ETV Bharat / state

হোয়াটসঅ্যাপে পিং করলেই মদের হোম ডেলিভারি , গ্রেপ্তার চক্রের পান্ডা

লকডাউনে বন্ধ রয়েছে মদের দোকান । তাই শুরু হয়েছে বেআইনি মদের কারবার । প্রশাসনের নজর এড়িয়ে তেমনই এক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ কলকাতার হাজরা এলাকায় ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : Apr 8, 2020, 11:06 AM IST

কলকাতা, 8 এপ্রিল: লকডাউনে বন্ধ রয়েছে দোকান । যার কারণে মিলছে না মদ । আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কয়েকজন মদের বেআইনি বিক্রি শুরু করেছে। 5 থেকে 10 গুণ দামে বিক্রি হচ্ছে সেই মদ । প্রশাসনের নজর এড়িয়ে তেমনই এক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ কলকাতার হাজরা এলাকায় । শুরু করেছিল মদের হোম ডেলিভারি । রীতিমতো হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে চালানো হচ্ছিল চক্র । কিন্তু পুলিশ এবং আবগারি দপ্তরের সক্রিয়তায় ধরা পড়ে গেল চক্রের পান্ডা । উদ্ধার হয়েছে প্রায় 15 লাখ টাকার বেআইনি মদ ।

বাইরে থেকে দেখলে একটি বিউটি পার্লার । অন্যান্য সময় পার্লার হিসেবেই কাজ করে সেটি । কিন্তু লকডাউনের কারণে বন্ধ রয়েছে সেই বিউটি পার্লারটি । তার মালিক অনিল জয়সওযাল দীর্ঘদিন ধরেই বেআইনি মদের কারবার চালাত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ । দামি বিদেশি মদ হোম ডেলিভারি করত সে । এয়ারপোর্ট থেকে বিভিন্নভাবে ডিউটি ফ্রি বিদেশি মদ বাইরে বের করে এনেই চলছিল তার বিক্রি । তবে অন্য সময় সেটি ছিল ছোটো আকারে । লকডাউনের সুযোগে তার বিস্তৃতি বেড়ে যায় বহুগুণ । জয়সওয়াল বুঝে যায় এই সময় চাহিদা তুঙ্গে উঠবে । তাই লকডাউনের আগেই প্রচুর টাকার মদ কিনে ফেলে সে । সেগুলি রাখা হয়েছিল হাজরার ওই বিউটি পার্লারে । তারপর হোয়াটসঅ্যাপে অর্ডার এলে রীতিমতো হোম ডেলিভারি করে দেওয়া হত । দাম নেওয়া হত কখনও পাঁচগুণ, কখনও তারও বেশি ।

আবগারি দপ্তর তার বিষয়ে খোঁজ পায় । দপ্তরের কর্তারা ক্রেতা সেজে হোয়াটসঅ্যাপ করেন অনিলকে । সে নিজেই ডেলিভারি দিতে এসে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় । সেখান থেকেই জানা যায়, ওই বিউটি পার্লারে রাখা আছে মদ । সেখানে গিয়ে রীতিমতো অবাক হয়ে যান আবগারি দপ্তরের কর্তা এবং পুলিশকর্মীরা । থরে থরে সাজানো আছে নানা ব্র‍্যান্ডের মদ । দোকানটিকে বিউটি পার্লার না বলে মদের গোডাউন বলাই শ্রেয় এখন । উদ্ধার হয় 15 লাখ টাকার বিদেশি মদ । তারপরেই গ্রেপ্তার করা হয় অনিল জয়সওয়ালকে । আবগারি দপ্তরের সন্দেহ, এই চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে আরও অনেকে । অন্ততপক্ষে আছে কয়েকজন ডেলিভারি বয় । তাদের খোঁজ চলছে ।

কলকাতা, 8 এপ্রিল: লকডাউনে বন্ধ রয়েছে দোকান । যার কারণে মিলছে না মদ । আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কয়েকজন মদের বেআইনি বিক্রি শুরু করেছে। 5 থেকে 10 গুণ দামে বিক্রি হচ্ছে সেই মদ । প্রশাসনের নজর এড়িয়ে তেমনই এক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ কলকাতার হাজরা এলাকায় । শুরু করেছিল মদের হোম ডেলিভারি । রীতিমতো হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে চালানো হচ্ছিল চক্র । কিন্তু পুলিশ এবং আবগারি দপ্তরের সক্রিয়তায় ধরা পড়ে গেল চক্রের পান্ডা । উদ্ধার হয়েছে প্রায় 15 লাখ টাকার বেআইনি মদ ।

বাইরে থেকে দেখলে একটি বিউটি পার্লার । অন্যান্য সময় পার্লার হিসেবেই কাজ করে সেটি । কিন্তু লকডাউনের কারণে বন্ধ রয়েছে সেই বিউটি পার্লারটি । তার মালিক অনিল জয়সওযাল দীর্ঘদিন ধরেই বেআইনি মদের কারবার চালাত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ । দামি বিদেশি মদ হোম ডেলিভারি করত সে । এয়ারপোর্ট থেকে বিভিন্নভাবে ডিউটি ফ্রি বিদেশি মদ বাইরে বের করে এনেই চলছিল তার বিক্রি । তবে অন্য সময় সেটি ছিল ছোটো আকারে । লকডাউনের সুযোগে তার বিস্তৃতি বেড়ে যায় বহুগুণ । জয়সওয়াল বুঝে যায় এই সময় চাহিদা তুঙ্গে উঠবে । তাই লকডাউনের আগেই প্রচুর টাকার মদ কিনে ফেলে সে । সেগুলি রাখা হয়েছিল হাজরার ওই বিউটি পার্লারে । তারপর হোয়াটসঅ্যাপে অর্ডার এলে রীতিমতো হোম ডেলিভারি করে দেওয়া হত । দাম নেওয়া হত কখনও পাঁচগুণ, কখনও তারও বেশি ।

আবগারি দপ্তর তার বিষয়ে খোঁজ পায় । দপ্তরের কর্তারা ক্রেতা সেজে হোয়াটসঅ্যাপ করেন অনিলকে । সে নিজেই ডেলিভারি দিতে এসে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় । সেখান থেকেই জানা যায়, ওই বিউটি পার্লারে রাখা আছে মদ । সেখানে গিয়ে রীতিমতো অবাক হয়ে যান আবগারি দপ্তরের কর্তা এবং পুলিশকর্মীরা । থরে থরে সাজানো আছে নানা ব্র‍্যান্ডের মদ । দোকানটিকে বিউটি পার্লার না বলে মদের গোডাউন বলাই শ্রেয় এখন । উদ্ধার হয় 15 লাখ টাকার বিদেশি মদ । তারপরেই গ্রেপ্তার করা হয় অনিল জয়সওয়ালকে । আবগারি দপ্তরের সন্দেহ, এই চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে আরও অনেকে । অন্ততপক্ষে আছে কয়েকজন ডেলিভারি বয় । তাদের খোঁজ চলছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.