ETV Bharat / state

পাচার রোধে একজোট পুলিশ-BSF, সীমান্তের আগেই আটকানো হবে গোরু - state

BSF এর DIG(G) এস এস গুলেরিয়া ETV ভারতকে বলেন, "রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে গোরু ট্রাকে করে নিয়ে আসা হয় সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোয় । আমরা যদি ওই গোরু সীমান্তে নিয়ে আসার আগেই আটকে দিতে পারি, তবে সমস্যা অনেকটাই কমবে । ঠেকানো যাবে গোরুপাচার । এ বিষয়ে পুলিশের সাহায্য প্রয়োজন ।"

গোরু পাচার
author img

By

Published : Aug 1, 2019, 5:51 PM IST

কলকাতা, 1 অগাস্ট : সমন্বয় প্রায় ছিল না বললেই চলে । চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে BSF । কিন্তু প্রতিকূল পরিবেশে সীমান্তে গোরু পাচার রোধে সমস্যায় পড়ছে জওয়ানরা । সেই সূত্রে BSF চাইছিল, স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের সাহায্য । দিন কয়েক আগে BSF এর DIG(G) এস এস গুলেরিয়া বলেন, "বিভিন্ন সুযোগের মাধ্যমে চলছে গোরুপাচার । পাচারকারীরা পাচারে বাধা পেলে অস্ত্র ও বোমাসহ আক্রমণ করছে সীমান্তরক্ষীদের উপর । এই পরিস্থিতিতে গোরুপাচার রোধে প্রয়োজন স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় । সাহায্য প্রয়োজন সীমান্তবর্তী এলাকার সাধারণ মানুষের । কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে পাচারকারীরা টাকা ছড়িয়ে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর মানুষের মুখ বন্ধ করে দিচ্ছে । সব মিলিয়ে সীমান্তের গোরুপাচার রোখা কঠিন হয়ে পড়ছে । তারপরও সীমান্তরক্ষী বাহিনী অতন্দ্র প্রহরী হয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছে সীমান্ত রক্ষার ।" বিশেষ সূত্রে খবর, ভবানী ভবনে রাজ্য পুলিশের IG এবং BSF-এর উচ্চপদস্থ কর্তাদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে । সেই বৈঠকে ঠিক হয়েছে এবার পাচার রোধে হাতে হাত রেখে কাজ করবে সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ ।

অন্তরায় কেন্দ্র-রাজ্য তিক্ত সম্পর্ক । সেই সূত্রেই BSF-এর সঙ্গে পুলিশের সমন্বয় ছিল না বললেই চলে । ঘনিষ্ঠ মহলে কিংবা ঘরোয়া আড্ডায় BSF কর্তারা এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতেন । এরই মাঝে গত জুনে ঘটে যায় একটি ঘটনা । উত্তর 24 পরগনার এয়ারপোর্ট সংলগ্ন আটঘরা এলাকায় গোরুবোঝাই 14 টি ট্রাক আটকায় BSF । সোর্স মারফত BSF-এর কাছে খবর ছিল, ওই গোরুগুলি সীমান্ত দিয়ে পাচার এর জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে । এই ট্রাক আটকানোয় নেতৃত্ব দেন BSF কর্তা জি এস চৌহান ও নীতিশ শর্মা । তারপর খবর দেওয়া হয় স্থানীয় বাগুইআটি থানায় । বিশেষ সূত্র জানাচ্ছে, BSF-এর উপরমহল থেকে বিধাননগর পুলিশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে কথা বলা হয় । অনুরোধ করা হয়, ট্রাকগুলি আটক করতে । কিছু পরে ঘটনাস্থলে আসে বাগুইআটি থানার পুলিশ । অভিযোগ, BSF-এর থেকে ওই 14 টি ট্রাকের চাবি নিয়ে তা দিয়ে দেওয়া হয় গোরু ব্যবসায়ীদের হাতে । পুলিশের পক্ষ থেকে BSF-এর বৈধতা দিয়েই প্রশ্ন তোলা হয় । বিষয়টিতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয় BSF । এ নিয়ে জল ঘোলা হয় বিস্তর । সূত্র জানাচ্ছে, বিষয়টি জানানো হয় দিল্লিতেও ।

এই মাসে সীমান্তে ঘটে যায় একের পর এক ঘটনা । গত মাসের 10 তারিখ মুর্শিদাবাদের নির্মল চরে গোরু পাচারের চেষ্টা করে বাংলাদেশি গরু পাচারকারীরা । সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা বাধা দিলে দা, হাঁসুয়া, বোমা নিয়ে আক্রমণ করে তারা । ঘটনায় জখম হন BSF-এর বেশ কয়েকজন জওয়ান । 11 জুলাই উত্তর 24 পরগনার আঙরাইল সীমান্তে ঘটে আরও বড় ঘটনা । রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পেরিয়ে এপারে ঢুকে পড়ে 25 জন বাংলাদেশি গোরু পাচারকারী । তারা বেশ কিছু গোরু নিয়ে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করছিল । বিষয়টি টের পেয়ে যায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা । তারা বাধা দিলে বেধে যায় খণ্ডযুদ্ধ । সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় পাচারকারীরা । ছোড়া হয় শক্তিশালী বোমা । বোমার আঘাতে হাত উড়ে যায় BSF জওয়ান আনিসুর রহমানের । এমনকি দিন দুয়েক আগেও মালদার শাসানি এলাকায় ফের আক্রান্ত হয় BSF । গোরু পাচারকারীদের আক্রমণে গুরুতর আহত হন জেবলিন রাভা ও চন্দন বোরো নামে দুই জওয়ান ।

BSF চাইছে সীমান্তে নিয়ে যাওয়ার আগেই যদি পাচারকারীদের আটকে দেওয়া যায়, তবে অনেকটাই কমতে পারে গোরু পাচার । BSF-এর DIG(G) এস এস গুলেরিয়া ETV ভারতকে বলেন, "রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে গোরু ট্রাকে করে নিয়ে আসা হয় সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোয় । আমরা যদি ওই গোরু সীমান্তে নিয়ে আসার আগেই আটকে দিতে পারি, তবে সমস্যা অনেকটাই কমবে । ঠেকানো যাবে গরু পাচার । এ বিষয়ে পুলিশের সাহায্য প্রয়োজন ।" সূত্র জানাচ্ছে, ভবনী ভবনে বৈঠকে এই বিষয়ে কথা হয়েছে । পুলিশের পক্ষ থেকে সব রকম সাহায্য করা হবে বলে জানানো হয়েছে BSF-কে ।

কলকাতা, 1 অগাস্ট : সমন্বয় প্রায় ছিল না বললেই চলে । চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে BSF । কিন্তু প্রতিকূল পরিবেশে সীমান্তে গোরু পাচার রোধে সমস্যায় পড়ছে জওয়ানরা । সেই সূত্রে BSF চাইছিল, স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের সাহায্য । দিন কয়েক আগে BSF এর DIG(G) এস এস গুলেরিয়া বলেন, "বিভিন্ন সুযোগের মাধ্যমে চলছে গোরুপাচার । পাচারকারীরা পাচারে বাধা পেলে অস্ত্র ও বোমাসহ আক্রমণ করছে সীমান্তরক্ষীদের উপর । এই পরিস্থিতিতে গোরুপাচার রোধে প্রয়োজন স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় । সাহায্য প্রয়োজন সীমান্তবর্তী এলাকার সাধারণ মানুষের । কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে পাচারকারীরা টাকা ছড়িয়ে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর মানুষের মুখ বন্ধ করে দিচ্ছে । সব মিলিয়ে সীমান্তের গোরুপাচার রোখা কঠিন হয়ে পড়ছে । তারপরও সীমান্তরক্ষী বাহিনী অতন্দ্র প্রহরী হয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছে সীমান্ত রক্ষার ।" বিশেষ সূত্রে খবর, ভবানী ভবনে রাজ্য পুলিশের IG এবং BSF-এর উচ্চপদস্থ কর্তাদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে । সেই বৈঠকে ঠিক হয়েছে এবার পাচার রোধে হাতে হাত রেখে কাজ করবে সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ ।

অন্তরায় কেন্দ্র-রাজ্য তিক্ত সম্পর্ক । সেই সূত্রেই BSF-এর সঙ্গে পুলিশের সমন্বয় ছিল না বললেই চলে । ঘনিষ্ঠ মহলে কিংবা ঘরোয়া আড্ডায় BSF কর্তারা এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতেন । এরই মাঝে গত জুনে ঘটে যায় একটি ঘটনা । উত্তর 24 পরগনার এয়ারপোর্ট সংলগ্ন আটঘরা এলাকায় গোরুবোঝাই 14 টি ট্রাক আটকায় BSF । সোর্স মারফত BSF-এর কাছে খবর ছিল, ওই গোরুগুলি সীমান্ত দিয়ে পাচার এর জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে । এই ট্রাক আটকানোয় নেতৃত্ব দেন BSF কর্তা জি এস চৌহান ও নীতিশ শর্মা । তারপর খবর দেওয়া হয় স্থানীয় বাগুইআটি থানায় । বিশেষ সূত্র জানাচ্ছে, BSF-এর উপরমহল থেকে বিধাননগর পুলিশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে কথা বলা হয় । অনুরোধ করা হয়, ট্রাকগুলি আটক করতে । কিছু পরে ঘটনাস্থলে আসে বাগুইআটি থানার পুলিশ । অভিযোগ, BSF-এর থেকে ওই 14 টি ট্রাকের চাবি নিয়ে তা দিয়ে দেওয়া হয় গোরু ব্যবসায়ীদের হাতে । পুলিশের পক্ষ থেকে BSF-এর বৈধতা দিয়েই প্রশ্ন তোলা হয় । বিষয়টিতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয় BSF । এ নিয়ে জল ঘোলা হয় বিস্তর । সূত্র জানাচ্ছে, বিষয়টি জানানো হয় দিল্লিতেও ।

এই মাসে সীমান্তে ঘটে যায় একের পর এক ঘটনা । গত মাসের 10 তারিখ মুর্শিদাবাদের নির্মল চরে গোরু পাচারের চেষ্টা করে বাংলাদেশি গরু পাচারকারীরা । সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা বাধা দিলে দা, হাঁসুয়া, বোমা নিয়ে আক্রমণ করে তারা । ঘটনায় জখম হন BSF-এর বেশ কয়েকজন জওয়ান । 11 জুলাই উত্তর 24 পরগনার আঙরাইল সীমান্তে ঘটে আরও বড় ঘটনা । রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পেরিয়ে এপারে ঢুকে পড়ে 25 জন বাংলাদেশি গোরু পাচারকারী । তারা বেশ কিছু গোরু নিয়ে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করছিল । বিষয়টি টের পেয়ে যায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা । তারা বাধা দিলে বেধে যায় খণ্ডযুদ্ধ । সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় পাচারকারীরা । ছোড়া হয় শক্তিশালী বোমা । বোমার আঘাতে হাত উড়ে যায় BSF জওয়ান আনিসুর রহমানের । এমনকি দিন দুয়েক আগেও মালদার শাসানি এলাকায় ফের আক্রান্ত হয় BSF । গোরু পাচারকারীদের আক্রমণে গুরুতর আহত হন জেবলিন রাভা ও চন্দন বোরো নামে দুই জওয়ান ।

BSF চাইছে সীমান্তে নিয়ে যাওয়ার আগেই যদি পাচারকারীদের আটকে দেওয়া যায়, তবে অনেকটাই কমতে পারে গোরু পাচার । BSF-এর DIG(G) এস এস গুলেরিয়া ETV ভারতকে বলেন, "রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে গোরু ট্রাকে করে নিয়ে আসা হয় সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোয় । আমরা যদি ওই গোরু সীমান্তে নিয়ে আসার আগেই আটকে দিতে পারি, তবে সমস্যা অনেকটাই কমবে । ঠেকানো যাবে গরু পাচার । এ বিষয়ে পুলিশের সাহায্য প্রয়োজন ।" সূত্র জানাচ্ছে, ভবনী ভবনে বৈঠকে এই বিষয়ে কথা হয়েছে । পুলিশের পক্ষ থেকে সব রকম সাহায্য করা হবে বলে জানানো হয়েছে BSF-কে ।

Intro:কলকাতা, ১ অগাস্ট: সমন্নয় প্রায় ছিল না বললেই চলে। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে BSF। কিন্তু প্রতিকূল পরিবেশে সীমান্তে গোরুর স্মাগলিং রোধে সমস্যায় পড়ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। সেই সূত্রে BSF চাইছিল, স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের সাহায‍্য। দিন কয়েক আগে BSF এর DIG(G) এস এস গুলেরিয়া বলেন, “ বর্ষায় ভরা নদী, ঝিরঝির বৃষ্টি, উঁচু পাটক্ষেতের সুযোগ নিয়ে চলছে গোরু পাচার। বাধা পেয়ে পাচারকারীরা অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করছে সীমান্তরক্ষীদের ওপর। ছোঁড়া হচ্ছে বোমা। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে গোরু পাচার রোধে প্রয়োজন স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়। সাহায্য প্রয়োজন সীমান্তবর্তী এলাকার সাধারণ মানুষজনের। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে পাচারকারীরা টাকা ছড়িয়ে সীমান্তবর্তী গ্রাম গুলোর মানুষের মুখ বন্ধ করে দিচ্ছে। সব মিলিয়ে সীমান্তের স্মাগলিং রোখা কঠিন হয়ে পড়ছে। তার পরেও সীমান্তরক্ষী বাহিনী অতন্দ্র প্রহরী হয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছে সীমান্ত রক্ষার।" বিশেষ সূত্রে খবর, ভবানী ভবনে রাজ্য পুলিশের আইজি এবং বিএসএফের উচ্চপদস্থ কর্তাদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে ঠিক হয়েছে এবার পাচার রোধে হাতে হাত রেখে কাজ করবে সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশ।


Body:অন্তরায় কেন্দ্র-রাজ্য তিক্ত সম্পর্ক। সেই সূত্রেই BSFএর সঙ্গে পুলিশের সমন্বয় ছিল না বললেই চলে। ঘনিষ্ঠ মহলে কিংবা ঘরোয়া আড্ডায় BSF কর্তারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতেন। এরই মাঝে গত জুনে ঘটে যায় একটি ঘটনা। উত্তর 24 পরগনার এয়ারপোর্ট সংলগ্ন আটঘরা এলাকায় গোরুবোঝাই 14 টি ট্রাক আটকায় BSF। সোর্স মারফত বিএসএফের কাছে খবর ছিল, ওই গোরু গুলি সীমান্ত দিয়ে পাচার এর জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই ট্রাক আটকানোয় নেতৃত্ব দেন বিএসএফ কর্তা জি এস চৌহান এবং নীতিশ শর্মা। তারপর খবর দেওয়া হয় স্থানীয় বাগুইআটি থানায়। বিশেষ সূত্র জানাচ্ছে, বিএসএফের উপরমহল থেকে বিধান নগর পুলিশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে কথা বলা হয়। অনুরোধ করা হয়, ট্রাক গুলি আটক করতে। কিছু পরে ঘটনাস্থলে আসে বাগুইআটি থানার পুলিশ। অভিযোগ, বিএসএফের থেকে ওই 14 টি ট্রাকের চাবি নিয়ে তা দিয়ে দেওয়া হয় গরু ব্যবসায়ীদের হাতে। পুলিশের পক্ষ থেকে বিএসএফের বৈধতা দিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়। বিষয়টিতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয় বিএসএফ। এ নিয়ে জল ঘোলা হয় বিস্তর। সূত্র জানাচ্ছে, বিষয়টি জানানো হয় দিল্লিতেও।



Conclusion:এই মাসে সীমান্তে ঘটে যায় একের পর এক ঘটনা। গত মাসের 10 তারিখ মুর্শিদাবাদের নির্মল চরে গরু পাচারের চেষ্টা করে বাংলাদেশি স্মাগলাররা। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা বাধা দিলে দা,হাঁসুয়া,বোমা নিয়ে আক্রমণ করে স্মাগলাররা। ঘটনায় জখম হন বিএসএফের বেশ কয়েকজন জওয়ান। 11 জুলাই উত্তর 24 পরগনার আঙরাইল সীমান্তেতে ঘটে আরো বড় ঘটনা। রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পেরিয়ে এপারে ঢুকে পড়ে 25 জন বাংলাদেশী গোরু পাচারকারী। তারা বেশ কিছু গোরু নিয়ে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করছিল। বিষয়টি টের পেয়ে যায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। তারা বাধা দিলে বেধে যায় খন্ডযুদ্ধ। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় পাচারকারীরা। ছোঁড়া হয় শক্তিশালী বোমা। বোমার আঘাতে হাত উড়ে যায় বি এস এফ জওয়ান আনিসুর রহমানের। এমনকি দিন দুয়েক আগেও মালদার শাসানি এলাকায় ফের আক্রান্ত হয় বিএসএফ। গরু পাচারকারীদের আক্রমণে গুরুতর আহত হন জেবলিন রাভা এবং চন্দন বোরো নামে দুই জওয়ান।

বিএসএফ চাইছে সীমান্তে নিয়ে যাওয়ার আগেই যদি পাচারকারীদের আটকে দেওয়া যায় তবে অনেকটাই কমতে পারে গরু পাচার। গুলেরিয়া ইটিভি ভারতকে বলেন, “ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে গোরু ট্রাকে করে নিয়ে আসা হয় সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোয়। আমরা যদি ওই গোরু সীমান্তে নিয়ে আসার আগেই আটকে দিতে পারি, তবে সমস্যা অনেকটাই কমবে। ঠেকানো যাবে গরু পাচার। এ বিষয়ে পুলিশের সাহায্য প্রয়োজন।" সূত্র জানাচ্ছে, ভবনী ভবনে বৈঠকে এই বিষয়ে কথা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে সব রকম সাহায্য করা হবে বলে জানানো হয়েছে BSFকে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.