কলকাতা, 11 অগস্ট: একদিকে যেমন বিজেপি'র সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডার উপস্থিতিতে চলছে বিজেপির পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলন ৷ অন্যদিকে রাজ্যে রয়েছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের প্রধান মোহন রাও ভাগবত। শনিবার এবং আগামিকাল অর্থাৎ রবিবার বিকেল পর্যন্ত চলবে আরএসএস-এর পূর্বাঞ্চলীয় কার্যকারিণীর বৈঠক। আর সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুক্রবার রাতেই কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন মোহন ভাগবত। আগামী সোমবার ফিরে যাওয়ার কথা তাঁর ৷
কলকাতায় আরএসএস-এর সদর দফতর কেশব ভবনে এদিন সকাল ন'টা থেকে শুরু হওয়া এই বৈঠক চলবে রবিবার সকাল পর্যন্ত ৷ এমনটাই জানিয়েছেন বঙ্গে আরএসএস-এর অন্যতম সদস্য বিপ্লব রায়। এদিকে আরএসএস প্রধানের বাংলায় আসা এবং দু'দিন ব্যাপী বৈঠক অন্যদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডার উপস্থিতিতে দু'দিনের বৈঠক যে একেবারে কাকতালীয় নয়, তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে কি লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলার জমিতে গেরুয়া শিবিরের কেমন প্রস্তুতি সেটাই খতিয়ে দেখতে এই দুটি পৃথক বৈঠক, এমনটাই প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহল ৷
আরও পড়ুন: বঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রিগিংয়ের অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী মোদির
তবে এই ব্যাখ্যা উড়িয়ে দিয়েছেন বিপ্লব রায়। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, যে গতবছর অক্টোবর মাসে অখিল ভারতীয় পরিষদের একটি বৈঠক হয় ৷ যেখানে মোহন ভাগবত এবং সংগঠনের সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবোলে চলতি বছরের জুলাই এবং অগস্ট মাসে দেশের চার জায়গায় সফর করবেন। সেই কারণেই তাঁদের কলকাতায় আসা বলেই দাবি করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন যে, এর সঙ্গে জেপি নাড্ডার সফরের কোনও যোগ নেই ৷ কারণ গতবছরই মোহন ভাগবতের এই কর্মসূচি ঠিক হয়ে গিয়েছিল। তখনও বিজেপির কোনও ঘোষিত কর্মসূচি স্থির ছিল না।
এর পাশাপাশি তিনি আরও জানান, অখিল ভারতীয় পরিষদের নির্দিষ্ট কিছু কর্মসূচি থাকে। নির্বাচন নিয়ে কোনও পৃথক কোনও কর্মসূচি থাকে না। অর্থাৎ তিনি স্পষ্ট দাবি করেছেন, মোহন ভাগবতের রাজ্য সফরের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক বা লোকসভা নির্বাচন সম্পর্কিত কোনও যোগ নেই। আরএসএস-এর এই দু'দিনের বৈঠকে সংগঠনের পূর্বাঞ্চলীয় ক্ষেত্রের কার্যকারিণীর বৈঠক। এই বৈঠকে বাংলা ছাড়াও অসম এবং বিহারের সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। সংঘের সঙ্গে এমন বহু সেবকরা যুক্ত আছেন যারা একাধিক গুণ সম্পন্ন। সেইসব সেবকদের নিয়ে একটি 'সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট' কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে বিপ্লববাবু বলেন, "যেহেতু সংঘ একটি সামাজিক সংগঠন, তাই বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমাজের কল্যাণ করা ৷ সমাজের উত্থান করার দায়বদ্ধতাও রয়েছে সংঘের। এইসব বিষয় নিয়ে মূলত দু'দিনের এই বৈঠক।"