ETV Bharat / state

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শমীকের

রাজ্যজুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে অশান্তি অব্যাহত । একশ্রেণির মানুষ আন্দোলনের নামে হিংসা চালাচ্ছে । শাসকদল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে রাস্তায় নামছে । এই অবস্থায় BJP সরাসরি সংঘাতে না গিয়ে জনগণকে আইনের মূল বিষয়বস্তু বোঝাতে তৎপর হয়েছে । এই উদ্দেশ্যেই মঙ্গলবার সন্ধ্যাবেলায় জেলার যুব সম্পাদক চিরঞ্জিত ঘোষের উদ্যোগে আয়োজিত হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সম্পর্কিত আলোচনা সভা । এ সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে কটাক্ষ করেন তিনি ।

image
শমীক ভট্টাচার্য
author img

By

Published : Dec 18, 2019, 12:38 PM IST

কেষ্টপুর, 18 ডিসেম্বর : মঙ্গলবার রাতে কেষ্টপুরে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় । এখানে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বক্তব্য রাখেন BJP নেতা শমীক ভট্টাচার্য । তিনি বলেন, " ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগের পরেও পুনরায় এই দেশের অংশ দখল করার উদ্দেশেই বদলে দেওয়া হচ্ছে জনবিন্যাস । যারা এই দেশকে অপবিত্র তকমা দিয়েছিল, ছেড়ে চলে গিয়েছিল তারা কী কারণে ফের এই দেশে ফিরে আসছে ।"

রাজ্যজুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে অশান্তি অব্যাহত । একশ্রেণির মানুষ আন্দোলনের নামে হিংসা চালাচ্ছে । শাসকদল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে রাস্তায় নামছে । এই অবস্থায় BJP সরাসরি সংঘাতে না গিয়ে জনগণকে আইনের মূল বিষয়বস্তু বোঝাতে তৎপর হয়েছে । এই কারণেই মঙ্গলবার সন্ধ্যাবেলায় জেলার যুব সম্পাদক চিরঞ্জিত ঘোষের উদ্যোগে আয়োজিত হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সম্পর্কিত আলোচনা সভা । এই সভায় উপস্থিত ছিলেন BJP নেতা শমীক ভট্টাচার্য, উত্তর শহরতলি জেলা সভাপতি কিশোর কর ও রন্তিদেব সেনগুপ্ত ।

শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য

এ সভায় তিনি রাজ্য সরকার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে বলেন," আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে সরকার ব্যর্থ । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী ও শাসক দলের নেত্রী । তার একটা রাজনৈতিক অতীত আছে । আন্দোলনরত অবস্থায় মানুষ তাকে দেখতে অভ্যস্ত । তিনি সংবিধানের শপথ নিয়েছেন । তাঁর দল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করতে পারে । তাঁরা মনে করলে বলতেই পারে এই আইন ভারতীয় সংবিধানের মূল দর্শনের পরিপন্থী নয় । কিন্তু রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে পারে না । যারা ভারতবিরোধী, অন্য সম্প্রদায় বিরোধী স্লোগান দিচ্ছে , নিরপরাধ মানুষের ওপর আক্রমণ করছে , তাদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে,যাদের কারণে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে , হাজার হাজার মানুষ তাদের কারণে চিকিৎসা করার জন্য রাজ্যের বাইরে যেতে পারছে না । এটা আন্দোলন নয় , এটা নৈরাজ্য । কোনও সরকার এই নৈরাজ্যের শরিক হতে পারেনা ।" রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকেও আক্রমণ করেন BJP নেতা । তিনি বলেন,"মমতার সরকারের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ঝামেলার দিন প্রকাশ্যে বলছেন যে তোমরা বন্ধ কর । আগুন বন্ধ কর, হিংসা বন্ধ কর । না হলে 70 শতাংশ মানুষ ক্ষুব্ধ হবে এবং এটা নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহের হাত শক্ত করবে । সুতরাং যারা রাজ্যের গোটা রাজনীতিকে হিন্দু-মুসলমানের আঙ্গিকে বিচার করছে, আমরা তাদের মতো নই । এই আইন কোনও হিন্দু কিংবা মুসলমানের উপকার করবে না । এই আইন 125 কোটি মানুষের নিরাপত্তা এবং অত্যাচারিত মানুষের পাশে দাঁড়াবার জন্য তৈরি হয়েছে ৷ "

কেষ্টপুর, 18 ডিসেম্বর : মঙ্গলবার রাতে কেষ্টপুরে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় । এখানে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বক্তব্য রাখেন BJP নেতা শমীক ভট্টাচার্য । তিনি বলেন, " ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগের পরেও পুনরায় এই দেশের অংশ দখল করার উদ্দেশেই বদলে দেওয়া হচ্ছে জনবিন্যাস । যারা এই দেশকে অপবিত্র তকমা দিয়েছিল, ছেড়ে চলে গিয়েছিল তারা কী কারণে ফের এই দেশে ফিরে আসছে ।"

রাজ্যজুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে অশান্তি অব্যাহত । একশ্রেণির মানুষ আন্দোলনের নামে হিংসা চালাচ্ছে । শাসকদল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে রাস্তায় নামছে । এই অবস্থায় BJP সরাসরি সংঘাতে না গিয়ে জনগণকে আইনের মূল বিষয়বস্তু বোঝাতে তৎপর হয়েছে । এই কারণেই মঙ্গলবার সন্ধ্যাবেলায় জেলার যুব সম্পাদক চিরঞ্জিত ঘোষের উদ্যোগে আয়োজিত হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সম্পর্কিত আলোচনা সভা । এই সভায় উপস্থিত ছিলেন BJP নেতা শমীক ভট্টাচার্য, উত্তর শহরতলি জেলা সভাপতি কিশোর কর ও রন্তিদেব সেনগুপ্ত ।

শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য

এ সভায় তিনি রাজ্য সরকার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে বলেন," আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে সরকার ব্যর্থ । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী ও শাসক দলের নেত্রী । তার একটা রাজনৈতিক অতীত আছে । আন্দোলনরত অবস্থায় মানুষ তাকে দেখতে অভ্যস্ত । তিনি সংবিধানের শপথ নিয়েছেন । তাঁর দল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করতে পারে । তাঁরা মনে করলে বলতেই পারে এই আইন ভারতীয় সংবিধানের মূল দর্শনের পরিপন্থী নয় । কিন্তু রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে পারে না । যারা ভারতবিরোধী, অন্য সম্প্রদায় বিরোধী স্লোগান দিচ্ছে , নিরপরাধ মানুষের ওপর আক্রমণ করছে , তাদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে,যাদের কারণে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে , হাজার হাজার মানুষ তাদের কারণে চিকিৎসা করার জন্য রাজ্যের বাইরে যেতে পারছে না । এটা আন্দোলন নয় , এটা নৈরাজ্য । কোনও সরকার এই নৈরাজ্যের শরিক হতে পারেনা ।" রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকেও আক্রমণ করেন BJP নেতা । তিনি বলেন,"মমতার সরকারের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ঝামেলার দিন প্রকাশ্যে বলছেন যে তোমরা বন্ধ কর । আগুন বন্ধ কর, হিংসা বন্ধ কর । না হলে 70 শতাংশ মানুষ ক্ষুব্ধ হবে এবং এটা নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহের হাত শক্ত করবে । সুতরাং যারা রাজ্যের গোটা রাজনীতিকে হিন্দু-মুসলমানের আঙ্গিকে বিচার করছে, আমরা তাদের মতো নই । এই আইন কোনও হিন্দু কিংবা মুসলমানের উপকার করবে না । এই আইন 125 কোটি মানুষের নিরাপত্তা এবং অত্যাচারিত মানুষের পাশে দাঁড়াবার জন্য তৈরি হয়েছে ৷ "

