ETV Bharat / state

"বেছে বেছে আমার মকেল্লের পিছনে লেগেছে CBI", হাইকোর্টে রাজীব কুমারের আইনজীবী - sebi

এই মামলার শুনানি শেষ না হওয়ায় মঙ্গলবার হাইকোর্ট রাজীব কুমারের সুরক্ষা কবচ 22 জুলাই থেকে বাড়িয়ে 29 জুলাই পর্যন্ত করেছে । গত 17 জুলাই থেকে শুরু হয়েছে রাজীব কুমার ও CBI-এর মামলার শুনানি । প্রথম দিন থেকেই রাজীব কুমারের আইনজীবী মিলন মুখার্জি সারদা মামলায় CBI-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ।"

ফাইল ছবি
author img

By

Published : Jul 24, 2019, 5:07 AM IST

কলকাতা, 24 জুলাই : কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI-কে আক্রমণ করলেন কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের আইনজীবী । গতকাল রাজীব কুমার ও CBI-এর মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে । সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতির কাছে রাজীবের আইনজীবী মিলন মুখার্জির অভিযোগ, সারদা চিটফান্ডের মতো কেলেঙ্কারিতে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হয়েছিল । CBI- সে ব্যাপারে সম্পূর্ণ তদন্তই করেনি । 122 জন তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের মধ্যে CBI বেছে বেছে রাজীব কুমারের পিছনেই লেগেছে ।

এই সংক্রান্ত খবর : রাজীব কুমারের গ্রেপ্তারির উপর ‘রক্ষাকবচ’ বাড়ল আরও এক সপ্তাহ

শুনানিতে রাজীব কুমারের তরফে আইনজীবী মিলন মুখার্জি কোর্টে বলেন "SEBI-র থেকে কোনও অনুমতি না নিয়ে সারদা বাজার থেকে টাকা তুলেছিল । অর্থনীতি দপ্তর এই কথা জানিয়ে SEBI-কে চিঠি দিয়েছিল । কিন্ত SEBI তখন কিছুই করেনি । 2013 সালে 6 এপ্রিল যখন সারদা কম্পানি ভেঙে পড়ছে সেই সময় SEBI নড়েচড়ে বসে । 20 এপ্রিল 2013-তে সারদা কম্পানির ডিরেক্টর মনোজ কুমার নাগেলকে গ্রেপ্তার করা হয় । ওই বছরের 23 এপ্রিল সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী গ্রেপ্তার হয় । আসলে CBI হচ্ছে লোকজনকে ভয় দেখানো একটা সংস্থা । লোকে ভাবে CBI বাপরে বাপ । সারদা গ্রুপের মিডল্যান্ডের অফিস থেকে একাধিকবার টাকা নিয়েছেন সজ্জন আগারওয়াল ও তাঁর ছেলে সন্দীপ আগারওয়াল । সজ্জন আগারওয়ালের নামে 2014 সালে চার্জশিট দিলেও তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি । সারদা গ্রুপ অসমেও সাধারণ মানুষের থেকে টাকা তোলার ব্যাবসা শুরু করেছিল । মাতঙ্গ সিং, মনোরঞ্জনা সিং, শান্তনু ঘোষরা সারদা কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির নামে প্রচুর টাকা নিয়েছিল । সজ্জন আগারওয়াল, সন্দীপ আগারওয়াল, সদানন্দ গগৈ সারদার বেআইনি অর্থ সংগ্রহের ব্যাপারে জানত । কিন্ত ব্যাক্তিগত স্বার্থের কারণে তাঁরা কিছু বলেনি । সারদা চিটফান্ডকে কেন্দ্র করে যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হয়েছিল CBI সে ব্যাপারে সম্পূর্ণ তদন্তই করেনি । 122 জন তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের মধ্যে CBI বেছে বেছে আমার মক্কেলের পেছনে লেগেছে ।"

এই সংক্রান্ত আরও খবর : গত 5 বছরে সারদা মামলায় কিছুই করেনি CBI, দাবি রাজীবের আইনজীবীর

প্রসঙ্গত এই মামলার শুনানি শেষ না হওয়ায় মঙ্গলবার হাইকোর্ট রাজীব কুমারের সুরক্ষা কবচ 22 জুলাই থেকে বাড়িয়ে 29 জুলাই পর্যন্ত করেছে । গত 17 জুলাই থেকে শুরু হয়েছে রাজীব কুমার ও CBI-এর মামলার শুনানি । প্রথম দিন থেকেই রাজীব কুমারের আইনজীবী মিলন মুখার্জি সারদা মামলায় CBI-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ।"

কলকাতা, 24 জুলাই : কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI-কে আক্রমণ করলেন কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের আইনজীবী । গতকাল রাজীব কুমার ও CBI-এর মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে । সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতির কাছে রাজীবের আইনজীবী মিলন মুখার্জির অভিযোগ, সারদা চিটফান্ডের মতো কেলেঙ্কারিতে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হয়েছিল । CBI- সে ব্যাপারে সম্পূর্ণ তদন্তই করেনি । 122 জন তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের মধ্যে CBI বেছে বেছে রাজীব কুমারের পিছনেই লেগেছে ।

এই সংক্রান্ত খবর : রাজীব কুমারের গ্রেপ্তারির উপর ‘রক্ষাকবচ’ বাড়ল আরও এক সপ্তাহ

শুনানিতে রাজীব কুমারের তরফে আইনজীবী মিলন মুখার্জি কোর্টে বলেন "SEBI-র থেকে কোনও অনুমতি না নিয়ে সারদা বাজার থেকে টাকা তুলেছিল । অর্থনীতি দপ্তর এই কথা জানিয়ে SEBI-কে চিঠি দিয়েছিল । কিন্ত SEBI তখন কিছুই করেনি । 2013 সালে 6 এপ্রিল যখন সারদা কম্পানি ভেঙে পড়ছে সেই সময় SEBI নড়েচড়ে বসে । 20 এপ্রিল 2013-তে সারদা কম্পানির ডিরেক্টর মনোজ কুমার নাগেলকে গ্রেপ্তার করা হয় । ওই বছরের 23 এপ্রিল সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী গ্রেপ্তার হয় । আসলে CBI হচ্ছে লোকজনকে ভয় দেখানো একটা সংস্থা । লোকে ভাবে CBI বাপরে বাপ । সারদা গ্রুপের মিডল্যান্ডের অফিস থেকে একাধিকবার টাকা নিয়েছেন সজ্জন আগারওয়াল ও তাঁর ছেলে সন্দীপ আগারওয়াল । সজ্জন আগারওয়ালের নামে 2014 সালে চার্জশিট দিলেও তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি । সারদা গ্রুপ অসমেও সাধারণ মানুষের থেকে টাকা তোলার ব্যাবসা শুরু করেছিল । মাতঙ্গ সিং, মনোরঞ্জনা সিং, শান্তনু ঘোষরা সারদা কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির নামে প্রচুর টাকা নিয়েছিল । সজ্জন আগারওয়াল, সন্দীপ আগারওয়াল, সদানন্দ গগৈ সারদার বেআইনি অর্থ সংগ্রহের ব্যাপারে জানত । কিন্ত ব্যাক্তিগত স্বার্থের কারণে তাঁরা কিছু বলেনি । সারদা চিটফান্ডকে কেন্দ্র করে যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হয়েছিল CBI সে ব্যাপারে সম্পূর্ণ তদন্তই করেনি । 122 জন তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের মধ্যে CBI বেছে বেছে আমার মক্কেলের পেছনে লেগেছে ।"

এই সংক্রান্ত আরও খবর : গত 5 বছরে সারদা মামলায় কিছুই করেনি CBI, দাবি রাজীবের আইনজীবীর

প্রসঙ্গত এই মামলার শুনানি শেষ না হওয়ায় মঙ্গলবার হাইকোর্ট রাজীব কুমারের সুরক্ষা কবচ 22 জুলাই থেকে বাড়িয়ে 29 জুলাই পর্যন্ত করেছে । গত 17 জুলাই থেকে শুরু হয়েছে রাজীব কুমার ও CBI-এর মামলার শুনানি । প্রথম দিন থেকেই রাজীব কুমারের আইনজীবী মিলন মুখার্জি সারদা মামলায় CBI-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ।"

Intro:১২২ জন পুলিশ অফিসারের মধ্যে সিবিআই বেছে বেছে আমার মক্কেলের পেছনেলেগেছে Body:
মানস নস্কর---

১২২ জন পুলিশ অফিসারের মধ্যে সিবিআই বেছে বেছে আমার মক্কেলের পেছনে লেগেছে, হাইকোর্টে বললেন রাজীব কুমারের আইনজীবী

কলকাতা ২৩ জুলাইঃ
কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার ও সিবিআই মামলার আর এক দফা শুনানি হলো আজ। আজ মামলার শুনানিতে রাজীব কুমারের তরফে আইনজীবী মিলন মুখার্জি বলেন "
SEBI র থেকে কোনো অনুমতি না নিয়েই সারদা টাকা তুলেছিল সাধারন মানুষের থেকে। Department of finance, W.B,economic offence 2010 এ এই কথা জানিয়ে SEBI কে চিঠি দিয়েছিল। কিন্ত SEBI কিছুই করেনি।২০১৩ সালে ৬ এপ্রিল যখন সারদা কোম্পানি ভেঙে পড়ছে সেই সময় SEBI নড়েচড়ে বসে।২০ এপ্রিল ২০১৩ তে সারদা কোম্পানির ডিরেক্টর মনোজ কুমার নাগেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।এরপর ২৩ এপ্রিল ২০১৩ তে সুদীপ্ত সেন ও দেবজানীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসলে CBI হচ্ছে লোকজনকে ভয় দেখানো একটা সংস্থা। লোকে ভাবে CBI বাপরে বাপ।সারদা গ্রুপের মিডল্যান্ডের অফিস থেকে একাধিক বার টাকা নিয়েছে সজ্জন আগারওয়াল ও তার ছেলে সন্দীপ আগারওয়াল। সজ্জন আগারওয়ালের নামে ২০১৪ সালে চার্জশিট দিলেও তাকে গ্রেপ্তার করা হয় নি।সারদা গ্রুপ আসামেও সাধারন মানুষের থেকে টাকা তোলার ব্যাবসা শুরু করেছিল।মাতঙ্গ সিং,মনোরঞ্জনা সিংহ, শান্তনু ঘোষ প্রচুর টাকা নিয়েছিল সারদা কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির নামে।সজ্জন আগারওয়াল, সন্দীপ আগারওয়াল, সদানন্দ গগৈ সারদার বেআইনি অর্থ সংগ্রহের ব্যাপারে সম্পুর্ন জানতো কিন্ত নিজেদের ব্যাক্তিগত স্বার্থের কারনে কিছুই বলেনি।সারদা রিলটি যখন ছিল সেই সময় একাধিক লোক চিট করেছিল সুদীপ্ত সেনকে।সে ব্যাপারে সিবিআই কি করেছে?সারদা চিটফান্ডকে কেন্দ্রকরে যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হয়েছিল সিবিআই সে ব্যাপারে সম্পুর্ন তদন্তই করেনি।এখন ১২২ জন তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের মধ্যে সিবিআই বেছে বেছে আমার মক্কেলের পেছনে লেগেছে।

প্রসঙ্গত এই মামলার শুনানি শেষ না হওয়ায় গতকাল হাইকোর্ট রাজীব কুমারের সুরক্ষা কবচ ২২ জুলাই থেকে বাড়িয়ে ২৯ জুলাই পর্যন্ত করেছে। গত ১৭ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে রাজীব কুমার ও সিবিআইয়ের মামলার শুনানি। প্রথম দিন থেকেই রাজীব কুমারের আইনজীবী তোপ দাগছেন সিবিআইয়ের মতো সংস্থাকে।আগামী পরশুদিন আবার শুনানি। Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.