কলকাতা, 27 জুলাই: হুকিং রুখতে উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতায় শুরু হয়েছে তল্লাশি ৷ পৌরনিগমের আলোক বিভাগ ও সিইএসসি-র যৌথ দল এই তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ৷ এক জায়গায় একবার নয় একাধিকবারও চলছে অভিযান। আর তাতেই মিলছে সুফল । আইনি পথে মিটার নিতে চাইছেন অনেকেই । একাধিক বস্তি এলাকায় নতুন মিটারের জন্য আবেদন করার প্রবণতা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে (Demand for New Meters is Increasing in Slums of Kolkata) ।
ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অভিযানে গিয়ে হুকিং করে নেওয়া লাইন কেটে দিয়ে আসছেন পৌরনিগমের আলোক বিভাগের কর্মীরা । একবার নয় একই জায়গায় একাধিকবার চলছে অভিযান । পাশাপাশি হুকিং যাতে কেউ না করেন বস্তিতে মাইকিং করে সচেতনতামূলক প্রচারেও নামছে পৌরনিগম ।
আরও পড়ুন: জোকায় হাইটেনশন লাইনে হুকিং করতে গিয়ে মৃত্যু
এই বিষয়ে কলকাতা পৌরনিগমের মেয়র পারিষদ (আলোক) সন্দীপরঞ্জন বক্সি জানিয়েছেন, একই জায়গায় বারবার অভিযান চালানো হচ্ছে । এতেই বেশকিছু জায়গায় সাফল্য এসেছে । মিটার নেওয়ার জন্য কয়েকটি বস্তির বাসিন্দা পৌরনিগমের দ্বারস্থ হয়েছেন । আবেদনকারীর তালিকায় তাঁর নিজের ওয়ার্ডেরই তিনটি পরিবার রয়েছে বলে জানান সন্দীপ। তাঁর কথায়, মিটার দেওয়ার দায়িত্ব সিইএসসির। তবে শহরে বাজার, বস্তিতে মিটার পেতে যাতে সমস্যা না হয় তার জন্য সহযোগিতা করবে পুরসভা। বাসিন্দারা চাইলে সিইএসসির সঙ্গে কথা বলে মিটারের জন্য বস্তিতে বিশেষ শিবিরের ব্যবস্থাও করতে পারে পৌরনিগমের আলোক বিভাগ ।
পাশাপাশি একটি প্রসঙ্গে সিইএসসিকেও অভিযুক্ত করেছেন মেয়র পারিষদ ৷ তাঁর দাবি, আলোক স্তম্ভে লাগানো টাইমারগুলি সব জায়গায় ঠিক করে কাজ করছে না ৷ পৌরনিগমের বাতিস্তম্ভে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। তার আগে পরে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকে না । যাতে বুঝতে অসুবিধা না হয় তার জন্যই টাইমারগুলি লাগিয়ে দেয় সিইএসসি। কিন্তু বহু বাতিস্তম্ভে সেগুলি সঠিক ভাবে কাজ করছে । এবিষয় সিইএসসিকে সোমবার একটি চিঠি পাঠান হয়েছে ।