কলকাতা, 16 এপ্রিল : ভুয়ো সার্টিফিকেট দেখিয়ে স্কুলে চাকরি করছেন জেঠিমা। এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক মহিলা। ওই মহিলার নাম বিউটি মজুমদার। অভিযুক্ত জেঠিমার নাম স্বপ্না মজুমদার। আজ বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর সিংগল বেঞ্চে মামলা দায়ের করেন বিউটি। এরপর মামলাটি বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বেঞ্চে যায়। সেখান থেকে মৌসুমি ভট্টাচার্যর সিংগল বেঞ্চে মামলাটির শুনানি চলছে।
স্বপ্না মজুমদার বর্তমানে তেহট্ট উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গ্রুপ D পদে কর্মরত। ওই স্কুলেই কর্মরত ছিলেন তাঁর স্বামী আনন্দ মজুমদার। কয়েক বছর আগে কর্মরত অবস্থায় মারা যান তিনি। এরপরই ওই স্কুলে একই পদে চাকরি পান স্বপ্না। কয়েকমাস পরই অবসরগ্রহণ করবেন তিনি। চাকরির শেষ মুহুর্তে এসে তাঁর ভাইঝি বিউটির অভিযোগ, স্কুল পাশের ভুয়ো সার্টিফিকেট দাখিল করে গ্রুপ D পদে চাকরি করছেন স্বপ্না। স্বপ্না স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন কি না সেবিষয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিউটি।
মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী ইব্রাহিম শেখ বলেন, "স্বপ্না মজুমদারের দাবি, উনি ১৯৭৪ সালে ব্যাতাই হাইস্কুল থেকে ক্লাস এইট পাশ করেছেন। আমার মক্কেল RTI করে। এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায় উনি ১৯৮২ সালে পাশ করেছেন। তাহলে আসল সত্যি কি? উনি কখনও স্কুলে গেছিলেন কি না সেই বিষয়ে সন্দেহ আছে। স্কুল তাঁকে কীভাবে এইট পাশ সার্টিফিকেট দিয়ে দিল? সেই সার্টিফিকেট দেখিয়ে উনি চাকরি করছেন কীভাবে ? সত্যি কী সেটা সামনে আসুক।" বিউটি বলেন, "জ্যাঠা যখন মারা গেছিলেন তখন তাদের কোনও সন্তান ছিল না। ফলে ভাইঝি হিসাবে এই চাকরির দাবিদার হচ্ছি আমি। কিন্ত, এই চাকরির কোনও সুবিধা পাইনি আমি। অথচ জেঠিমা ভুয়ো সার্টিফিকেট দেখিয়ে দিব্যি চাকরি করছেন।"
আজ মামলাটির শুনানি চলাকালীন রাজ্যের পক্ষের আইনজীবী বলেন, " আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।" পাশাপাশি অভিযুক্ত স্কুল কর্তৃপক্ষকে এই ব্যাপারে রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য।