বর্ধমান, 1 ফেব্রুয়ারি: আবাস যোজনা প্রকল্পের জন্য রাজ্যকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি রাখেনি মোদি সরকার। শুধু আবাস যোজনা নয়, একশো দিনের কাজ-সহ একাধিক প্রকল্পের বরাদ্দ প্রাপ্য টাকা থেকে রাজ্যকে বঞ্চনা করা হয়েছে বলে বারবার অভিযোগ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ৷ এবার কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের আগে মোদি সরকারকে একহাত নিলেন মমতা মন্ত্রী ৷
সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভেবে মুখ্যমন্ত্রী তহবিল থেকে সেই অর্থ বরাদ্দ করেছেন। বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে জেলার পঞ্চায়েত দফতরের পর্যালোচনা বৈঠকে যোগ দিতে এসে রাজ্যকে বঞ্চনা করায় মোদি সরকারকে একহাত নিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার।
আবাস যোজনায় 11 লক্ষ 1 হাজার উপভোক্তাদের বাড়ি তৈরির জন্য 7 হাজার 400 কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যে কথা আশ্বাস দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু 2021 সালের পর থেকে রাজ্য সরকারকে কেন্দ্র সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে ৷ এইভাবে রাজ্যের প্রাপ্য বরাদ্দ থেকে রাজ্যের মানুষকে বঞ্চনা করা হচ্ছে বলে ক্ষোভপ্রকাশ করেন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার।
তিনি বলেন, "এত কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও 2024 সালের নভেম্বর মাস থেকে আবাস যোজনা-সহ বিভিন্ন প্রকল্পে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায় সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে বরাদ্দ মিটিয়ে দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে 100 দিনের কাজে যে সব মানুষ কাজ করার পরেও তাদের প্রাপ্য টাকা পায়নি, কেন্দ্র সরকার সেই টাকা আটকে রেখেছে ৷" সেই কাজের টাকাও মিটিয়ে কর্মশ্রী প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে বিকল্প 50 দিনের কাজের ব্যবস্থা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বলে দাবি করেন তিনি। এছাড়া পূর্ব বর্ধমান জেলায় পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ টাকা পঞ্চায়েতি প্রকল্পে যাতে সঠিকভাবে খরচ করা হয় সেই পরামর্শ দেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী।
মন্ত্রী আরও বলেন, '"কেন্দ্রীয় সহায়তা নিয়ে যে সমস্ত কাজ করা হয় যেমন, একশো দিনের কাজ, গ্রামীণ রাস্তা-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য রাজ্যকে পুরস্কৃত করা হয়েছে ৷ এরপরেও 2021 সালের পর থেকে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে আমাদের আইনত প্রাপ্য টাকা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। কিন্তু এই কিছুর পরেও মুখ্যমন্ত্রী নিজের তহবিল থেকে মানুষের কথা ভেবে সেই অর্থ দিয়ে যাচ্ছেন। একশো দিনের কাজ করার পরেও গ্রামবাসীদের বকেয়া মজুরি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সেই টাকাও মিটিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কর্মশ্রী, গ্রামীণ আবাস যোজনা-সহ একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। মুখ্যমন্ত্রীও এই বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হন। পরে আমরা আবাস যোজনার বাড়ি যাতে গরিব মানুষ পায়, সেই ব্যবস্থা করেছি। বাংলার মানুষ তো দেখতে পাচ্ছে কীভাবে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা চলছে। আর মুখ্যমন্ত্রী তাদের পাশে কীভাবে দাঁড়াচ্ছেন।"