ETV Bharat / state

SSC-র চতুর্থ দফার কাউন্সেলিংয়ে একাধিক ত্রুটি, হাইকোর্টে মামলা দায়ের

শুরু হয়েছে ক্লাস নাইন ও টেনের চতুর্থ দফার কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া ৷ সেই প্রক্রিয়ায় একাধিক ত্রুটি রয়েছে বলে দাবি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী ৷

হাইকোর্ট
author img

By

Published : Sep 20, 2019, 8:21 PM IST

Updated : Sep 20, 2019, 9:02 PM IST

কলকাতা, 20 সেপ্টেম্বর : স্কুল সার্ভিস কমিশনের ক্লাস নাইন ও টেনের চতুর্থ দফার কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় একাধিক ত্রুটি রয়েছে ৷ এই দাবিতে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী ৷ বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের বেঞ্চে চলবে এই মামলা ৷

11 সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) জানায়, আজ (20 সেপ্টেম্বর) থেকে ক্লাস নাইন-টেনের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ দফার কাউন্সেলিং শুরু হবে ৷ চলবে বুধবার (25 সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত । কিন্তু, সেই প্রক্রিয়ায় একাধিক ত্রুটির অভিযোগ তুলে আজ হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন 31 জন চাকরিপ্রার্থী ৷

এই সংক্রান্ত আরও খবর : 20 সেপ্টেম্বর থেকে নাইন-টেনের শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ দফার কাউন্সেলিং

কিন্তু, কোথায় গলদ রয়েছে ? এই প্রসঙ্গে মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ইতিমধ্যে তিনটি দফার কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে ৷ সেই দফাগুলিতে যে স্কুলগুলি কো-এডের তালিকায় ছিল, তার মধ্যে অনেক স্কুলই চতুর্থ দফায় মেয়েদের স্কুলের তালিকায় রয়েছে ৷ অর্থাৎ সেগুলি মহিলা স্কুল করা হয়েছে ৷ এতে সমস্যাটা কোথায় ? তা ব্যাখ্যা করেন ফিরদৌস ৷ বলেন, "দ্বিতীয় বা তৃতীয় দফার কাউন্সেলিংয়ে যে মহিলা অংশ নিয়েছিলেন, তাঁর বাড়ি ধরুন বর্ধমানে, তিনি বাধ্য হয়েছেন দূরের কোনও স্কুল (মেয়েদের স্কুল) বেছে নিতে ৷ অথচ তাঁর পরে র‌্যাঙ্ক করে বর্ধমানের কোনও মহিলা চতুর্থ দফার কাউন্সেলিংয়ে বসলে তিনি বাড়ির কাছে (মেয়েদের) স্কুল পেতে পারেন ৷ (কারণ, তালিকা পরিবর্তিত হয়েছে ৷) অর্থাৎ ভালো র‌্যাঙ্ক অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ এই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ ৷ এভাবে কাউন্সেলিং করা যায় না ৷ "

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

স্কুল পরিবর্তনের কারণে 1:1.4 অনুপাতে চাকরিপ্রার্থীদের কাউন্সেলিংয়েও অসংগতি তৈরি হচ্ছে ৷ কীভাবে ? মামলাকারীদের আইনজীবী বলেন, মহিলা-পুরুষ তালিকায় (কো-এড স্কুল) মোট 400 আসন ফাঁকা রয়েছে ৷ ফলে 1:1.4 অনুপাত অনুসারে 640 জন চাকরিপ্রার্থীকে ডাকা হবে ৷ কিন্তু, মেয়েদের স্কুলে পরিণত করায় কো-এড স্কুলে ফাঁকা আসন সংখ্যা কমে গেল ৷ ফলে সেখানে কম পুরুষ ও মহিলা চাকরিপ্রার্থীকে ডাকা হবে ৷ অপরদিকে, বেড়ে যাবে মেয়েদের স্কুলের ফাঁকা আসন সংখ্যা ৷ কম র‌্যাঙ্ক করেও মেয়েদের স্কুলে সুযোগ পাবেন চাকরিপ্রার্থীরা ৷ র‌্যাঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রেও গলদ রয়েছে বলে জানান মামলাকারীদের আইনজীবী ৷ তিনি বলেন, "নিয়ম অনুযায়ী র‌্যাঙ্ক দেওয়া হয়নি ৷ কীভাবে র‌্যাঙ্ক ও মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে তা নিয়মে বলা আছে ৷ সেখানে সম্পূর্ণ তথ্য দিতে হয় ৷ " মূলত অঙ্ক ও পদার্থ বিজ্ঞানের প্রার্থীরাই হাইকোর্টে এসেছেন ৷ আর প্রায় 200টির মতো স্কুলে এই সমস্যা হয়েছে বলে জানান ফিরদৌস ৷

