ETV Bharat / state

ভুয়ো সার্টিফিকেট দেখিয়ে স্কুলে চাকরি মহিলার? হাইকোর্টের দ্বারস্থ ভাইঝি

জেঠিমা ভুয়ো সার্টিফিকেট দেখিয়ে স্কুলে চাকরি করছেন। ওই চাকরির আসল দাবিদার তিনি। এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন চাকরিজীবী মহিলার ভাইঝি।

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Apr 16, 2019, 8:02 PM IST


কলকাতা, 16 এপ্রিল : ভুয়ো সার্টিফিকেট দেখিয়ে স্কুলে চাকরি করছেন জেঠিমা। এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক মহিলা। ওই মহিলার নাম বিউটি মজুমদার। অভিযুক্ত জেঠিমার নাম স্বপ্না মজুমদার। আজ বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর সিংগল বেঞ্চে মামলা দায়ের করেন বিউটি। এরপর মামলাটি বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বেঞ্চে যায়। সেখান থেকে মৌসুমি ভট্টাচার্যর সিংগল বেঞ্চে মামলাটির শুনানি চলছে।

স্বপ্না মজুমদার বর্তমানে তেহট্ট উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গ্রুপ D পদে কর্মরত। ওই স্কুলেই কর্মরত ছিলেন তাঁর স্বামী আনন্দ মজুমদার। কয়েক বছর আগে কর্মরত অবস্থায় মারা যান তিনি। এরপরই ওই স্কুলে একই পদে চাকরি পান স্বপ্না। কয়েকমাস পরই অবসরগ্রহণ করবেন তিনি। চাকরির শেষ মুহুর্তে এসে তাঁর ভাইঝি বিউটির অভিযোগ, স্কুল পাশের ভুয়ো সার্টিফিকেট দাখিল করে গ্রুপ D পদে চাকরি করছেন স্বপ্না। স্বপ্না স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন কি না সেবিষয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিউটি।

মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী ইব্রাহিম শেখ বলেন, "স্বপ্না মজুমদারের দাবি, উনি ১৯৭৪ সালে ব্যাতাই হাইস্কুল থেকে ক্লাস এইট পাশ করেছেন। আমার মক্কেল RTI করে। এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায় উনি ১৯৮২ সালে পাশ করেছেন। তাহলে আসল সত্যি কি? উনি কখনও স্কুলে গেছিলেন কি না সেই বিষয়ে সন্দেহ আছে। স্কুল তাঁকে কীভাবে এইট পাশ সার্টিফিকেট দিয়ে দিল? সেই সার্টিফিকেট দেখিয়ে উনি চাকরি করছেন কীভাবে ? সত্যি কী সেটা সামনে আসুক।" বিউটি বলেন, "জ্যাঠা যখন মারা গেছিলেন তখন তাদের কোনও সন্তান ছিল না। ফলে ভাইঝি হিসাবে এই চাকরির দাবিদার হচ্ছি আমি। কিন্ত, এই চাকরির কোনও সুবিধা পাইনি আমি। অথচ জেঠিমা ভুয়ো সার্টিফিকেট দেখিয়ে দিব্যি চাকরি করছেন।"

আজ মামলাটির শুনানি চলাকালীন রাজ্যের পক্ষের আইনজীবী বলেন, " আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।" পাশাপাশি অভিযুক্ত স্কুল কর্তৃপক্ষকে এই ব্যাপারে রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য।


কলকাতা, 16 এপ্রিল : ভুয়ো সার্টিফিকেট দেখিয়ে স্কুলে চাকরি করছেন জেঠিমা। এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক মহিলা। ওই মহিলার নাম বিউটি মজুমদার। অভিযুক্ত জেঠিমার নাম স্বপ্না মজুমদার। আজ বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর সিংগল বেঞ্চে মামলা দায়ের করেন বিউটি। এরপর মামলাটি বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বেঞ্চে যায়। সেখান থেকে মৌসুমি ভট্টাচার্যর সিংগল বেঞ্চে মামলাটির শুনানি চলছে।

স্বপ্না মজুমদার বর্তমানে তেহট্ট উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গ্রুপ D পদে কর্মরত। ওই স্কুলেই কর্মরত ছিলেন তাঁর স্বামী আনন্দ মজুমদার। কয়েক বছর আগে কর্মরত অবস্থায় মারা যান তিনি। এরপরই ওই স্কুলে একই পদে চাকরি পান স্বপ্না। কয়েকমাস পরই অবসরগ্রহণ করবেন তিনি। চাকরির শেষ মুহুর্তে এসে তাঁর ভাইঝি বিউটির অভিযোগ, স্কুল পাশের ভুয়ো সার্টিফিকেট দাখিল করে গ্রুপ D পদে চাকরি করছেন স্বপ্না। স্বপ্না স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন কি না সেবিষয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিউটি।

মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী ইব্রাহিম শেখ বলেন, "স্বপ্না মজুমদারের দাবি, উনি ১৯৭৪ সালে ব্যাতাই হাইস্কুল থেকে ক্লাস এইট পাশ করেছেন। আমার মক্কেল RTI করে। এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায় উনি ১৯৮২ সালে পাশ করেছেন। তাহলে আসল সত্যি কি? উনি কখনও স্কুলে গেছিলেন কি না সেই বিষয়ে সন্দেহ আছে। স্কুল তাঁকে কীভাবে এইট পাশ সার্টিফিকেট দিয়ে দিল? সেই সার্টিফিকেট দেখিয়ে উনি চাকরি করছেন কীভাবে ? সত্যি কী সেটা সামনে আসুক।" বিউটি বলেন, "জ্যাঠা যখন মারা গেছিলেন তখন তাদের কোনও সন্তান ছিল না। ফলে ভাইঝি হিসাবে এই চাকরির দাবিদার হচ্ছি আমি। কিন্ত, এই চাকরির কোনও সুবিধা পাইনি আমি। অথচ জেঠিমা ভুয়ো সার্টিফিকেট দেখিয়ে দিব্যি চাকরি করছেন।"

আজ মামলাটির শুনানি চলাকালীন রাজ্যের পক্ষের আইনজীবী বলেন, " আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।" পাশাপাশি অভিযুক্ত স্কুল কর্তৃপক্ষকে এই ব্যাপারে রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য।

Intro:মিথ্যা সার্টিফিকেটদেখিয়ে চাকরি করছেন। Body:মানস নস্কর---

মিথ্যা সার্টিফিকেট দেখিয়ে স্কুলে চাকরি করছেন জেঠিমা, অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ স্বয়ং ভ্রাতুষ্পুত্রী

কলকাতা ১৬ এপ্রিলঃ
মিথ্যা সার্টিফিকেট দেখিয়ে স্কুলে চাকরি করছেন জেঠিমা।এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক মহিলা।

বিউটি মজুমদারের সম্পর্কে জেঠিমা হচ্ছেন স্বপ্না মজুমদার। স্বপ্না মজুমদার বর্তমানে তেহট্ট উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গ্রুপ ডি পদে চাকরি করেন।স্বপ্না মজুমদারের স্বামী ও আগে ঐ স্কুলেই গ্রুপ ডি পদে চাকরি করতেন।তারপর হটাৎ করে কর্মরত অবস্থায় মারা জান তিনি। সেই জন্য স্বপ্না দেবী স্বামীর পদেই চাকরিটা পান।স্বপ্না দেবীর চাকরির মেয়াদ ও আর বেশিদিন নেই।কয়েকমাস পরেই তিনি অবসর গ্রহণ করবেন।স্বপ্না মজুমদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে উনি সঠিক সার্টিফিকেট না দাখিল করেই গ্রুপ ডি পদে চাকরি করেছেন।উনি কখনো কি ওই স্কুলে আদৌও পড়েছিলেন? এবং এই অভিযোগ এনেছেন তারই সম্পর্কে দেবরের মেয়ে বিউটি মজুমদার।

মামলাকারীর আইনজীবী ইব্রাহিম শেখ জানালেন, "স্বপ্না দেবী নাকি ১৯৭৪ সালে ব্যাতাই হাইস্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণী উত্তীর্ণ হয়েছেন। কিন্ত আমার মক্কেল RTI করলে ব্যাতাই হাইস্কুল জানায় উনি পাশ করেছেন ১৯৮২ সালে।তাহলে আসল সত্যি কি?উনি কখনো স্কুলে গেছিলেন কিনা সন্দেহ আছে অথচ স্কুল তাকে অষ্টম শ্রেণী উত্তীর্ণ সার্টিফিকেট দিয়ে দিল?এবং সেই সার্টিফিকেট দেখিয়ে উনি এতো দিন চাকরি করছেন!সত্য কি সেটা সামনে আসুক এই দাবিতে বিউটি মজুমদার চলতি বছরের শুরুতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর সিংগল বেঞ্চে মামলা দায়ের করেন। এরপর মামলাটি বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বেঞ্চে যায়। কিন্ত সেখান থেকে এখন মৌসুমি ভট্টাচার্যর সিংগল বেঞ্চে শুনানি চলছে।"
বিউটি মজুমদারের দাবি হচ্ছে জ্যাঠা যখন মারা গেছিলেন তখন তাদের কোন সন্তান ছিল না।ফলে ভাইঝি হিসাবে এই চাকরির দাবিদার হচ্ছেন তিনিই।কিন্ত তিনি এই চাকরির কোন সুবিধা পাননি অথচ তার জেঠিমা মিথ্যা কাগজপত্র দেখিয়ে দিব্য চাকরি করছেন।

আজ মামলাটি উঠলে রাজ্যের তরফে আইনজীবী জানান তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন।পাশাপাশি বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন স্কুল কতৃপক্ষকে এই ব্যাপারে রিপোর্ট পেশ করতে।Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.