কলকাতা, 20 সেপ্টেম্বর : স্কুল সার্ভিস কমিশনের ক্লাস নাইন ও টেনের চতুর্থ দফার কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় একাধিক ত্রুটি রয়েছে ৷ এই দাবিতে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী ৷ বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের বেঞ্চে চলবে এই মামলা ৷
11 সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) জানায়, আজ (20 সেপ্টেম্বর) থেকে ক্লাস নাইন-টেনের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ দফার কাউন্সেলিং শুরু হবে ৷ চলবে বুধবার (25 সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত । কিন্তু, সেই প্রক্রিয়ায় একাধিক ত্রুটির অভিযোগ তুলে আজ হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন 31 জন চাকরিপ্রার্থী ৷
এই সংক্রান্ত আরও খবর : 20 সেপ্টেম্বর থেকে নাইন-টেনের শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ দফার কাউন্সেলিং
কিন্তু, কোথায় গলদ রয়েছে ? এই প্রসঙ্গে মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ইতিমধ্যে তিনটি দফার কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে ৷ সেই দফাগুলিতে যে স্কুলগুলি কো-এডের তালিকায় ছিল, তার মধ্যে অনেক স্কুলই চতুর্থ দফায় মেয়েদের স্কুলের তালিকায় রয়েছে ৷ অর্থাৎ সেগুলি মহিলা স্কুল করা হয়েছে ৷ এতে সমস্যাটা কোথায় ? তা ব্যাখ্যা করেন ফিরদৌস ৷ বলেন, "দ্বিতীয় বা তৃতীয় দফার কাউন্সেলিংয়ে যে মহিলা অংশ নিয়েছিলেন, তাঁর বাড়ি ধরুন বর্ধমানে, তিনি বাধ্য হয়েছেন দূরের কোনও স্কুল (মেয়েদের স্কুল) বেছে নিতে ৷ অথচ তাঁর পরে র্যাঙ্ক করে বর্ধমানের কোনও মহিলা চতুর্থ দফার কাউন্সেলিংয়ে বসলে তিনি বাড়ির কাছে (মেয়েদের) স্কুল পেতে পারেন ৷ (কারণ, তালিকা পরিবর্তিত হয়েছে ৷) অর্থাৎ ভালো র্যাঙ্ক অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ এই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ ৷ এভাবে কাউন্সেলিং করা যায় না ৷ "
স্কুল পরিবর্তনের কারণে 1:1.4 অনুপাতে চাকরিপ্রার্থীদের কাউন্সেলিংয়েও অসংগতি তৈরি হচ্ছে ৷ কীভাবে ? মামলাকারীদের আইনজীবী বলেন, মহিলা-পুরুষ তালিকায় (কো-এড স্কুল) মোট 400 আসন ফাঁকা রয়েছে ৷ ফলে 1:1.4 অনুপাত অনুসারে 640 জন চাকরিপ্রার্থীকে ডাকা হবে ৷ কিন্তু, মেয়েদের স্কুলে পরিণত করায় কো-এড স্কুলে ফাঁকা আসন সংখ্যা কমে গেল ৷ ফলে সেখানে কম পুরুষ ও মহিলা চাকরিপ্রার্থীকে ডাকা হবে ৷ অপরদিকে, বেড়ে যাবে মেয়েদের স্কুলের ফাঁকা আসন সংখ্যা ৷ কম র্যাঙ্ক করেও মেয়েদের স্কুলে সুযোগ পাবেন চাকরিপ্রার্থীরা ৷ র্যাঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রেও গলদ রয়েছে বলে জানান মামলাকারীদের আইনজীবী ৷ তিনি বলেন, "নিয়ম অনুযায়ী র্যাঙ্ক দেওয়া হয়নি ৷ কীভাবে র্যাঙ্ক ও মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে তা নিয়মে বলা আছে ৷ সেখানে সম্পূর্ণ তথ্য দিতে হয় ৷ " মূলত অঙ্ক ও পদার্থ বিজ্ঞানের প্রার্থীরাই হাইকোর্টে এসেছেন ৷ আর প্রায় 200টির মতো স্কুলে এই সমস্যা হয়েছে বলে জানান ফিরদৌস ৷