ETV Bharat / state

আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় সুস্থ থাকতে পরামর্শ চিকিৎসকদের - change

আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় সুস্থ থাকার জন্য বিশেষ করে ছোটো এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা যাঁদের রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকা জরুরি।  পেটের সমস্যা দেখা দিলে ORS ব্যবহার করতে হবে।

প্রতীকী ছবি
author img

By

Published : Feb 26, 2019, 11:47 PM IST

কলকাতা, ২৬ ফেব্রুয়ারি : শীত চলে যাওয়ার পরে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়ছিল। কিন্তু, আচমকা কালবৈশাখির জেরে এক ধাক্কায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেশ কয়েক ডিগ্রি নেমে গেছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টা আবহাওয়া একই রকম থাকবে।

আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় সুস্থ থাকার জন্য বিশেষ করে ছোটো এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা যাঁদের রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকা জরুরি।

শুনুন বক্তব্য

চিকিৎসক অংশুমান মিত্র বলেন, "এই সময় ভাইরাল ইনফেকশন অর্থাৎ, ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণ বেড়ে যায়। ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা এবং ফ্লু জাতীয় সমস্যাও হয়ে থাকে। এর ফলে সর্দি, জ্বর, হাঁচি-কাশির সমস্যা বেড়ে যায়। ছোটোদের এবং বয়স্কদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা অন্যদের তুলনায় যেহেতু কম তাই জ্বর, হাঁচি-কাশি গা ব্যথার সমস্যা বেশি দেখা যেতে পারে। এই সময় পেটের সংক্রমণও বেড়ে যায়।"

তিনি আরও বলেন, "শীত শেষ হওয়ার সময় এবং গরম শুরু হওয়ার আগের সময় দু-এক পশলা বৃষ্টি অথবা নিম্নচাপের জন্যে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ওঠানামা করে। এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ে। স্বাভাবিক কারণেই এই সময় সুস্থ থাকার জন্য মানুষকে সচেতন হতে হবে। এই সময়ে যেহেতু বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়, তাই যদি কারও জ্বর হয় তবে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যাঁদের ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে, হাঁচি-কাশি শুরু হলে যাতে সেটা নিউমোনিয়ার দিকে না পৌঁছায়, তার জন্য জল ফুটিয়ে যে বাষ্প মিলবে সেটা শ্বাস নেওয়া, গারগেল করা উচিত। এই সময় পেটের সমস্যা দেখা দিলে ORS ব্যবহার করতে হবে। পরিশ্রুত পানীয় জল ব্যবহার করতে হবে‌।"

undefined


চিকিৎসক অমিত ধবল বলেন, "যাঁদের ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে, তাঁদের মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জীবাণুর বৃদ্ধি এই সময় দেখা যায়। এর ফলে সাধারণ সর্দি-কাশির হওয়ার সম্ভাবনা যেমন থাকে, তেমনই নিউমোনিয়া হওয়ার আশঙ্কাও এই সময়ে বেড়ে যায়। পেটের সমস্যা এবং চর্ম রোগও এই সময় দেখা দেয়। কলকাতা সহ মফস্বলের বিভিন্ন স্থানে যেখানে নিকাশি ব্যবস্থা ভালো নয়, সেখানে বৃষ্টির জলের সঙ্গে অন্যান্য জল মিশে গিয়ে চর্ম রোগের আশঙ্কা দেখা দেয়। এসব থেকে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।"

চিকিৎসক অমিত ধবল আরো বলেন, "এই সময় মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে। ঠান্ডা যাতে না লাগে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া যেতে‌ পারে, যেমন সঙ্গে শীতবস্ত্র রাখা যেতে পারে। জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন‌। বেশি করে জল খাওয়া প্রয়োজন। প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে। তবে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অন্য কোনও ওষুধ নয়।"

কলকাতা, ২৬ ফেব্রুয়ারি : শীত চলে যাওয়ার পরে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়ছিল। কিন্তু, আচমকা কালবৈশাখির জেরে এক ধাক্কায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেশ কয়েক ডিগ্রি নেমে গেছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টা আবহাওয়া একই রকম থাকবে।

আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় সুস্থ থাকার জন্য বিশেষ করে ছোটো এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা যাঁদের রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকা জরুরি।

শুনুন বক্তব্য

চিকিৎসক অংশুমান মিত্র বলেন, "এই সময় ভাইরাল ইনফেকশন অর্থাৎ, ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণ বেড়ে যায়। ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা এবং ফ্লু জাতীয় সমস্যাও হয়ে থাকে। এর ফলে সর্দি, জ্বর, হাঁচি-কাশির সমস্যা বেড়ে যায়। ছোটোদের এবং বয়স্কদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা অন্যদের তুলনায় যেহেতু কম তাই জ্বর, হাঁচি-কাশি গা ব্যথার সমস্যা বেশি দেখা যেতে পারে। এই সময় পেটের সংক্রমণও বেড়ে যায়।"

তিনি আরও বলেন, "শীত শেষ হওয়ার সময় এবং গরম শুরু হওয়ার আগের সময় দু-এক পশলা বৃষ্টি অথবা নিম্নচাপের জন্যে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ওঠানামা করে। এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ে। স্বাভাবিক কারণেই এই সময় সুস্থ থাকার জন্য মানুষকে সচেতন হতে হবে। এই সময়ে যেহেতু বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়, তাই যদি কারও জ্বর হয় তবে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যাঁদের ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে, হাঁচি-কাশি শুরু হলে যাতে সেটা নিউমোনিয়ার দিকে না পৌঁছায়, তার জন্য জল ফুটিয়ে যে বাষ্প মিলবে সেটা শ্বাস নেওয়া, গারগেল করা উচিত। এই সময় পেটের সমস্যা দেখা দিলে ORS ব্যবহার করতে হবে। পরিশ্রুত পানীয় জল ব্যবহার করতে হবে‌।"

undefined


চিকিৎসক অমিত ধবল বলেন, "যাঁদের ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে, তাঁদের মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জীবাণুর বৃদ্ধি এই সময় দেখা যায়। এর ফলে সাধারণ সর্দি-কাশির হওয়ার সম্ভাবনা যেমন থাকে, তেমনই নিউমোনিয়া হওয়ার আশঙ্কাও এই সময়ে বেড়ে যায়। পেটের সমস্যা এবং চর্ম রোগও এই সময় দেখা দেয়। কলকাতা সহ মফস্বলের বিভিন্ন স্থানে যেখানে নিকাশি ব্যবস্থা ভালো নয়, সেখানে বৃষ্টির জলের সঙ্গে অন্যান্য জল মিশে গিয়ে চর্ম রোগের আশঙ্কা দেখা দেয়। এসব থেকে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।"

চিকিৎসক অমিত ধবল আরো বলেন, "এই সময় মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে। ঠান্ডা যাতে না লাগে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া যেতে‌ পারে, যেমন সঙ্গে শীতবস্ত্র রাখা যেতে পারে। জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন‌। বেশি করে জল খাওয়া প্রয়োজন। প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে। তবে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অন্য কোনও ওষুধ নয়।"

Intro:কলকাতা, ২৫ ফেব্রুয়ারি: শীত চলে যাওয়ার পরে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়ছিল। কিন্তু, আচমকা কালবৈশাখী। যার জেরে এক ধাক্কায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেশ কয়েক ডিগ্রি নেমে গিয়েছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘন্টা আবহাওয়া একই রকম থাকবে। তাপমাত্রার এমন ওঠানামার জেরে শরীরের উপর কোন ধরনের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে?


Body:এমনিতেই আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় সুস্থ থাকার জন্য বিশেষ করে ছোট এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা যাঁদের রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকা জরুরি। কিন্তু কালবৈশাখীর পরে এমন আবহাওয়া পূর্বাভাসের গেড়ে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে?

চিকিৎসক অংশুমান মিত্র বলেন, "এই সময় ভাইরাল ইনফেকশন অর্থাৎ, ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণ বেড়ে যায়। ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা এবং ফ্লু জাতীয় সমস্যাও বেড়ে যায়। এর ফলে সর্দি, জ্বর, হাঁচি-কাশির সমস্যা বেড়ে যায়।" একই সঙ্গে তিনি বলেন, "ছোটরা এবং বয়স্কদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা অন্যান্যদের তুলনায় কম। ফলে এক্ষেত্রে সমস্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।"

ছোট এবং বয়স্কদের এই সময় জ্বর, হাঁচি-কাশি গা ব্যথার সমস্যা বেশি দেখা যেতে পারে। এর সঙ্গে পেটের সংক্রমণে বেড়ে যায় এই সময়। এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, "শীত শেষ হওয়ার সময় এবং গরম শুরু হওয়ার আগের এই সময় দু-এক পশলা বৃষ্টি অথবা নিম্নচাপের জন্যে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ওঠানামা দেখা যায়। এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ে।"

