কলকাতা, 31 অগাস্ট : মার্চ মাসে এসেছিল শিক্ষা দপ্তরের তরফে বদলির নির্দেশ । কিন্তু সেই নির্দেশ মেনে নতুন স্কুলে যোগ দেননি বর্ধমান জেলার প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক গৌতম বড়ুয়া । অন্যায়ভাবে বদলির প্রতিবাদ করায় এতদিন ছিল না তাঁর কোনও চাকরি । পাচ্ছিলেন না মাইনেও । অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশ, আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যেই গৌতমবাবু যাতে স্কুলে যোগ দিতে পারেন তার আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে ।
প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদ চলতি বছরের 7 মার্চ গৌতম বড়ুয়াকে শ্যামদিঘি ফ্রি প্রাইমারি স্কুল থেকে পুরুলিয়ার তলাজুড়ি প্রাইমারি স্কুলে বদলি করে দেয় । 8 মার্চ তাঁকে রিলিজ় অর্ডার দেওয়া হয় । কিন্ত অন্যায়ভাবে বদলি করা হচ্ছে, এই দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি । বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় 17 জুন মামলাটি খারিজ করে দেন এবং ফের আবেদনের নির্দেশ দেন ।
এরপর এই বদলির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন গৌতম বড়ুয়াসহ আরও 14 জন শিক্ষক । বিকাশ ভবনের সামনে অনশনে বসেন তাঁরা । এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্কুল শিক্ষা দপ্তর 26 জুলাই আরও একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে । তাতে জানানো হয়, গৌতমবাবুকে পুরুলিয়া নয়, বর্ধমানেরই অন্য একটি স্কুলে বদলি করা হল । এপর্যন্ত সব ঠিকঠাক থাকলেও কেন গৌতম বড়ুয়া নতুন স্কুলে যোগ দিতে পারছেন না?
গৌতম বড়ুয়ার আইনজীবী বিবেকানন্দ বাউরি জানান, 7 মার্চ পুরুলিয়ার যে স্কুলে তাঁকে বদলি করা হয়, সেই স্কুলে তিনি যোগ দেননি । কিন্তু বর্ধমান জেলা প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদ যেহেতু 8 মার্চ রিলিজ় অর্ডার দিয়ে দিয়েছে, তাই তারা ফের রিলিজ় অর্ডার দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় । এদিকে পুরুলিয়া জেলা প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হচ্ছে, যেহেতু গৌতমবাবু পুরুলিয়া জেলার স্কুলে যোগ দেননি তাই তাদের তরফে রিলিজ় অর্ডার দেওয়ার প্রশ্নই উঠছে না ।
এমতবস্থায় আজ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে আগামী 2 সপ্তাহের মধ্যে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন । এছাড়াও গৌতমবাবু যাতে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ অনুয়ায়ী নতুন স্কুলে যোগ দিতে পারেন, তার ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেন ।