ETV Bharat / state

বাসের ভাড়া তিনগুণ বাড়ানো কি ঠিক হল? - বাস

আগামী সপ্তাহ থেকে চলবে বেসরকারি বাস । তবে ভাড়া তিনগুণ বাড়ানো হয়েছে । এতে যাত্রীরা চরম সমস্য়ায় পড়বেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা । এছাড়াও বাস মালিকদেরও লোকসান হতে পারে ।

bus
বাস
author img

By

Published : May 16, 2020, 4:41 PM IST

কলকাতা, 16 মে: আগামী সপ্তাহ থেকে চালু হতে পারে বেসরকারি বাস, ট্যাক্সি ও অটো পরিষেবা । ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বেসরকারি বাস সংগঠন তড়িঘড়ি প্রকাশ করেছে প্রস্তাবিত ভাড়ার তালিকা । তবে গণপরিবহন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তিনগুণ বাস ভাড়া বৃদ্ধি রাজ্য পরিবহন ক্ষেত্রে পরিকল্পনার অভাবের পরিচয় বহন করে ।

পরিবহন বিশেষজ্ঞ ডক্টর পার্থপ্রতিম বিশ্বাস বলেন, "কলকাতা এবং শহরতলির গণপরিবহনের শিরদাঁড়াই হল বেসরকারি বাস পরিষেবা । কারণ পরিবহন ক্ষেত্রে প্রায় 10 থেকে 12% সরকারি বাস এবং বাকি 90% বেসরকারি বাস রয়েছে । তাই রাজ্যে গণপরিবহন বলতে আমরা বেসরকারি পরিবহনই বুঝি । ভাড়া ঠিক করার মতো এত বড় একটা সিদ্ধান্ত বাস মালিকদের উপর ছেড়ে দেওয়াটা যুক্তিসঙ্গত বলে আমি মনে করি না । কারণ গণপরিবহনের সঙ্গে যেমন জড়িয়ে রয়েছে লাখ লাখ মানুষের জীবিকা, তেমনই জড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য যাত্রীর প্রতিদিনের জীবনযাত্রা । লকডাউনের জেরে বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন । পাশাপাশি বহু মানুষের বেতন অনেকটাই কমেছে । তাই এক লাফে অনেকটা ভাড়া বৃদ্ধি হলে বিশাল সংখ্যক যাত্রী গণপরিবহন থেকে সরে যেতে বাধ্য হবেন । নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত মানুষরাই বাসে বেশি যাতায়াত করেন ।"

তিনি বলেন, "এখানে আরও একটি বিষয় লক্ষণীয় । তা হল বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ন্ত্রণ । তা ভাড়ার ক্ষেত্রেই হোক বা ভর্তুকির ক্ষেত্রেই হোক । অর্থাৎ বাস মালিকরা যেমন বাসের ভাড়া ঠিক করবেন তেমনই আবার যাত্রীরা ঠিক করবেন যে তাঁরা বাসে উঠবেন কি না ।" পার্থপ্রতিমবাবু বলেন, "বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাব দেখা যাচ্ছে । তাই এই ক্ষেত্রে রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে বোঝাপড়ার মাধ্যমে গণপরিবহনের ক্ষেত্রে একটি প্রকল্প ঘোষণা করা উচিত ছিল । তাহলে যেমন বাস মালিকরাও স্বস্তি পেতেন, তেমন যাত্রীদের উপরেও বাড়তি ভাড়ার চাপ পড়ত না ।" সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এর ফলে ভাড়া বাড়িয়ে ভিড় কমানোর যে প্রস্তাব উঠে এসেছে সেটি একদিক থেকে ঠিক । কিন্তু অন্যান্য দেশে এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন ছাড়া দেওয়া হয় । রাজ্যে দিনের কোনও একটি সময় ভাড়ায় ছাড় বা 'happy hour'-এর কথা বলা হয়নি । অন্যদিকে আগামী ছয় থেকে আট মাস যদি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার জ্বালানির উপর সেস মকুব করে তাহলেও জ্বালানি খরচ কমবে অনেকটা । এর সরাসরি প্রভাব পড়বে ভাড়ার উপর । এর ফলে ভাড়া অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হতে পারে ।

জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় একই কথা শোনা গেল । তিনি বলেন, "আমাদের সংগঠনের তরফে ভাড়া ঠিক করা হয়েছে । প্রস্তাবিত ভাড়া ঘোষণা করার পরে আমি নিজেই আতঙ্কিত । কারণ এই ভাড়ায় যাত্রী না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি । এর পিছনে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে । ইতিমধ্যে আমাদের সংগঠনের তরফে 11টি চিঠি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে পাঠানো হয়েছে । একটি চিঠিরও উত্তর মেলেনি । প্রত্যেকদিন নতুন প্রকল্প ও রিলিফ প্যাকেজ ঘোষণা করা হচ্ছে । গণপরিবহনের জন্য কোনও ঘোষণা নেই । দীর্ঘ সময় ধরে জ্বালানিকে GST-র আওতায় আনার কথা বলা হচ্ছে । সেদিকেও কোনওরকম কর্ণপাত করেনি সরকার । বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ায় যদি সেস মকুব করত তাহলে জ্বালানি খরচ অনেক কম হত । এর ফলে ভাড়ায় নিয়ন্ত্রণ রাখা যেত । প্রায় দু'মাস হতে চলল পরিবহনের সঙ্গে জড়িত কর্মীদের কোনও রোজগার নেই । যখন বাস পথে নামাবার একটা সুযোগ পাওয়া গেছে তখন সেই সুযোগটাকে হারালে লাখ লাখ পরিবহন কর্মীর প্রতি অবিচার করা হবে । তাই সেক্ষেত্রে ভাড়া বাড়াতেই হয়েছে ।"

পাশাপাশি আরও এক গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ও গবেষক ডক্টর দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, "কোরোনা মোকাবিলায় সমাজিক দূরত্ব একমাত্র পথ । তাই বাসে 60জনের জায়গায় যে 20 জন যাত্রী তোলার কথা বলা হয়েছে তা খুব একটা বাস্তব সম্মত বলে আমার মনে হয় না । এর ফলে অশান্তির সৃষ্টি হতে পারে । কারণ একজন যাত্রী যিনি সকাল 10টা থেকে বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি যদি একের পর এক বাস ছাড়তে থাকেন, তাহলে অবশেষে একসময় তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়বেন । অন্যদিকে যাঁরা বাসে চেপেছেন তাঁরা মনে করতেই পারেন, যেহেতু তাঁরা তিনগুণ ভাড়া দিয়েছেন সেহেতু বাসে আর কোনও বাড়তি যাত্রী উঠতে পারবেন না । এর ফলে তাঁদের ক্ষোভ গিয়ে পড়বে বাসচালক ও কন্ডাক্টরের উপর ।" তিনি আরও বলেন, "গত সপ্তাহে গ্রিন জ়োন জেলাগুলিতে পরীক্ষামূলকভাবে বাস চালালেও যাত্রীj অভাবে ও লোকসানের জেরে পরিষেবা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন মালিকপক্ষ ।"

অন্যদিকে অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, "ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বাস সংগঠন তাদের প্রস্তাবিত ভাড়া পরিবহন দপ্তরের কাছে পাঠিয়েছে । তাই আমরা কোনওরকম তাড়াহুড়োর মধ্যে না গিয়ে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করে এমন একটি ভাড়া ঠিক করব যেখানে বাস মালিকদের সুরাহা হতে পারে । পাশাপাশি যাত্রীদের উপরেও কোনওরকম বাড়তি চাপ যাতে না আসে সেই চেষ্টা করব ।" 2014 সালের পর 2018 সালে 8 জুন শহরে 1 টাকা ও রাজ্যে প্রতি কিলোমিটারে 10 পয়সা করে ভাড়া বৃদ্ধির নোটিফিকেশন জারি হয় । নতুন ভাড়া কার্যকর হয় 11 জুন থেকে । এরপর এবার একধাক্কায় তিনগুণ ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ।

কলকাতা, 16 মে: আগামী সপ্তাহ থেকে চালু হতে পারে বেসরকারি বাস, ট্যাক্সি ও অটো পরিষেবা । ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বেসরকারি বাস সংগঠন তড়িঘড়ি প্রকাশ করেছে প্রস্তাবিত ভাড়ার তালিকা । তবে গণপরিবহন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তিনগুণ বাস ভাড়া বৃদ্ধি রাজ্য পরিবহন ক্ষেত্রে পরিকল্পনার অভাবের পরিচয় বহন করে ।

পরিবহন বিশেষজ্ঞ ডক্টর পার্থপ্রতিম বিশ্বাস বলেন, "কলকাতা এবং শহরতলির গণপরিবহনের শিরদাঁড়াই হল বেসরকারি বাস পরিষেবা । কারণ পরিবহন ক্ষেত্রে প্রায় 10 থেকে 12% সরকারি বাস এবং বাকি 90% বেসরকারি বাস রয়েছে । তাই রাজ্যে গণপরিবহন বলতে আমরা বেসরকারি পরিবহনই বুঝি । ভাড়া ঠিক করার মতো এত বড় একটা সিদ্ধান্ত বাস মালিকদের উপর ছেড়ে দেওয়াটা যুক্তিসঙ্গত বলে আমি মনে করি না । কারণ গণপরিবহনের সঙ্গে যেমন জড়িয়ে রয়েছে লাখ লাখ মানুষের জীবিকা, তেমনই জড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য যাত্রীর প্রতিদিনের জীবনযাত্রা । লকডাউনের জেরে বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন । পাশাপাশি বহু মানুষের বেতন অনেকটাই কমেছে । তাই এক লাফে অনেকটা ভাড়া বৃদ্ধি হলে বিশাল সংখ্যক যাত্রী গণপরিবহন থেকে সরে যেতে বাধ্য হবেন । নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত মানুষরাই বাসে বেশি যাতায়াত করেন ।"

তিনি বলেন, "এখানে আরও একটি বিষয় লক্ষণীয় । তা হল বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ন্ত্রণ । তা ভাড়ার ক্ষেত্রেই হোক বা ভর্তুকির ক্ষেত্রেই হোক । অর্থাৎ বাস মালিকরা যেমন বাসের ভাড়া ঠিক করবেন তেমনই আবার যাত্রীরা ঠিক করবেন যে তাঁরা বাসে উঠবেন কি না ।" পার্থপ্রতিমবাবু বলেন, "বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাব দেখা যাচ্ছে । তাই এই ক্ষেত্রে রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে বোঝাপড়ার মাধ্যমে গণপরিবহনের ক্ষেত্রে একটি প্রকল্প ঘোষণা করা উচিত ছিল । তাহলে যেমন বাস মালিকরাও স্বস্তি পেতেন, তেমন যাত্রীদের উপরেও বাড়তি ভাড়ার চাপ পড়ত না ।" সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এর ফলে ভাড়া বাড়িয়ে ভিড় কমানোর যে প্রস্তাব উঠে এসেছে সেটি একদিক থেকে ঠিক । কিন্তু অন্যান্য দেশে এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন ছাড়া দেওয়া হয় । রাজ্যে দিনের কোনও একটি সময় ভাড়ায় ছাড় বা 'happy hour'-এর কথা বলা হয়নি । অন্যদিকে আগামী ছয় থেকে আট মাস যদি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার জ্বালানির উপর সেস মকুব করে তাহলেও জ্বালানি খরচ কমবে অনেকটা । এর সরাসরি প্রভাব পড়বে ভাড়ার উপর । এর ফলে ভাড়া অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হতে পারে ।

জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় একই কথা শোনা গেল । তিনি বলেন, "আমাদের সংগঠনের তরফে ভাড়া ঠিক করা হয়েছে । প্রস্তাবিত ভাড়া ঘোষণা করার পরে আমি নিজেই আতঙ্কিত । কারণ এই ভাড়ায় যাত্রী না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি । এর পিছনে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে । ইতিমধ্যে আমাদের সংগঠনের তরফে 11টি চিঠি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে পাঠানো হয়েছে । একটি চিঠিরও উত্তর মেলেনি । প্রত্যেকদিন নতুন প্রকল্প ও রিলিফ প্যাকেজ ঘোষণা করা হচ্ছে । গণপরিবহনের জন্য কোনও ঘোষণা নেই । দীর্ঘ সময় ধরে জ্বালানিকে GST-র আওতায় আনার কথা বলা হচ্ছে । সেদিকেও কোনওরকম কর্ণপাত করেনি সরকার । বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ায় যদি সেস মকুব করত তাহলে জ্বালানি খরচ অনেক কম হত । এর ফলে ভাড়ায় নিয়ন্ত্রণ রাখা যেত । প্রায় দু'মাস হতে চলল পরিবহনের সঙ্গে জড়িত কর্মীদের কোনও রোজগার নেই । যখন বাস পথে নামাবার একটা সুযোগ পাওয়া গেছে তখন সেই সুযোগটাকে হারালে লাখ লাখ পরিবহন কর্মীর প্রতি অবিচার করা হবে । তাই সেক্ষেত্রে ভাড়া বাড়াতেই হয়েছে ।"

পাশাপাশি আরও এক গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ও গবেষক ডক্টর দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, "কোরোনা মোকাবিলায় সমাজিক দূরত্ব একমাত্র পথ । তাই বাসে 60জনের জায়গায় যে 20 জন যাত্রী তোলার কথা বলা হয়েছে তা খুব একটা বাস্তব সম্মত বলে আমার মনে হয় না । এর ফলে অশান্তির সৃষ্টি হতে পারে । কারণ একজন যাত্রী যিনি সকাল 10টা থেকে বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি যদি একের পর এক বাস ছাড়তে থাকেন, তাহলে অবশেষে একসময় তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়বেন । অন্যদিকে যাঁরা বাসে চেপেছেন তাঁরা মনে করতেই পারেন, যেহেতু তাঁরা তিনগুণ ভাড়া দিয়েছেন সেহেতু বাসে আর কোনও বাড়তি যাত্রী উঠতে পারবেন না । এর ফলে তাঁদের ক্ষোভ গিয়ে পড়বে বাসচালক ও কন্ডাক্টরের উপর ।" তিনি আরও বলেন, "গত সপ্তাহে গ্রিন জ়োন জেলাগুলিতে পরীক্ষামূলকভাবে বাস চালালেও যাত্রীj অভাবে ও লোকসানের জেরে পরিষেবা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন মালিকপক্ষ ।"

অন্যদিকে অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, "ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বাস সংগঠন তাদের প্রস্তাবিত ভাড়া পরিবহন দপ্তরের কাছে পাঠিয়েছে । তাই আমরা কোনওরকম তাড়াহুড়োর মধ্যে না গিয়ে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করে এমন একটি ভাড়া ঠিক করব যেখানে বাস মালিকদের সুরাহা হতে পারে । পাশাপাশি যাত্রীদের উপরেও কোনওরকম বাড়তি চাপ যাতে না আসে সেই চেষ্টা করব ।" 2014 সালের পর 2018 সালে 8 জুন শহরে 1 টাকা ও রাজ্যে প্রতি কিলোমিটারে 10 পয়সা করে ভাড়া বৃদ্ধির নোটিফিকেশন জারি হয় । নতুন ভাড়া কার্যকর হয় 11 জুন থেকে । এরপর এবার একধাক্কায় তিনগুণ ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.