কলকাতা, 28 সেপ্টেম্বর: "হাইলি সাসপিসিয়াস", রাজভবনের উপর পুলিশি নজরদারি প্রসঙ্গে জটায়ুকে স্মরণ করালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজভবনে পুলিশি নজরদারির অভিযোগ উঠেছে। দুই পুলিশের গতিবিধির উপর সন্দেহ দেখা গিয়েছে রাজভবনের উপর। এই ঘটনাকে সামনে রেখে চড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। আর সেই সম্পর্কেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুখ খুললেন শাসক শিবিরের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, "যদি দু'জন পুলিশকে দেখে ওনার এমন মনে হয় তাহলে জটায়ুর কথা মনে পড়ছে আমার, হাইলি সাসপিসিয়াস ধরণের কোনও ব্যাপার উনি করতে চাইছেন।"
রাজ্যপাল বনাম রাজ্য সরকার নতুন নয়, জগদীপ ধনকড় রাজ্যপালের দায়িত্ব বহন করে চলার সময়েও দেখা গিয়েছে বিতর্ক। সেই বিতর্ক জারি রয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সময়েও। প্রথমদিকে তাঁর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সুসম্পর্ক দেখা গেলেও সময়ের সঙ্গে তার পরিবর্তন ঘটেছে। শিক্ষা থেকে রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরোধী সুর শোনা গিয়েছে রাজ্যপালের মুখে। সেখানে দাঁড়িয়ে কখনও রাজ্যপালকে লক্ষ্য করে বলা হয়েছে "সাদা হাতি" কখনও "ভেম্পায়ার" আবার কখনও "কবি"। তবে পালটা বিভিন্ন মন্তব্যও করেছেন রাজ্যপাল।
অতীতে প্রশাসনিক স্তরে সচিবদের মাধ্যমে রাজভবনে নজরদারির অভিযোগ উঠেছিল। সে সময় রাজ্যপালের ব্যক্তিগত সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল । এরপর প্রেস সচিবের ক্ষেত্রেও এমন অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল। এ বার অভিযোগ আরও গুরুতর। পুলিশের মাধ্যমে রাজ্যপালের গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে, রাজভবনের একটা সূত্র থেকে এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। যদিও এই নিয়ে সরাসরি রাজভবন এখনও আনুষ্ঠানিক কোনও অভিযোগ সরকার বা পুলিশ কোনও পক্ষের কাছেই করেনি। তবে রাজভবনের একটা সূত্র থেকে এমনই অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে।
আরও পড়ুন: রাজভবনে পুলিশি নজরদারির অভিযোগ, চড়ছে উত্তাপ
প্রসঙ্গত, রাজভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে বরাবরই থাকে রাজ্য পুলিশ। এবং রাজ্যপালের সচিবালয় পরিচালনার জন্য রাজ্যের আমলাদের একটা অংশকে দায়িত্ব দেওয়া হয় । কিন্তু অতীতে সরকার এবং রাজভবনের মধ্যে সংঘাত বারংবার দেখা গেলেও, এভাবে কখনও সচিব পর্যায়ে কখনও পুলিশের মাধ্যমে নজরদারির অভিযোগ ওঠেনি। যা বর্তমান রাজ্যপালের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ ।Conclusion:
Bratya Basu Sneered Governor: 'হাইলি সাসপিসিয়াস', রাজভবনে পুলিশি নজরদারি প্রসঙ্গে কটাক্ষ ব্রাত্যর
রাজ্যপাল বনাম রাজ্য সরকার নতুন নয়, জগদীপ ধনকড় রাজ্যপালের দায়িত্ব বহন করে চলার সময়েও দেখা গিয়েছে বিতর্ক। সেই বিতর্ক জারি রয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সময়েও। প্রথমদিকে তাঁর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সুসম্পর্ক দেখা গেলেও সময়ের সঙ্গে তার পরিবর্তন ঘটেছে।
Published : Sep 28, 2023, 10:58 PM IST
কলকাতা, 28 সেপ্টেম্বর: "হাইলি সাসপিসিয়াস", রাজভবনের উপর পুলিশি নজরদারি প্রসঙ্গে জটায়ুকে স্মরণ করালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজভবনে পুলিশি নজরদারির অভিযোগ উঠেছে। দুই পুলিশের গতিবিধির উপর সন্দেহ দেখা গিয়েছে রাজভবনের উপর। এই ঘটনাকে সামনে রেখে চড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। আর সেই সম্পর্কেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুখ খুললেন শাসক শিবিরের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, "যদি দু'জন পুলিশকে দেখে ওনার এমন মনে হয় তাহলে জটায়ুর কথা মনে পড়ছে আমার, হাইলি সাসপিসিয়াস ধরণের কোনও ব্যাপার উনি করতে চাইছেন।"
রাজ্যপাল বনাম রাজ্য সরকার নতুন নয়, জগদীপ ধনকড় রাজ্যপালের দায়িত্ব বহন করে চলার সময়েও দেখা গিয়েছে বিতর্ক। সেই বিতর্ক জারি রয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সময়েও। প্রথমদিকে তাঁর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সুসম্পর্ক দেখা গেলেও সময়ের সঙ্গে তার পরিবর্তন ঘটেছে। শিক্ষা থেকে রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরোধী সুর শোনা গিয়েছে রাজ্যপালের মুখে। সেখানে দাঁড়িয়ে কখনও রাজ্যপালকে লক্ষ্য করে বলা হয়েছে "সাদা হাতি" কখনও "ভেম্পায়ার" আবার কখনও "কবি"। তবে পালটা বিভিন্ন মন্তব্যও করেছেন রাজ্যপাল।
অতীতে প্রশাসনিক স্তরে সচিবদের মাধ্যমে রাজভবনে নজরদারির অভিযোগ উঠেছিল। সে সময় রাজ্যপালের ব্যক্তিগত সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল । এরপর প্রেস সচিবের ক্ষেত্রেও এমন অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল। এ বার অভিযোগ আরও গুরুতর। পুলিশের মাধ্যমে রাজ্যপালের গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে, রাজভবনের একটা সূত্র থেকে এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। যদিও এই নিয়ে সরাসরি রাজভবন এখনও আনুষ্ঠানিক কোনও অভিযোগ সরকার বা পুলিশ কোনও পক্ষের কাছেই করেনি। তবে রাজভবনের একটা সূত্র থেকে এমনই অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে।
আরও পড়ুন: রাজভবনে পুলিশি নজরদারির অভিযোগ, চড়ছে উত্তাপ
প্রসঙ্গত, রাজভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে বরাবরই থাকে রাজ্য পুলিশ। এবং রাজ্যপালের সচিবালয় পরিচালনার জন্য রাজ্যের আমলাদের একটা অংশকে দায়িত্ব দেওয়া হয় । কিন্তু অতীতে সরকার এবং রাজভবনের মধ্যে সংঘাত বারংবার দেখা গেলেও, এভাবে কখনও সচিব পর্যায়ে কখনও পুলিশের মাধ্যমে নজরদারির অভিযোগ ওঠেনি। যা বর্তমান রাজ্যপালের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ ।Conclusion: