কলকাতা, 7 জুলাই: রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে যে 32 হাজার জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজৎ গঙ্গোপাধ্যায় শুক্রবারই তা খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট । হাইকোর্ট, ওই শিক্ষকদের নতুন করে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছিল তাও খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত ৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, আবার নতুন করে হাইকোর্টে শুরু করতে হবে এই মামলা ৷
রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও প্রাথমিক শিক্ষকের একাংশের করা মামলার ভিত্তিতে এই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ এদিন শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশে এক প্রকার নিজেদের জয়ই দেখছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ । এদিন পর্ষদের সভাপতির কথায়, "রাজ্য সরকার ও পর্ষদ ওই সময় যে নিয়োগ করেছিল তাকে সুপ্রিম কোর্ট মান্যতা দিচ্ছে বলেই আমরা ধরে নিচ্ছি ।"
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পরেই মুখ খোলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বর্তমান সভাপতি গৌতম পাল । তিনি জানান, আপাতত ওই 32 হাজার শিক্ষকের চাকরি যাচ্ছে না এবং পর্ষদও তাঁদের পুনরায় নিযুক্তির জন্য ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করছে না । অর্থাৎ বিচারপতি অভিজৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ কিছুটা সংশোধন করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ যে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিয়েছিল সেই নির্দেশ এখন কার্যকর হবে না ।
এদিন গৌতম পাল বলেন,"যতদিন না পর্যন্ত ডিভিশন বেঞ্চে মামলার নিস্পত্তি হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এই 32 হাজার শিক্ষক চাকরিতে বহাল থাকবেন । আমরা স্পষ্টভাবে বলেছিলাম, আমরা অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নিয়েছিলাম, সংরক্ষণ নীতিও মানা হয়েছিল এবং অপ্রশিক্ষিত হিসাবে শিক্ষকতায় যাঁরা যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকে 2019 সালের মধ্যে এনসিইটিই নিয়ম মোতাবেক প্রশিক্ষিত হয়েছিলেন । যে 32 হাজারের চাকরি চলে গিয়েছিল, তাঁদের নিয়োগে কিন্তু কোনও অস্বচ্ছতা ছিল না । সব নিয়ম মেনেই কিন্তু পর্ষদ তাঁদের নিযুক্তি দিয়েছিল । নিয়োগে যে স্বচ্ছতা ছিল, সুনির্দিষ্টভাবে নিয়ম মানা হয়েছিল ৷ আজকে সুপ্রিম কোর্ট পর্ষদ এবং সরকারের কাজকে মান্যতা দিলেন ।"
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে 32 হাজার চাকরি বাতিলে হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
তবে এখনই কি বলা যায় এই নিয়োগকে মান্যতা দিচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট? সেই প্রশ্নের উত্তরের গৌতম পাল জানান, "স্থগিতাদেশ তো এমনি পাইনি । আমাদের যুক্তি ওনারা মেনেছেন । আমরা একক বেঞ্চে, ডিভিশন বেঞ্চে ও সুপ্রিম কোর্টে একই কথা বলেছিলা ম। সুপ্রিম কোর্ট নিশ্চয়ই আমাদের নথি দেখে আপাতত সন্তুষ্ট হয়েছে । সেই কারণেই স্থগিতাদেশ দিয়েছে ।"