কলকাতা, 2 জানুয়ারি: বহু টালবাহানার পর ব্রিগেড গ্রাউন্ডে 'ইনসাফ সভা' করার অনুমতি পেল বাম ছাত্র ও যুব সংগঠন । মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানিয়ে দিলেন ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় । ওই দিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাম ছাত্র-যুব তো বটেই, চাকরির দাবিতে, ন্যায্য মজুরির দাবিতে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষও সভায় শামিল হবেন বলে দাবি করেছেন বাম নেত্রী ।
মঙ্গলবার মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, "7 তারিখ ব্রিগেডে সমাবেশ । বেলা সাড়ে বারোটায় সমাবেশ । এই সময়কালে যাঁরা আক্রান্ত, যাঁরা শহিদ পরিবার, তাঁদের কাছে আমরা পৌঁছেছি । সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী, চিকিৎসক - প্রতিদিন যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদেরও লড়াইয়ে পাশে পাওয়ার আবেদন করছি । সকলেই আসবেন ।"
বিশেষ করে শহর ও শহরতলি লাগোয়া কলকাতা, হাওড়া ও দুই 24 পরগনার সাধারণ মানুষ এই ব্রিগেডে আসবেন বলে জানিয়েছেন মীনাক্ষী । শহরের মোট সাতটি জায়গা থেকে মিছিল করে ব্রিগেডের দিকে রওনা হবেন কর্মী ও সমর্থকরা ।
মীনাক্ষী বলেন, "7 তারিখে ব্রিগেড সমাবেশে প্রকৃতিকেও বাঁচাতে হবে । প্রতিটি ইউনিট কমিটিকে অনুরোধ, আসুন 7 তারিখ তবে পরিবেশকে বাঁচিয়ে । কলকাতার সবুজকে বাঁচানোর দায়িত্বও আমাদের ।"
ওই দিন মোট 7টা পয়েন্ট থেকে মিছিল আসবে । খিদিরপুর মাজার, হাজরা মোড়, সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার, পার্ক সার্কাস, মল্লিক বাজার, সেন্ট্রাল মেট্রো, হাওড়া স্টেশন ও শিয়ালদা স্টেশন ৷ মীনাক্ষীর আবেদন, "এটা দেশ বাঁচানোর, রাজ্য বাঁচানোর লড়াই । দেশদ্রোহিদের বিরুদ্ধে লড়াই । ভুল এজেন্ডার বিরুদ্ধে মূল এজেন্ডা নিয়ে লড়াই ৷ নকল যুদ্ধে নয় আসল যুদ্ধে আসুন ৷"
সে দিন সমস্ত বামপন্থী যুব ও অন্যান্য সংগঠনও আসবে বলে জানিয়েছেন ডিওয়াইএফআই নেত্রী । অনেক সিভিক পরিবার ও পরিযায়ী শ্রমিকরাও আসবেন বলে খবর । ভিন রাজ্যেও এই ইনসাফ সভা দেখানো হবে । মীনাক্ষীর কথায়, " রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরাই জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করছেন । কেরলে ও বেঙ্গালুরুতে জায়েন্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে । ওখান থেকে আর্থিক সাহায্যও পেয়েছি আমরা । তাঁরা অনেকেই আসবেন ।"
আরও পড়ুন: