ETV Bharat / state

ভারতীয় ক্রিকেটের রাশ উঠতে চলেছে মহারাজের হাতেই - বিসিসিআই সভাপতি

রবিবার সন্ধ্যায় অনেক নাটকের পরে BCCI-র মসনদে বসতে চলেছেন সৌরভ গাঙ্গুলি । শোনা যাচ্ছিল রাজনৈতিক চাপের কাছে সৌরভ নতিস্বীকার না করায় ব্রিজেশ প্যাটেল দায়িত্ব পেতে চলেছেন । কিন্তু সদস্যদের বিপুল সমর্থন ঝুঁকে ছিল মহারাজের দিকেই ৷ ফলে BCCI-র মসনদে বসতে চলেছেন সৌরভই ৷

সৌরভ
author img

By

Published : Oct 14, 2019, 11:59 AM IST

কলকাতা, 14 অক্টোবর : CAB-র অন্দরমহলে একটা ছবি টাঙানো রয়েছে । যেখানে দেখা যাচ্ছে জগমোহন ডালমিয়া মুকুট পরিয়ে দিচ্ছেন সৌরভ গাঙ্গুলিকে । ছবি অনেক সময় অনেক না বলা কথা বলে দেয় । এ যেন উত্তর পুরুষের হাতে সেদিন রাজ্যপাট তুলে দিয়েছিলেন প্রয়াত জগমোহন ডালমিয়া ।

2015 সালে সৌরভ গাঙ্গুলি যখন CAB-র যুগ্মসচিবের চেয়ারে বসেন তখন ডালমিয়া অসুস্থতার ভারে প্রায় ন্যুব্জ । এরপর ধীরে ধীরে CAB-র প্রশাসনিক কাজে মনোনিবেশ করেছেন সৌরভ । একটা সময় জগমোহন ডালমিয়াও বঙ্গ ক্রিকেটের যাবতীয় সিদ্ধান্তের ভার কার্যত সৌরভের উপরই ছেড়ে দিয়েছিলেন । এসময় তাঁকে আবার বোর্ডের প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসতে হয়েছিল । ফলে BCCI ও CAB-র কাজের চাপ সামলানো জগমোহন ডালমিয়ার পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল ।

যৌথ দায়িত্ব পালন করতে করতেই প্রয়াত হন জগমোহন ডালমিয়া । বঙ্গ ক্রিকেটের মসনদে কে বসবে তা নিয়ে CAB-র অন্দরের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে । প্রশাসক হিসেবে সৌরভ গাঙ্গুলির আত্মপ্রকাশের আগে যেসমস্ত কর্তারা বঙ্গ ক্রিকেট প্রশাসনে আরও জাঁকিয়ে বসার স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাঁরাই সেদিন দাঁত নখ বের করে সামনে চলে আসেন । অবস্থা সামাল দিতে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে । অশৌচ গায়ে দাঁড়িয়ে থাকা জগমোহন ডালমিয়া পুত্র অভিষেক, বিশ্বরূপ দে ও সৌরভ গাঙ্গুলিকে পাশে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিন ঘোষণা করেছিলেন CAB প্রেসিডেন্ট সৌরভই ।

সৌরভ যখন বাংলার ক্রিকেটের শীর্ষ কর্তা হলেন ততদিনে ক্রিকেট প্রশাসনে ক্রিকেটারদের সফল হওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়ে গেছে । কারণ কর্নাটক ক্রিকেট প্রশাসনে অনিল কুম্বলে ও জাভাগল শ্রীনাথ ব্যর্থ হয়েছেন । প্রাক্তন সতীর্থদের ব্যর্থতা থেকেই বোধহয় শিক্ষা নিয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি । ধীরে কিন্তু দৃঢ়ভাবে বঙ্গ ক্রিকেটের রাজ্যপাটে নিজের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করেছেন । পেশাদার মানসিকতা, ক্রিকেটীয় প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা এবং সবাইকে নিয়ে চলার ক্ষমতা সৌরভকে পুরোদস্তুর ক্রিকেট প্রশাসকে পরিণত করেছে । তবে প্রশাসক সৌরভ গাঙ্গুলি যে ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলিকে ঢাকতে পারেননি তা বারে বারে প্রমাণিত হয়েছে ৷ IPL-এ দিল্লি ক্যাপিটালসের পরামর্শদাতা হয়ে যথেষ্ঠ সফলতার সাথে কাজ করেছিলেন ৷ সৌরভ নিজেও বলেন মাঠেই তিনি বেশি স্বচ্ছন্দ ।

লোধা কমিশনের সুপারিশ মতো নির্দিষ্ট সময়সীমা পার করার পরে সব প্রশাসককে কুলিং অফ পিরিয়ডে যেতে হবে । সেদিক থেকে সৌরভের হাতে রয়েছে মাত্র দশমাস । রবিবার সন্ধ্যায় অনেক নাটকের পরে BCCI-র মসনদে বসতে চলেছেন সৌরভ গাঙ্গুলি । শোনা যাচ্ছিল রাজনৈতিক চাপের কাছে সৌরভ নতিস্বীকার না করায় ব্রিজেশ প্যাটেল দায়িত্ব পেতে চলেছেন । কিন্তু সদস্যদের বিপুল সমর্থন ঝুঁকে ছিল মহারাজের দিকেই ৷ ফলে BCCI-র মসনদে বসতে চলেছেন সৌরভই ৷ এদিকে যুগ্ম সচিব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র জয় শাহ । আপাতত ঠিক হয়েছে জয় শাহ দেখবেন প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড । সৌরভ দেখবেন ক্রিকেটীয় দিক । পরিকাঠামো উন্নয়ন ও ভারতীয় দলের পারফরমেন্স রিপোর্ট যে এবার এবং প্রথমবার ক্রিকেটীয় বিশ্লেষণ দ্বারা বিচার্য হবে তা বলাই বাহুল্য ।

এদিকে বঙ্গ ক্রিকেটে জমে উঠেছে আর এক নাটক ৷ BCCI-তে সৌরভ । CAB তে কে? এই প্রশ্নটা দশমাস পরে উঠত । কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছে ৷ শোনা যাচ্ছে স্নেহাশিস গাঙ্গুলি ও বাবলু কোলের মধ্যে যেকোনও একজন CAB সভাপতি হতে পারেন । প্রাক্তন সচিব বাবলু কোলের আরও একবছর মেয়াদ রয়েছে । তিনি প্রাথমিক ভাবে অনিচ্ছা প্রকাশ করলেও এখন রাজি । এদিকে স্নেহাশিস গাঙ্গুলি অ্যাপেক্স কমিটিতে রয়েছেন । সভাপতি হিসেবে সকলের পছন্দ তিনি । তাই স্নেহাশিস গাঙ্গুলি সভাপতি হলে অবাক হওয়ার মতো কিছু হবে না । তবে পরিবারতন্ত্রের কাঁটা রয়েছে ৷ কারণ বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ, CAB কোষাধ্যক্ষ দেবাশিস গাঙ্গুলি, এরসঙ্গে স্নেহাশিস CAB সভাপতি হলে ময়দানে পরিবারতন্ত্র কানাঘুষো চলবেই । তবে সৌরভের BCCI-র মসনদে বসার দিনে অবশ্য অপ্রিয় প্রশ্নে মুখ বন্ধ ময়দানের ৷

কলকাতা, 14 অক্টোবর : CAB-র অন্দরমহলে একটা ছবি টাঙানো রয়েছে । যেখানে দেখা যাচ্ছে জগমোহন ডালমিয়া মুকুট পরিয়ে দিচ্ছেন সৌরভ গাঙ্গুলিকে । ছবি অনেক সময় অনেক না বলা কথা বলে দেয় । এ যেন উত্তর পুরুষের হাতে সেদিন রাজ্যপাট তুলে দিয়েছিলেন প্রয়াত জগমোহন ডালমিয়া ।

2015 সালে সৌরভ গাঙ্গুলি যখন CAB-র যুগ্মসচিবের চেয়ারে বসেন তখন ডালমিয়া অসুস্থতার ভারে প্রায় ন্যুব্জ । এরপর ধীরে ধীরে CAB-র প্রশাসনিক কাজে মনোনিবেশ করেছেন সৌরভ । একটা সময় জগমোহন ডালমিয়াও বঙ্গ ক্রিকেটের যাবতীয় সিদ্ধান্তের ভার কার্যত সৌরভের উপরই ছেড়ে দিয়েছিলেন । এসময় তাঁকে আবার বোর্ডের প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসতে হয়েছিল । ফলে BCCI ও CAB-র কাজের চাপ সামলানো জগমোহন ডালমিয়ার পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল ।

যৌথ দায়িত্ব পালন করতে করতেই প্রয়াত হন জগমোহন ডালমিয়া । বঙ্গ ক্রিকেটের মসনদে কে বসবে তা নিয়ে CAB-র অন্দরের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে । প্রশাসক হিসেবে সৌরভ গাঙ্গুলির আত্মপ্রকাশের আগে যেসমস্ত কর্তারা বঙ্গ ক্রিকেট প্রশাসনে আরও জাঁকিয়ে বসার স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাঁরাই সেদিন দাঁত নখ বের করে সামনে চলে আসেন । অবস্থা সামাল দিতে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে । অশৌচ গায়ে দাঁড়িয়ে থাকা জগমোহন ডালমিয়া পুত্র অভিষেক, বিশ্বরূপ দে ও সৌরভ গাঙ্গুলিকে পাশে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিন ঘোষণা করেছিলেন CAB প্রেসিডেন্ট সৌরভই ।

সৌরভ যখন বাংলার ক্রিকেটের শীর্ষ কর্তা হলেন ততদিনে ক্রিকেট প্রশাসনে ক্রিকেটারদের সফল হওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়ে গেছে । কারণ কর্নাটক ক্রিকেট প্রশাসনে অনিল কুম্বলে ও জাভাগল শ্রীনাথ ব্যর্থ হয়েছেন । প্রাক্তন সতীর্থদের ব্যর্থতা থেকেই বোধহয় শিক্ষা নিয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি । ধীরে কিন্তু দৃঢ়ভাবে বঙ্গ ক্রিকেটের রাজ্যপাটে নিজের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করেছেন । পেশাদার মানসিকতা, ক্রিকেটীয় প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা এবং সবাইকে নিয়ে চলার ক্ষমতা সৌরভকে পুরোদস্তুর ক্রিকেট প্রশাসকে পরিণত করেছে । তবে প্রশাসক সৌরভ গাঙ্গুলি যে ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলিকে ঢাকতে পারেননি তা বারে বারে প্রমাণিত হয়েছে ৷ IPL-এ দিল্লি ক্যাপিটালসের পরামর্শদাতা হয়ে যথেষ্ঠ সফলতার সাথে কাজ করেছিলেন ৷ সৌরভ নিজেও বলেন মাঠেই তিনি বেশি স্বচ্ছন্দ ।

লোধা কমিশনের সুপারিশ মতো নির্দিষ্ট সময়সীমা পার করার পরে সব প্রশাসককে কুলিং অফ পিরিয়ডে যেতে হবে । সেদিক থেকে সৌরভের হাতে রয়েছে মাত্র দশমাস । রবিবার সন্ধ্যায় অনেক নাটকের পরে BCCI-র মসনদে বসতে চলেছেন সৌরভ গাঙ্গুলি । শোনা যাচ্ছিল রাজনৈতিক চাপের কাছে সৌরভ নতিস্বীকার না করায় ব্রিজেশ প্যাটেল দায়িত্ব পেতে চলেছেন । কিন্তু সদস্যদের বিপুল সমর্থন ঝুঁকে ছিল মহারাজের দিকেই ৷ ফলে BCCI-র মসনদে বসতে চলেছেন সৌরভই ৷ এদিকে যুগ্ম সচিব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র জয় শাহ । আপাতত ঠিক হয়েছে জয় শাহ দেখবেন প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড । সৌরভ দেখবেন ক্রিকেটীয় দিক । পরিকাঠামো উন্নয়ন ও ভারতীয় দলের পারফরমেন্স রিপোর্ট যে এবার এবং প্রথমবার ক্রিকেটীয় বিশ্লেষণ দ্বারা বিচার্য হবে তা বলাই বাহুল্য ।

এদিকে বঙ্গ ক্রিকেটে জমে উঠেছে আর এক নাটক ৷ BCCI-তে সৌরভ । CAB তে কে? এই প্রশ্নটা দশমাস পরে উঠত । কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছে ৷ শোনা যাচ্ছে স্নেহাশিস গাঙ্গুলি ও বাবলু কোলের মধ্যে যেকোনও একজন CAB সভাপতি হতে পারেন । প্রাক্তন সচিব বাবলু কোলের আরও একবছর মেয়াদ রয়েছে । তিনি প্রাথমিক ভাবে অনিচ্ছা প্রকাশ করলেও এখন রাজি । এদিকে স্নেহাশিস গাঙ্গুলি অ্যাপেক্স কমিটিতে রয়েছেন । সভাপতি হিসেবে সকলের পছন্দ তিনি । তাই স্নেহাশিস গাঙ্গুলি সভাপতি হলে অবাক হওয়ার মতো কিছু হবে না । তবে পরিবারতন্ত্রের কাঁটা রয়েছে ৷ কারণ বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ, CAB কোষাধ্যক্ষ দেবাশিস গাঙ্গুলি, এরসঙ্গে স্নেহাশিস CAB সভাপতি হলে ময়দানে পরিবারতন্ত্র কানাঘুষো চলবেই । তবে সৌরভের BCCI-র মসনদে বসার দিনে অবশ্য অপ্রিয় প্রশ্নে মুখ বন্ধ ময়দানের ৷

Intro:সিএবির অন্দর মহলে একটা ছবি টাঙানো রয়েছে।যেখানে দেখা যাচ্ছে প্রয়াত জগমোহন ডালমিয়া মুকুট পড়িয়ে দিচ্ছেন সৌরভ গাঙ্গুলী কে। ছবি অনেক সময় অনেক না বলা কথা বলে দেয়। এযেন উত্তর পুরুষের হাতে সেদিন রাজ্যপাট তুলে দিয়েছিলেন প্রয়াত জগমোহন ডালমিয়া।
2015সালে সৌরভ গাঙ্গুলী যখন সিএবির যুগ্মসচিবের চেয়ারে বসলেন তখন ডালমিয়া প্রায় অস্তমিত। অসুস্থতা তাকে ক্রমেই শেষের পাতা লিখতে শুরু করিয়ে দিয়েছে। এরপর ধীরে ধীরে সিএবির প্রশাসনিক কাজে মনোনিবেশ করেছেন।এবং তার প্যাচপয়জার শিখতে শুরু করেছিলেন।একটা সময় জগমোহন ডালমিয়াও বঙ্গ ক্রিকেটের যাবতীয় সিদ্ধান্তের ভার কার্যত সৌরভের ওপরই ছেড়ে দিয়েছিলেন। এসময় তাকে আবার বোর্ডের প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসতে হয়েছিল। ফলে বিসিসিআই ও সিএবির কাজের চাপ সামলানো জগমোহন ডালমিয়ার পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। এভাবেই যৌথ দায়িত্ব পালন করতে করতেই প্রয়াত হলেন জগমোহন ডালমিয়া। বঙ্গ ক্রিকেটের মসনদে কে এই নিয়ে বিতর্ক প
রকাশ্যে চলে আসে। প্রশাসক সৌরভ গাঙ্গুলির এন্ট্রি র আগে যেসমস্ত কর্তারা বঙ্গ ক্রিকেট প্রশাসনে আরও জাকিয়ে বসার স্বপ্ন দেখেছিলেন তারাই সেদিন দাত নখ বের করে সামনে চলে আসেন। অবস্থা সামাল দিতে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। অশৌচ গায়ে দাঁড়িয়ে থাকা প্রয়াত জগমোহন ডালমিয়া পুত্র অভিষেক, বিশ্বরূপ দে ও সৌরভ গাঙ্গুলী কে পাশে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিন ঘোষণা করেছিলেন সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভই।
ততদিনে ক্রিকেট প্রশাসনে ক্রিকেটারদের সফল হওয়া নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়ে গিয়েছে। কারন কর্নাটক ক্রিকেট প্রশাসন অনিল কুম্বলে ও জাভাগাল শ্রীনাথ চালাতে ব্যর্থ। প্রাক্তন সতীর্থদের ব্যর্থতা থেকেই বোধহয় শিক্ষা নিয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি।ধীরে ধীরে কিন্তু দৃঢ়ভাবে বঙ্গ ক্রিকেটের রাজ্যপাটে নিজের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করেছেন। পেশাদার মানসিকতা ক্রিকেটীয় প্রঞ্জা ও দূরদর্শিতা এবং সবাই কে নিয়ে চলার ক্ষমতা সৌরভ এখন পুরদস্তুর ক্রিকেট প্রশাসক। তবে ক্রিকেটার সৌরভ যে আজও লুকিয়ে আছে তা আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালস এর পরামর্শদাতা হওয়ার মধ্যে প্রমানিত। সৌরভ নিজেও বলেন মাঠেই তিনি সচ্ছন্দ।
লোধা কমিশনের সুপারিশ মতো নির্দিষ্ট সময়সীমা পার করার পরে সব প্রশাসককে কুলিং অফে যেতে হবে। সেদিক থেকে হাতে রয়েছে মাত্র দশমাস। রবিবার সন্ধ্যায় অনেক নাটকের পরে মসনদে সৌরভ। বলা হচ্ছিল রাজনৈতিক চাপের কাছে সৌরভ নতিস্বীকার না করায় ব্রিজেশ প্যাটেল দায়িত্ব পেতে চলেছেন। কিন্তু সদস্য দের বিপুল সমর্থনে সৌরভই মসনদে। যুগ্ম সচিব অমিত শাহ পুত্র জয় শাহ। আপাতত ভাবে ঠিক আছে জয় শাহ দেখবেন প্রশাসনিক কর্মকান্ড। সৌরভ দেখবেন ক্রিকেটীয় দিক। পরিকাঠামো উন্নয়ন ও ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স রিপোর্ট যে এবার এবং প্রথমবার ক্রিকেটীয় বিশ্লেষণ দ্বারা বিচার্য হবে তা বলাই বাহুল্য।
বিসিসিআই তে সৌরভ। সিএবিতে কে? এই প্রশ্নটা দশমাস পরে উঠত। কিন্তু পরিস্থিতি পরিবর্তিত। বলা হচ্ছে স্নেহাশিস গাঙ্গুলি ও বাবলু কোলের মধ্যে যেকোনও একজন। প্রাক্তন সচিব বাবলু কোলের আরও একবছর মেয়াদ রয়েছে। তিনি প্রাথমিক ভাবে অনিচ্ছা প্রকাশ করলেও এখন রাজি। স্নেহাশিস গাঙ্গুলি আপেক্স কমিটিতে রয়েছেন। সকলের পছন্দ। তিনি হলে অবাক হওয়ার মত কিছু হবেনা। তবে পরিবার তন্ত্রের কাটা খচখচ করবে। কারন বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ, সিএবি কোষাধ্যক্ষ দেবাশীষ গাঙ্গুলি, এরসঙ্গে স্নেহাশিস সিএবি সভাপতি হলে ময়দানে কানাঘুষো চলবে।তবে সৌরভের মসনদে বসার দিনে অপ্রিয় প্রশ্ন নৈব নৈব চ।


Body:সৌরভ


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.