কলকাতা, 20 সেপ্টেম্বর : স্কুল সার্ভিস কমিশনের ক্লাস নাইন ও টেনের চতুর্থ দফার কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় একাধিক ত্রুটি রয়েছে ৷ এই দাবিতে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী ৷ বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের বেঞ্চে চলবে এই মামলা ৷

11 সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) জানায়, আজ (20 সেপ্টেম্বর) থেকে ক্লাস নাইন-টেনের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ দফার কাউন্সেলিং শুরু হবে ৷ চলবে বুধবার (25 সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত । কিন্তু, সেই প্রক্রিয়ায় একাধিক ত্রুটির অভিযোগ তুলে আজ হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন 31 জন চাকরিপ্রার্থী ৷

এই সংক্রান্ত আরও খবর : 20 সেপ্টেম্বর থেকে নাইন-টেনের শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ দফার কাউন্সেলিং

কিন্তু, কোথায় গলদ রয়েছে ? এই প্রসঙ্গে মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ইতিমধ্যে তিনটি দফার কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে ৷ সেই দফাগুলিতে যে স্কুলগুলি কো-এডের তালিকায় ছিল, তার মধ্যে অনেক স্কুলই চতুর্থ দফায় মেয়েদের স্কুলের তালিকায় রয়েছে ৷ অর্থাৎ সেগুলি মহিলা স্কুল করা হয়েছে ৷ এতে সমস্যাটা কোথায় ? তা ব্যাখ্যা করেন ফিরদৌস ৷ বলেন, "দ্বিতীয় বা তৃতীয় দফার কাউন্সেলিংয়ে যে মহিলা অংশ নিয়েছিলেন, তাঁর বাড়ি ধরুন বর্ধমানে, তিনি বাধ্য হয়েছেন দূরের কোনও স্কুল (মেয়েদের স্কুল) বেছে নিতে ৷ অথচ তাঁর পরে র‌্যাঙ্ক করে বর্ধমানের কোনও মহিলা চতুর্থ দফার কাউন্সেলিংয়ে বসলে তিনি বাড়ির কাছে (মেয়েদের) স্কুল পেতে পারেন ৷ (কারণ, তালিকা পরিবর্তিত হয়েছে ৷) অর্থাৎ ভালো র‌্যাঙ্ক অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ এই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ ৷ এভাবে কাউন্সেলিং করা যায় না ৷ "

