কলকাতা, 11 অগস্ট: "এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়াররা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুষ খাচ্ছে। আর চোখের সামনে বেআইনি নির্মাণ হয়ে যাচ্ছে। মেয়র হিসেবে এটা আমার লজ্জার বিষয়।'' শুক্রবার এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। উল্লেখযোগ্যভাবে, তাঁর হাতেই কলকাতা কর্পোরেশনের বিল্ডিং বিভাগ। আর বেআইনি নির্মাণ নিয়ে একের পর এক অভিযোগের বন্যায় বিরক্ত ফিরহাদ বিভাগের এক্সিকিউটিভদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুললেন নিজেই। এদিন 'টক টু মেয়র' অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করেছেন তিনি। একইসঙ্গে দ্বিতীয়বার এ ধরণের অভিযোগ এলে সংশ্লিষ্ট এক্সিকিউটিবকে শো-কজ করা হবে বলেও জানিয়েছেন।
এদিন চার নম্বর ওয়ার্ড থেকে একটি ফোন আসে মেয়রের কাছে। অভিযোগকারী সেই নাগরিক দাবি করেন, শহরের এক নামি বিউটিশিয়ান শাসক ঘনিষ্ট বেআইনি নির্মাণ করছেন। তাঁকে বারবার বলা সত্ত্বেও কোনও কাজই হয়নি। উপরন্তু হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন ওই নাগরিক। তাঁর দাবি, সেই বেআইনি নির্মাণকারী জানিয়েছেন, ফিরহাদ হাকিমকে তাঁর নাম বলেও কোনও কাজ হবে না। এমন বেশ কিছু অভিযোগ পেয়ে মেজাজ হারান মেয়র। সামনে থাকা আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ''পয়সা খাওয়ায় জন্য ওয়ার্ডে ঘুরে বেড়ায় এক্সিকিউটিভরা। এদের প্রতিমাসে বেতন দিয়ে পুষে কী লাভ ! একটা ওয়েবসাইট খুললেই হয়। সেখানেই লোকজন অভিযোগ করবেন । মেয়র হিসেবে এটা আমার লজ্জার বিষয়।''
আরও পড়ুন: র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে কমিটি গঠন রাজ্যপালের, নেতৃত্বে রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য
কেন রোখা যাচ্ছে না বেইমানি নির্মাণের প্রবণতা ! এ বিষয়ে মেয়রের বলেন, ''বিল্ডিং তৈরি হয়ে যাচ্ছে তারপর গিয়ে ভাঙা হচ্ছে, এটা কোনও সমাধান নয়। বিল্ডিংটা একদিনে তৈরি হয় না। প্রথম থেকে এক্সিকিউটিভরা কী করে! এই, এসএই-এরা হয় ওয়ার্ডে ঘোরে না, নয়তো অপদার্থ। ডিজিকে বলেছি এই ধরণের অভিযোগ আবার এলে এর দায় এক্সিকিউটিভকেই নিতে হবে। শো-কজ করতে হবে তাঁকে।'' হাকিমের কথায়, "বাড়ি তৈরির পর ভাঙার ক্ষেত্রে হয়রানি হয় নিরাপরাধ মানুষদের। যাঁরা ফ্ল্যাট কিনছেন। আমদের লক্ষ্য বেআইনি নির্মাণ যারা করছে তাদের শাস্তি দেওয়া। শুরুতেই বেআইনি নির্মাণ আটকানো।"