ETV Bharat / state

Tube Well Controversy: খাতায় কলমে নিষিদ্ধ হলেও পানীয় জলের জন্য ভরসা গভীর নলকূপ

author img

By

Published : Jun 19, 2023, 10:56 PM IST

জলস্তর ক্রমশই কমছে ৷ তাই বিপদ এড়াতে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল গভীর নলকূপ ৷ দক্ষিণ কলকাতার কিছু অংশ কসবা, যাদবপুর, টালিগঞ্জ, বেহালার বেশকিছু এলাকা মানুষজনের জলের জন্য ভরসা গভীর নলকূপ ।

ETV Bharat
কলকাতা কর্পোরেশন

কলকাতা, 19 জুন: জলস্তর কমে এক প্রকার বিপদ সীমায় পৌঁছেছে ৷ ভূ-গর্ভস্থ জলস্তর বজায় রাখতে নিষিদ্ধ হয়েছে গভীর নলকূপ ৷ তবে খাতায় কলমেই নিষিদ্ধ থেকে গিয়েছে কলকাতা কর্পোরেশনের এই নিষেধাজ্ঞা ৷ অথচ দক্ষিণ কলকাতার কসবা, যাদবপুর, টালিগঞ্জ, বেহালার বেশকিছু এলাকার মানুষজনকে জলের জন্য গভীর নলকূপের উপরই ভরসা রাখতে হয় । এদিকে মাটি পরবর্তী এলাকার জল টানায় বিপদের আঁচ পাচ্ছেন ভূতত্ত্ববিদরা । সমুদ্রের লবণ জল আসায় আর্সেনিক সংক্রমণ ছড়ানো নিয়ে চিন্তায় তারা ।

যদিও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানাচ্ছেন ভূ-গর্ভস্থ জলের ব্যবহার কমানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে । মেয়র বলেন, "ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহার কমানো লক্ষ্য পৌরনিগমের । তার জন্য বুস্টিং পাম্পিং সেন্টার করছি । গার্ডেনরিচের জল উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছি । ফলতাতেও বাড়ানো যায় কি না দেখছি । শহরবাসী সচেতন হলে 40 শতাংশ পানীয় জল বাঁচাতে পারব ৷ অনুমতি নিয়ে বসানো হয় গভীর নলকূপ করা হয় । আর্সেনিক থাকলে হয় না ।"

মাটির নিচে জলস্তর ক্রমশ কমায় দক্ষিণের বেশ কিছু এলাকায় গভীর নলকূপগুলির জায়গা পরিবর্তন করতে হয়েছে । আর এই সমস্ত কারণে বিপদের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে । একসময় অনেক পুকুর ছিল যেটা মাটির নিচের জল যাওয়ার মুখ হিসেবে কাজ করত। এখন আর সেই সব পুকুর নেই। সব ভরাট হয়ে গিয়েছে, উঠেছে বহুতল । এখন মাটি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে আশপাশের অঞ্চল থেকে জল টেনে আনে দ্রুত । আর এর ফলে আর্সেনিক সংক্রমণের প্রভাব বেড়ে যাচ্ছে ৷ মনে করছেন ভূ-তত্ত্ববিদরা ।

আরও পড়ুন: বাড়ছে কলকাতা পৌরনিগমের বিনোদন কর, বেশ কিছু ক্ষেত্রে মিলবে ছাড়

এ প্রসঙ্গেই ভূতত্ত্ববিদ সুজীব কর বলেন, " গরমকালে পরীক্ষা করলে দেখা যেত অধিকাংশ ওয়ার্ডে ভূ-গর্ভস্থ জলে আর্সেনিক আছে । পরিমাণ কম বলে চোখে পড়েনি । ত্বকে নানা সমস্যা হলেও অনেকেই ভেবেছে গরমের কারণে । একাধিকবার জল তুলে নেওয়ার জেরে মাটি ক্রমশ ফাঁপা হয়ে যাচ্ছে । এই ভাবে জল তোলা হলে বিভিন্ন এলাকার বাড়ি ভীত সমস্যা দেখা দেবে। বাড়ির মেঝে ফাটল, জমি বা রাস্তা ফাটল দেখা দেবে । "

কলকাতা, 19 জুন: জলস্তর কমে এক প্রকার বিপদ সীমায় পৌঁছেছে ৷ ভূ-গর্ভস্থ জলস্তর বজায় রাখতে নিষিদ্ধ হয়েছে গভীর নলকূপ ৷ তবে খাতায় কলমেই নিষিদ্ধ থেকে গিয়েছে কলকাতা কর্পোরেশনের এই নিষেধাজ্ঞা ৷ অথচ দক্ষিণ কলকাতার কসবা, যাদবপুর, টালিগঞ্জ, বেহালার বেশকিছু এলাকার মানুষজনকে জলের জন্য গভীর নলকূপের উপরই ভরসা রাখতে হয় । এদিকে মাটি পরবর্তী এলাকার জল টানায় বিপদের আঁচ পাচ্ছেন ভূতত্ত্ববিদরা । সমুদ্রের লবণ জল আসায় আর্সেনিক সংক্রমণ ছড়ানো নিয়ে চিন্তায় তারা ।

যদিও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানাচ্ছেন ভূ-গর্ভস্থ জলের ব্যবহার কমানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে । মেয়র বলেন, "ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহার কমানো লক্ষ্য পৌরনিগমের । তার জন্য বুস্টিং পাম্পিং সেন্টার করছি । গার্ডেনরিচের জল উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছি । ফলতাতেও বাড়ানো যায় কি না দেখছি । শহরবাসী সচেতন হলে 40 শতাংশ পানীয় জল বাঁচাতে পারব ৷ অনুমতি নিয়ে বসানো হয় গভীর নলকূপ করা হয় । আর্সেনিক থাকলে হয় না ।"

মাটির নিচে জলস্তর ক্রমশ কমায় দক্ষিণের বেশ কিছু এলাকায় গভীর নলকূপগুলির জায়গা পরিবর্তন করতে হয়েছে । আর এই সমস্ত কারণে বিপদের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে । একসময় অনেক পুকুর ছিল যেটা মাটির নিচের জল যাওয়ার মুখ হিসেবে কাজ করত। এখন আর সেই সব পুকুর নেই। সব ভরাট হয়ে গিয়েছে, উঠেছে বহুতল । এখন মাটি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে আশপাশের অঞ্চল থেকে জল টেনে আনে দ্রুত । আর এর ফলে আর্সেনিক সংক্রমণের প্রভাব বেড়ে যাচ্ছে ৷ মনে করছেন ভূ-তত্ত্ববিদরা ।

আরও পড়ুন: বাড়ছে কলকাতা পৌরনিগমের বিনোদন কর, বেশ কিছু ক্ষেত্রে মিলবে ছাড়

এ প্রসঙ্গেই ভূতত্ত্ববিদ সুজীব কর বলেন, " গরমকালে পরীক্ষা করলে দেখা যেত অধিকাংশ ওয়ার্ডে ভূ-গর্ভস্থ জলে আর্সেনিক আছে । পরিমাণ কম বলে চোখে পড়েনি । ত্বকে নানা সমস্যা হলেও অনেকেই ভেবেছে গরমের কারণে । একাধিকবার জল তুলে নেওয়ার জেরে মাটি ক্রমশ ফাঁপা হয়ে যাচ্ছে । এই ভাবে জল তোলা হলে বিভিন্ন এলাকার বাড়ি ভীত সমস্যা দেখা দেবে। বাড়ির মেঝে ফাটল, জমি বা রাস্তা ফাটল দেখা দেবে । "

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.