরও পড়ুন : Calcutta High court: তালিকা থেকে বাদ মামলা, হাইকোর্টের নির্দেশে ফাঁপরে জয়প্রকাশ মজুমদার

এই বিষয়ে রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল জানিয়েছিলেন, রাজ্য ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে । করোনার জেরে কিছুটা দেরি হলেও রাজ্য সরকার টাকা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে । দোষীদের বিরুদ্ধে 160-এর জিজ্ঞাসাবাদের নোটিস দেওয়ার পাশাপাশি এফআইআর করা হয়েছে । যে 1300 লোক দুবার করে টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে, তাদের থেকে টাকা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে । 2019 সালে ডিসেম্বর মাসে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয় । 24 ডিসেম্বর তাকে শোকজ করা হয় । সবার বিরুদ্ধেই ধীরে ধীরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । আমাদের আরও কিছু সময় দেওয়া হোক ।


তখন ক্ষুব্ধ হয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল সমস্ত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছিলেন । কিন্তু দুর্নীতি হয়েছে তা কার্যত স্বীকার করে নিলেও প্রায় মাসখানেক হয়ে গেলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা ছাড়া আর কিছুই করেনি রাজ্য ।

আরও পড়ুন : "সাংবাদিকরা অনেক স্বাধীনভাবে কাজের সাহস পাবে"

কলকাতা, 22 সেপ্টেম্বর : মালদা জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতে ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গত 26 অগস্ট রাজ্যকে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছিল ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের ডিভিশন বেঞ্চ । কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হলেও এখনও তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ । আজ আদালতে এমনই জানালেন রাজ্যের নতুন অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় । মামলার শুনানিতে আজ আরও এক সপ্তাহ সময় চান তিনি ।


মালদা জেলায় 2017 সালের অগস্ট মাসে হওয়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা দিতে রাজ্য সরকার একটি প্রকল্প আনে । সেই প্রকল্প অনুযায়ী বন্যায় যাদের ঘরবাড়ি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে তাদের 70 হাজার টাকা এবং যাদের অল্প ক্ষতি হয়েছে তাদের 3300 টাকা দেওয়ার কথা জানানো হয় । এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লকের বড়ই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৈরি হয় ছয় সদস্যের একটি কমিটি ।

আরও পড়ুন : Calcutta High Court : দুয়ারে রেশন প্রকল্পে স্থগিতাদেশ নয়, ডিলারদের আবেদন খারিজ করল হাইকোর্ট

কিন্তু গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান নিজেদের পছন্দমতো একটি লিস্ট বানিয়ে পাঠায় প্রশাসনকে । সেখানে দেখা যায় 6595 জন লোকের মোবাইল নম্বর একই । মানে একজনই সমস্ত টাকা তুলে নিয়েছে । বাকিদের মধ্যে অধিকাংশ এক নামের দুটি বা তিনটি অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা পেয়েছেন । প্রায় 1300 লোক দু'বার করে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলেছেন । পরবর্তী সময়ে বিডিও এবং জেলাশাসক চিঠি লিখে রাজ্যকে জানায় যে, এখানে টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে । তারপরও রাজ্য কোনও পদক্ষেপ নেয়নি ।

এই বিষয়ে মামলাকারীর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী ও অনিন্দ্য ঘোষ আদালতে জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের দিতে 40 কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল মালদা জেলায় । তার মধ্যে একটা গ্রাম পঞ্চায়েতেই এই অবস্থা, তাহলে গোটা জেলায় কী হয়েছে তা জানতে অবিলম্বে আদালতের উচিত একটি কমিটি নিযুক্ত করে পুরো বিষয়ে তদন্ত করা ।
আরও পড়ুন : Calcutta High court: তালিকা থেকে বাদ মামলা, হাইকোর্টের নির্দেশে ফাঁপরে জয়প্রকাশ মজুমদার

এই বিষয়ে রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল জানিয়েছিলেন, রাজ্য ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে । করোনার জেরে কিছুটা দেরি হলেও রাজ্য সরকার টাকা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে । দোষীদের বিরুদ্ধে 160-এর জিজ্ঞাসাবাদের নোটিস দেওয়ার পাশাপাশি এফআইআর করা হয়েছে । যে 1300 লোক দুবার করে টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে, তাদের থেকে টাকা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে । 2019 সালে ডিসেম্বর মাসে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয় । 24 ডিসেম্বর তাকে শোকজ করা হয় । সবার বিরুদ্ধেই ধীরে ধীরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । আমাদের আরও কিছু সময় দেওয়া হোক ।


তখন ক্ষুব্ধ হয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল সমস্ত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছিলেন । কিন্তু দুর্নীতি হয়েছে তা কার্যত স্বীকার করে নিলেও প্রায় মাসখানেক হয়ে গেলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা ছাড়া আর কিছুই করেনি রাজ্য ।

আরও পড়ুন : "সাংবাদিকরা অনেক স্বাধীনভাবে কাজের সাহস পাবে"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.