তা হলে? চিকিৎসক অংশুমান মিত্র বলেন, "স্বাভাবিক কারণেই এই সময় সুস্থ থাকার জন্য মানুষকে সচেতন হতে হবে। এই সময়ে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। যদি কারও জ্বর হয়, তবে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, দ্রুত রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসার প্রয়োজন।"

আর বৃষ্টিতে ভিজলে? তিনি বলেন, "এই সময় বৃষ্টিতে ভেজাটা খারাপ হতে পারে। যদিও আচমকা বৃষ্টি হচ্ছে। এই কারণে বৃষ্টির মধ্যে যদি না বের হতে হয়, তবে ভালো। কিন্তু যদি বের হতে হয়, তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। বৃষ্টির জমা জলে ছোটরা খেলা করে। বর্ষাকালের বৃষ্টির তুলনায় এখনকার বৃষ্টিতে সমস্যা বেশি দেখা দেয়। যদিও এখনকার দিনে বর্ষাকালের বৃষ্টিতেও জটিল ধরনের জ্বর দেখা দিচ্ছে।"

এই সময় জ্বর হলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে অর্থাৎ, একজনের জ্বর হলে অন্য জনের শরীরেও তা সংক্রমিত হতে পারে। এ কথা জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, "এই সময়ের বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়াটা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। বৃষ্টিতে ভিজে গেলে দ্রুত শুকিয়ে নিতে হবে। যাঁদের ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে, হাঁচি-কাশি শুরু হলে যাতে সেটা নিউমোনিয়ার দিকে না পৌঁছয়, তার জন্য জল ফুটিয়ে যে বাষ্প মিলবে সেটা শ্বাস নেওয়া, গারগেল করা উচিত।"

এই সময় পেটের সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে কী করনীয়? এই চিকিৎসক বলেন, "পেটের সমস্যা দেখা দিলে ORS ব্যবহার করতে হবে। পরিশ্রুত পানীয় জল ব্যবহার করতে হবে‌। রাস্তা-ঘাটের অপরিশ্রুত জল পান করা উচিত নয়। বাইরে বেরোনোর সময় সঙ্গে পরিশ্রুত পানীয় জল রাখা উচিত।"


Conclusion:চিকিৎসক অমিত ধবল বলেন, "এই সময় ঠাণ্ডা লাগা, হঠাৎ সর্দি-কাশি এবং নিউমোনিয়া বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। যাঁরা বয়স্ক, ঘর থেকে বের হওয়ার সময়, তাঁদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সঙ্গে রাখা উচিত। এই সময় বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া খুবই মারাত্মক।" একই সঙ্গে তিনি বলেন, "যাঁদের ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে, তাঁদের মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।"

আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জীবাণুর বৃদ্ধি এই সময় দেখা যায়। এর ফলে সাধারণ সর্দি-কাশির হওয়ার সম্ভাবনা যেমন থাকে, তেমনই নিউমোনিয়া হওয়ার আশঙ্কাও এই সময়ে বেড়ে যায়। পেটের সমস্যা এবং চর্ম রোগও এই সময় দেখা দেয়। এ কথা জানিয়ে চিকিৎসক অমিত ধবল বলেন, "কলকাতা সহ মফস্বলের বিভিন্ন স্থানে যেখানে নিকাশি ব্যবস্থা ভালো নয়, সেখানে বৃষ্টির জলের সঙ্গে অন্যান্য জল মিশে গিয়ে চর্ম রোগের আশঙ্কা দেখা দেয়। এসব থেকে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।"

কীভাবে সতর্ক থাকবেন মানুষ? এই চিকিৎসক বলেন, "মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে। ঠান্ডা যাতে না লাগে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া যেতে‌ পারে, যেমন সঙ্গে শীতবস্ত্র রাখা যেতে পারে।" কিন্তু যদি সংক্রমণের শিকার হয়ে পড়েন? তিনি বলেন, "তখন কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে। যেমন, জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন‌। বেশি করে জল খাওয়া প্রয়োজন। প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে। তবে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অন্য কোনও ওষুধ নয়।" একই সঙ্গে তিনি বলেন, "পেটের সমস্যায় ORS খাওয়া যেতে পারে, জল খাওয়া যেতে পারে, কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।"
________________

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.