Intro:

"ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ হওয়ার পরেও পুনরায় এই দেশের অংশ দখল করার উদ্দেশ্যেই বদলে দেওয়া হচ্ছে জনবিন্যাস। যারা এই দেশকে অপবিত্র তকমা দিয়ে পাকিস্তান নামে নতুন পবিত্র দেশ বানিয়েছিল। যারা এই দেশকে নাপাক বলে, দারুল হার্ব বলে ছেড়ে চলে গিয়েছিল তার কিসের লোভে ফের এই দেশে ফিরে আসছে"। মঙ্গলবার রাতে কেষ্টপুরে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে আয়োজিত একটি আলোচনাসভায় একথা বললেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।


Body:রাজ্যজুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে অশান্তি তৈরি হয়েছে। একশ্রেণীর মানুষ আন্দোলনের নামে হিংসায় চালাচ্ছে। শাসকদল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে রাস্তায় নামছে। এই অবস্থায় বিজেপি সরাসরি সংঘাতে না গিয়ে জনগণকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মূল বিষয়বস্তু বোঝাতে তৎপর হয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিষয়বস্তু জনগণের সামনে তুলে ধরলেই বিজেপি বিরোধীদের চক্রান্ত ব্যর্থ হবে দাবি বিজেপির। এই উদ্দেশ্যেই মঙ্গলবার সন্ধ্যাবেলায় একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে জেলার যুব সম্পাদক চিরঞ্জিত ঘোষের উদ্যোগে আয়োজিত হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সম্পর্কিত আলোচনা সভায়। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য, উত্তর শহরতলী জেলা সভাপতি কিশোর কর, রণতিদেব সেনগুপ্ত।


Conclusion:রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে অভিযোগ বিরোধীদের। আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে রাজ্য সরকার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে এদিন শমীক বলেন, "শাসক দল রাজ্য সরকার গন্ডগোল নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে সরকার ব্যর্থ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি শাসক দলের নেত্রী। তার একটা রাজনৈতিক অতীত আছে। আন্দোলনরত অবস্থায় মানুষ তাকে দেখতে অভ্যস্ত। তিনি সংবিধানের শপথ নিয়েছেন। তার দল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করতে পারে। তারা মনে করলে বলতেই পারে এই আইন ভারতীয় সংবিধানের মূল দর্শনের পরিপন্থী এই আইন। কিন্তু রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে পারে না। যারা পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলে আন্দোলন করছে তাদের সঙ্গে কোনো ভাবেই তারা সহমর্মিতা ব্যক্ত করতে পারে না। যারা ভারতবিরোধী, অন্য সম্প্রদায় বিরোধী স্লোগান দিচ্ছে। নিরপরাধ মানুষের ওপর আক্রমণ করছে। তাদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে। যাদের কারণে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ চিকিৎসা করার জন্য রাজ্যের বাইরে যেতে পারছে না। এটা আন্দোলন নয় এটা নৈরাজ্য। কোন সরকার এই নৈরাজ্যের শরিক হতে পারেনা।

রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকেও একহাত নেন শমীক। তিনি বলেন, "মমতার সরকারের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম গন্ডগোলের দিন প্রকাশ্যে বলছেন যে তোমরা গন্ডগোল বন্ধ করো। আগুন বন্ধ করো, হিংসা বন্ধ করো। নাহলে ৭০% মানুষ ক্ষুব্ধ হবে এবং এটা নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের হাত শক্ত করবে। সুতরাং যারা রাজ্যের গোটা রাজনীতিকে হিন্দু-মুসলমানের আঙ্গিকে বিচার করছে, আমরা তাদের মত নই। এই আইন কোন হিন্দু কিংবা মুসলমানের উপকার করবে না। এই আইন ১২৫ কোটি মানুষের নিরাপত্তা এবং অত্যাচারিত মানুষের পাশে দাঁড়াবার জন্য তৈরি হয়েছে"।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.