কলকাতা,12 অগাস্ট : আড়াই মাস ধরে চলেছিল লকডাউন ৷ সেই কারণে বন্ধ ছিল পৌরনিগমের সদর দপ্তর সহ অন্যান্য কর সংগ্রহ কাউন্টারগুলি ৷ এর ফলে পৌর নিগমের কোষাগার প্রায় শূন্যতে এসে দাঁড়িয়েছিল । যদিও, আশার বিষয় যে কর সংগ্রহের পরিসংখ্যান বলছে গত 10 দিনে রেকর্ড অর্থ সংগ্রহ হয়েছে কলকাতা পৌরনিগম । সংগ্রহ হয়েছে প্রায় 90 থেকে 100 কোটি টাকা । পয়লা অগাস্ট থেকে 10 আগস্ট পর্যন্ত প্রায় 90 কোটি বকেয়া করের অর্থ জমা পড়েছে কলকাতা পৌরনিগমের কোষাগারে ।
লকডাউনের পর অর্থাৎ 22 মার্চ থেকে 30 মার্চ পর্যন্ত কলকাতা পৌরনিগমের সবকটি কাউন্টার বন্ধ ছিল । পয়লা জুন আনলক হওয়ার পর ফের আবার কলকাতা পৌরনিগমের কাউন্টারগুলি খুলে দেওয়া হয় । কিন্তু তারপরেও বকেয়া অর্থ প্রায় সিংহভাগই জমা পড়েনি কলকাতা পৌরনিগমে । অনাদায়ী কর আদায় করতেই নড়েচড়ে বসে কলকাতা পৌরনিগমের কর্তৃপক্ষ । অনাদায়ী কর আদায় করতে বিভাগীয় আধিকারিকদের নিয়ে একাধিক বৈঠক কলকাতা পৌরনিগমের সদর দপ্তরে । সেইসঙ্গেই কর আদায় করতে বিভিন্ন বোরোতে ও এলাকায় মিটিং করেন আধিকারিকরা । সাধারণ মানুষের সঙ্গে অনেক বেশি যোগাযোগ বাড়ানো হয় । বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলেন আধিকারিকরা । সেইসঙ্গে পৌর আধিকারিকদের কর্পোরেট অফিসের মত টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয় কর আদায় করতে কোনও মতেই গাছাড়া মনোভাব বরদাস্ত করা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় । আগের তুলনায় অনেক বেশি তৎপর হতে হবে কর আদায়ের ক্ষেত্রে এমনই নির্দেশ দেন কলকাতা পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম । কলকাতা পৌরনিগমের প্রশাসন মণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ জানান,"কোষাগারের হাল ফেরাতে অনাদায়ী অর্থ আদায় করতে কলকাতার সবকটি বোরোতে গিয়ে তিনি মিটিং করেছেন। সাধারণ মানুষের কথা বলে অনাদায়ে কর জমার দেওয়ার জন্য তাদের বোঝানো হয়। বিভিন্ন ক্যাম্পেন করা হয়েছে বহু এলাকায় । এই সামগ্রিক চেষ্টার ফলেই এই বিপুল অঙ্কের কর জমা পড়েছে ।"
পয়লা জুন থেকে 31 জুলাই পর্যন্ত পৌরনিগমের আয় হয় আড়াইশো কোটি টাকা । কলকাতা পৌরনিগমের কোষাগার অবস্থা এতই সংকট হয়েছিল যে গত মাসের রাজ্য সরকারের থেকে আর্থিক সহযোগিতায় কর্মচারীদের বেতন দেওয়া হয়েছিল । অতীন ঘোষ জানিয়েছেন এলাকায় এলাকায় মিটিং জনসংযোগ বৃদ্ধি ও পুর আধিকারিকদের তৎপরতায় হাল ফিরছে কলকাতা পৌরনিগমের কোষাগারের । আগামী দিনেও বিভিন্ন এলাকায় ক্যাম্প করে অনাদায়ী অর্থ আদায় করার ব্যবস্থা করা হবে ।