বেঙ্গালুরু, 19 নভেম্বর: ইএসআই কার্ডের সরকারি সুবিধে দেওয়ার জন্য ভুয়ো কোম্পানি তৈরি করেছিল প্রতারকরা ৷ অর্থের বিনিময়ে বেআইনি ইএসআই কার্ড এবং ই-পহেচান কার্ড দিচ্ছিল তারা ৷ জালিয়াতির এই ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে ৷ এই ঘটনায় বেঙ্গালুরু পুলিশের সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ চারজনকে গ্রেফতার করেছে ৷
অভিযুক্তরা রাজাজিনগরের ইএসআই হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী শ্রীধর, হাসপাতালের ক্যান্টিনের মালিক রমেশ, রামাইয়া হাসপাতালের প্রাক্তন কর্মচারী শিবলিঙ্গ, শ্বেতা এবং অডিটর শশীকলার বিরুদ্ধে এই অবৈধ কাজকর্মের অভিযোগ রয়েছে ৷
তারা সরকারি ওয়েবসাইটে ভুয়ো নামে বেশ কয়েকটি কোম্পানির নাম নথিভুক্ত করিয়েছিল ৷ বাস্তবে ওই কোম্পানিগুলির অস্তিত্ব ছিল না ৷ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা দুঃস্থ, প্রান্তিক মানুষদের নিশানা করত অভিযুক্তরা ৷ তাঁদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে ভুয়ো ইএসআই কার্ড দিত ৷ বদলে 10 হাজার থেকে 2 লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিত অভিযুক্তরা ৷
অভিযোগ, প্রতি ইএসআই কার্ড পিছু 500 টাকা করে নিত তারা ৷ কোম্পানির তরফে সরকারকে 280 টাকা দিয়ে বাকি টাকা নিজেদের পকেটে পুরত জালিয়াতরা ৷ এর ফলে অনেক ক্ষেত্রেই যোগ্য নয় এমন লোকজনও কার্ড পেয়ে বিনামূল্যে সরকারি সুযোগ-সুবিধে পেত ৷
ইএসআই কার্ড নিয়ে বেআইনি কাজকারবারের অভিযোগ পায় বেঙ্গালুরু পুলিশের সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ ৷ তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম শশীকলা গত 2 বছর ধরে তার বাড়িতে বসে ভুয়ো ইএসআই কার্ড তৈরি করতেন ৷ প্রায় 869 জনের ভুয়ো ইএসআই কার্ড তৈরি হয়েছিল এইভাবে ৷ বিভিন্ন হাসপাতালের ডাক্তারদের স্ট্যাম্প ব্যবহার করা হয়েছিল ৷ সেইসব পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে ৷ এছাড়া, 4টি ল্যাপটপ এবং 59 হাজার টাকা নগদ উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ আরও দু'জন অভিযুক্তকে তলব করা হয়েছে, জানিয়েছেন সিটি পুলিশ কমিশনার বি দয়ানন্দ ৷