কলকাতা, 10 এপ্রিল: ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । খুলে দেওয়া হবে ফুল বাজার । সেই ঘোষণা মতো ফুল বাজার খুলে যায় 8 এপ্রিল বুধবার থেকে । পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর 24 পরগনার মত বিভিন্ন জেলায় খুলে যায় ফুলের বাজার । মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর কলকাতাতেও ফুল নিয়ে আসতে বেগ পেতে হয়নি । বড় বাজার সংলগ্ন মল্লিকঘাটের কাছে বাজারে পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন দোকানিরা । কিন্তু কার্যত মাছি তাড়ালেন তাঁরা । কারণ ক্রেতার দেখা নেই । ফুল বাজার খোলার যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল ।
শীতের ফুল এখনও কিছু কিছু রয়ে গেছে মাঠে । ফুল চাষের জমিতে এখনও আছে রজনীগন্ধা । সঙ্গে বেল, জুঁই । আর গাঁদা তো রয়েইছে । পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট, পাঁশকুড়া, মেচেদা এলাকায় চাষের জমিতে এখন ফুটছে প্রচুর ফুল । কিন্তু সেসব বিক্রি হচ্ছে না । আবার গাছেও ফুল ফেলে রাখতে পারছেন না চাষিরা । ফুল না তুললে নতুন কুঁড়ি আসবে না যে । সেইসব ফুল তুলে বস্তাবন্দি করে তা ফেলে দিতে হচ্ছে । ফলে চরম সংকটে পড়েছেন ফুলচাষি কিংবা ব্যবসায়ীরা । এই পরিস্থিতিতে সারা বাংলা ফুলচাষি, ফুল ব্যবসায়ী সমিতি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ই-মেইলে স্মারকলিপি পাঠায় । অনুরোধ করা হয়, খুলে দেওয়া হোক ফুল বাজার । সেই মতো গত মঙ্গলবার নবান্নে ফুল মার্কেট খুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী ।
লকডাউনের 16 দিনের মাথায় খুলে যায় কোলাঘাট ফুল মার্কেটও । এলাকার চাষিরা ফুল নিয়ে জড়ো হন সেখানে । হাওড়ার উলুবেড়িয়া, বাগনান এলাকার চাষিদের ফুল মূলত চলে আসে মল্লিকঘাট ফুল বাজারে । বুধবার থেকে যথারীতি তা আসছে । নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মতোই ফুলের গাড়ি আটকাচ্ছে না পুলিশ । কিন্তু মল্লিক ঘাট ফুল বাজারে দোকান খোলাই সার হয়েছে । ফুল বিক্রি হয়নি তেমন । ফলে ফুল এখানেও ফেলে দিতে হচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন দিলীপ দাস, প্রদীপদের মতো ফুলব্যবসায়ীরা । তবে সারাবাংলা ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র মনে করছেন, দু একদিন পরে সব ঠিক হয়ে যাবে । কিন্তু ব্যবসায়ীদের মনে আশঙ্কা, সব ঠিক হয়ে যাবে তো ? কারণ, এই মুহূর্তে সমস্ত সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ । বন্ধ রয়েছে ধর্মীয় অনুষ্ঠান । ফুলের চাহিদা অত্যন্ত কম । তার উপর খুচরো ফুল ব্যবসায়ীরা বাজারে আসতে পারছেন না লকডাউনে গাড়ি বন্ধ থাকার কারণে । ফলে লকডাউনে ফুল বাজারকে ছাড় দেওয়ায় চাষি এবং ব্যবসায়ীদের সমস্যার কতটা সুরাহা হল তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।
খুলেছে ফুল বাজার, ক্রেতা কই ? নতুন ভোরের অপেক্ষায় চাষি-ব্যবসায়ীরা
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ফুল বাজার খুলেছিল । বিক্রির জন্য় প্রস্তুত ছিলেন ব্যবসায়ীরাও । কিন্তু লকডাউনের জন্য ক্রেতা না থাকায় ক্ষতির মুখে তাঁরা ।
কলকাতা, 10 এপ্রিল: ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । খুলে দেওয়া হবে ফুল বাজার । সেই ঘোষণা মতো ফুল বাজার খুলে যায় 8 এপ্রিল বুধবার থেকে । পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর 24 পরগনার মত বিভিন্ন জেলায় খুলে যায় ফুলের বাজার । মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর কলকাতাতেও ফুল নিয়ে আসতে বেগ পেতে হয়নি । বড় বাজার সংলগ্ন মল্লিকঘাটের কাছে বাজারে পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন দোকানিরা । কিন্তু কার্যত মাছি তাড়ালেন তাঁরা । কারণ ক্রেতার দেখা নেই । ফুল বাজার খোলার যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল ।
শীতের ফুল এখনও কিছু কিছু রয়ে গেছে মাঠে । ফুল চাষের জমিতে এখনও আছে রজনীগন্ধা । সঙ্গে বেল, জুঁই । আর গাঁদা তো রয়েইছে । পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট, পাঁশকুড়া, মেচেদা এলাকায় চাষের জমিতে এখন ফুটছে প্রচুর ফুল । কিন্তু সেসব বিক্রি হচ্ছে না । আবার গাছেও ফুল ফেলে রাখতে পারছেন না চাষিরা । ফুল না তুললে নতুন কুঁড়ি আসবে না যে । সেইসব ফুল তুলে বস্তাবন্দি করে তা ফেলে দিতে হচ্ছে । ফলে চরম সংকটে পড়েছেন ফুলচাষি কিংবা ব্যবসায়ীরা । এই পরিস্থিতিতে সারা বাংলা ফুলচাষি, ফুল ব্যবসায়ী সমিতি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ই-মেইলে স্মারকলিপি পাঠায় । অনুরোধ করা হয়, খুলে দেওয়া হোক ফুল বাজার । সেই মতো গত মঙ্গলবার নবান্নে ফুল মার্কেট খুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী ।
লকডাউনের 16 দিনের মাথায় খুলে যায় কোলাঘাট ফুল মার্কেটও । এলাকার চাষিরা ফুল নিয়ে জড়ো হন সেখানে । হাওড়ার উলুবেড়িয়া, বাগনান এলাকার চাষিদের ফুল মূলত চলে আসে মল্লিকঘাট ফুল বাজারে । বুধবার থেকে যথারীতি তা আসছে । নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মতোই ফুলের গাড়ি আটকাচ্ছে না পুলিশ । কিন্তু মল্লিক ঘাট ফুল বাজারে দোকান খোলাই সার হয়েছে । ফুল বিক্রি হয়নি তেমন । ফলে ফুল এখানেও ফেলে দিতে হচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন দিলীপ দাস, প্রদীপদের মতো ফুলব্যবসায়ীরা । তবে সারাবাংলা ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র মনে করছেন, দু একদিন পরে সব ঠিক হয়ে যাবে । কিন্তু ব্যবসায়ীদের মনে আশঙ্কা, সব ঠিক হয়ে যাবে তো ? কারণ, এই মুহূর্তে সমস্ত সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ । বন্ধ রয়েছে ধর্মীয় অনুষ্ঠান । ফুলের চাহিদা অত্যন্ত কম । তার উপর খুচরো ফুল ব্যবসায়ীরা বাজারে আসতে পারছেন না লকডাউনে গাড়ি বন্ধ থাকার কারণে । ফলে লকডাউনে ফুল বাজারকে ছাড় দেওয়ায় চাষি এবং ব্যবসায়ীদের সমস্যার কতটা সুরাহা হল তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।