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

স্কুল পরিবর্তনের কারণে 1:1.4 অনুপাতে চাকরিপ্রার্থীদের কাউন্সেলিংয়েও অসংগতি তৈরি হচ্ছে ৷ কীভাবে ? মামলাকারীদের আইনজীবী বলেন, মহিলা-পুরুষ তালিকায় (কো-এড স্কুল) মোট 400 আসন ফাঁকা রয়েছে ৷ ফলে 1:1.4 অনুপাত অনুসারে 640 জন চাকরিপ্রার্থীকে ডাকা হবে ৷ কিন্তু, মেয়েদের স্কুলে পরিণত করায় কো-এড স্কুলে ফাঁকা আসন সংখ্যা কমে গেল ৷ ফলে সেখানে কম পুরুষ ও মহিলা চাকরিপ্রার্থীকে ডাকা হবে ৷ অপরদিকে, বেড়ে যাবে মেয়েদের স্কুলের ফাঁকা আসন সংখ্যা ৷ কম র‌্যাঙ্ক করেও মেয়েদের স্কুলে সুযোগ পাবেন চাকরিপ্রার্থীরা ৷ র‌্যাঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রেও গলদ রয়েছে বলে জানান মামলাকারীদের আইনজীবী ৷ তিনি বলেন, "নিয়ম অনুযায়ী র‌্যাঙ্ক দেওয়া হয়নি ৷ কীভাবে র‌্যাঙ্ক ও মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে তা নিয়মে বলা আছে ৷ সেখানে সম্পূর্ণ তথ্য দিতে হয় ৷ " মূলত অঙ্ক ও পদার্থ বিজ্ঞানের প্রার্থীরাই হাইকোর্টে এসেছেন ৷ আর প্রায় 200টির মতো স্কুলে এই সমস্যা হয়েছে বলে জানান ফিরদৌস ৷

Intro:চতুর্থ দফার কাউন্সেলিঙে বেশ কিছু অসংগতির দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ একাধিক চাকরিপ্রার্থী Body:
মানস নস্কর---

চতুর্থ দফার কাউন্সেলিঙে বেশ কিছু অসংগতির দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ একাধিক চাকরিপ্রার্থী

কলকাতা ২০ সেপ্টেম্বর ঃ
স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম- দশমের যে কাউনন্সেলিং শুরু হয়েছে আজ থেকে তাতে বেশ কিছু অসংগতির দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন একাধিক চাকরিপ্রার্থী। নবম-দশমের কাউন্সেলিং শুরু হয়েছে আজ থেকে চলবে ২৫ তারিখ পর্যন্ত।মামলা দায়ের হয়েছে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যর সিংগল বেঞ্চে।

মামলার বয়ান অনুয়ায়ী চতুর্থ দফার কাউন্সেলিঙে দেখা যাচ্ছে, আগের দফায় যে স্কুল গুলি কো-এড স্কুলের জন্য দেওয়া ছিল সেগুলোই ফিমেল তালিকায় কনভার্ট করে দেওয়া হয়েছে। চাকরি প্রার্থীদের দাবি মেরিট লিস্ট রুল অনুয়ায়ী প্রকাশ করতে হবে।১ঃ১.৪ রেশিও মেনে কাউন্সেলিঙে ডাকতে হবে। কো-এড থেকে ফিমেল কনভারশন কেন করা হলো?এটা সংশোধন করতে হবে। কারন এর ফলে ছেলেরা চাকরি থেকে বঞ্চিত হবে।মোট ৩১ জন চাকরি প্রার্থী আজ হাইকোর্টে মামলা করেছেন।এদের
প্রত্যেকের নাম ওয়েটিং লিস্টে রয়েছে।

মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানালেন, "চতুর্থ দফার কাউন্সেলিঙে এসে কো -এড স্কুলকে ফিমেলে কনভার্ট করা হলো। এর ফলে দ্বিতীয়, তৃতীয় দফায় হয়ত কোনো প্রার্থী নিজের জেলার স্কুল নিতে পারে নি।কিন্ত চতুর্থ দফায় এসে হয়ত কেউ অপেক্ষাকৃত নিচের দিকে র‍্যাংক থাকার সত্তেও নিজের পছন্দের স্কুল পেয়ে গেলো।মানে ভালো র‍্যাংক করা যেন এখানে শাস্তির বিষয় হয়ে গেছে।অন্যদিকে কো-এড স্কুল ফিমেলে কনভার্ট করার ফলে ছেলেরা বঞ্চিত হবে।এবং এখানে ১ঃ১.৪ রেশিও ঠিকঠাক মানা হয়নি।মুলত গনিত ও পদার্থবিজ্ঞানের প্রার্থীরাই আমার কাছে এসেছে।প্রায় ২০০ র মতো স্কুলে এরকম হয়েছে বলে প্রার্থীদের অনুমান।"Conclusion:
Last Updated : Sep 20, 2019, 9:02 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.