কলকাতা, ২২ ফেব্রুয়ারি : হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। গতকাল হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। মঙ্গলবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলির মধ্যে ধাক্কাধাক্কিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে ভরতি করা হয় হাসপাতালে। তাঁকে দেখতে যান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে মঙ্গলবার থেকেই স্টুডেন্ট ইউনিয়ন ভোটের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে পড়ুয়ারা।
গতকাল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে অবস্থানকারীরা একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। AFSU-র তরফে রশ্মি গুহ বলেন, “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস তাই আমরা তিনটে ফ্যাকাল্টির ইউনিয়নের পক্ষ থেকে মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করছি। আমরা যেহেতু ইউনিয়নের পক্ষে, তাই এই মুহূর্তে যেভাবে বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এবং আমাদের এই ক্যাম্পাসেও যে ঘটনা ঘটে গেছে তার প্রেক্ষিতেই এটা করা হচ্ছে। এ বছর আমরা অরবিন্দ ভবনকে সামনে রেখে ভাষা দিবসে আমরা হোক ইউনিয়নের তরফে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি।”
রশ্মি নিজেদের দাবি নিয়ে বলেন, “আমরা মনে করি আমাদের দাবি ন্যায্য। আমরা যেটা চেয়েছি ইউনিয়ন ইলেকশনের ঘোষণা হোক এবং তার জন্য যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক প্রয়োজন সেটা করা হোক। আমরা এই দাবিতে অবশ্যই অনড় থাকব। এবং এর সঙ্গে এটা বলতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা ন্যক্কারজনক। আমরা এর ধিক্কার জানাই।”
উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, মঙ্গলবারের ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের চিহ্নিত করা হয়ে গেছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ তিনি করবেন না। একই মত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুরও। তিনি বলেন, “স্যার সুস্থ হয়ে যাক, ছেলেরা শান্ত হয়ে যাক, ছেলেরা একটু বুঝুক। তারপর তারা যদি নিজেরা ঠান্ডা মাথায় আলোচনা করে আমরা নিশ্চয় করব। আমরা পাশে আছি। আমরা চাই না ওদের কোনও ক্ষতি হোক, ওদের গণতান্ত্রিক অধিকার নষ্ট হোক। আশা করা যায় ওরা বুঝবে। ওরা যদি বুঝতে পারে যে আমাদের হাতে নেই ব্যাপারটা। আমরা তো অপারগ। সেটা যদি বুঝতে পারে যে ভোট করানোটা উপাচার্য, রেজিস্ট্রারের হাতে নেই। উপাচার্য সুস্থ হলে বরং এই বিষয়ে আলোচনা করা যাবে।”